বল স্ট্যাম্পে আঘাত করেছে কিনা, তা জানতেই মূলত বেলসের ব্যবহার করা হয়। পরবর্তীতে প্রযুক্তির যুগে এসে যুক্ত হয়েছে সেন্সর লাইটও। বল স্ট্যাম্পে লাগলে সেই সেন্সর লাইট জ্বলে উঠে। কিন্তু বেলস না পড়লে আউট দেন না আম্পায়ার। আধুনিক যুগে এসেও বেলস পড়ার উপর নির্ভরশীলতাকে ভালোভাবে নিচ্ছেন না যুজবেন্দ্র চাহাল।
কয়েকদিন আগে প্রযুক্তির আমলে বেলসের ব্যবহারকে অপ্রয়োজনীয় বলে মন্তব্য করেছেন ভারতের জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার সঞ্জয় মাঞ্জরেকার। তবে চাহাল একেবারেই অপ্রয়োজনীয় বলেননি। তিনি চান, বল স্ট্যাম্পে লাগলেই আউট দেওয়া হোক। বেলস পড়ুক বা না পড়ুক। অন্তত ক্রিকেটের বড় বড় আসর গুলোতে এই নিয়ম থাকা উচিৎ বলে মনে করছেন ভারতীয় লেগ স্পিনার।
বেলস কান্ডের সূত্রপাত ঘটে চলমান আইপিএলে রাজস্থান রয়েলস এবং দিল্লী ক্যাপিটালসের ম্যাচে। সেদিন স্পিনার চাহালের বল গিয়ে আঘাত করে স্ট্যম্পে। কিন্তু সেন্সর লাইট জ্বলে উঠলেও বেলস না পড়ায় বেঁচে যান ব্যাটসম্যান ডেভিড ওয়ার্নার। আর তখনই শুরু হয় বিতর্ক। ঘটনার কয়েকদিন পর মুখ খুললেন ভুক্তভোগী চাহাল।
রাজস্থান লেগ স্পিনার বলেছেন, ‘ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে কোনো বড় ইভেন্ট বা ফাইনাল ম্যাচ, তখন এমন ঘটনা ঘটলে আমরা সেটা করতে পারি। বল উইকেটে আঘাত করলেই আউট দেওয়া উচিৎ। তখন বেলস না পড়ার কারণে যদি আউট না দেওয়া হয়, এটা আপনাকে ভোগাতে পারে। এটা অবশ্যই প্রভাবিত করে।’
চাহালের সঙ্গে যখন এমন ঘটনা ঘটে, তখন ২২ রান নিয়ে ব্যাটিং করছিলেন ওয়ার্নার। বেঁচে গিয়ে পরবর্তীতে ৪১ বলে ৫২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেছিলেন এই অস্ট্রেলিয়ান ওপেনার। আর তাতে সহজ জয় তুলে নেয় দিল্লী। সেদিন চাহালের বলে ওয়ার্নার আউট হয়ে গেলে, ম্যাচের ফলাফল ভিন্নও হতে পারতো।
এ প্রসঙ্গে চাহাল বলেছেন, ‘প্রথমবার আমার সঙ্গে যেটা ঘটেছে, আমি নিজেও হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম। কারণ, বল উইকেটে আঘাত করলেও বেলস পড়েনি। যদি ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে এমন ঘটনা ঘটে, বিশেষ করে ওয়ার্নারের মতো ব্যাটসম্যানের বেলায় এটা বড় একটা বিষয়। তাই তাকে যদি আউট দেওয়া হতো, তাহলে ম্যাচের ফলাফল ভিন্ন কিছু হতে পারতো।’