ব্যাটিং ব্যর্থতার বৃত্ত থেকে যেন বের হতেই পারছে না বাংলাদেশ। সংস্করণ বদলাচ্ছে। লাল কিংবা সাদা, বলের রং বদলালেও ব্যাটিংয়ে আক্ষেপটা থেকেই যাচ্ছে। উইন্ডিজ সফরের টেস্ট সিরিজ হারার পর টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচেও নড়বড়ে ব্যাটিং প্রদর্শন করেছে টাইগাররা। পরিত্যক্ত হওয়া ম্যাচটিতে ১৩ ওভার ব্যাটিং করে ৮ উইকেট হারিয়ে ১০৫ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
ম্যাচে সাকিব আল হাসান এবং নুরুল হাসান সোহান ছাড়া ভালো করার তালিকায় নেই আর কারো নাম। এমন ব্যর্থতায় প্রশ্ন উঠেছে, সেদিনের ভয়ঙ্কর ফেরি যাত্রার প্রভাব পড়েছে কি না? তবে সেটা মানতে একেবারেই নারাজ প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। তিনি বলেছেন, ‘কোনো অজুহাত নয়। এটি ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্যও সমান ছিল। তারাও গতকাল অনুশীলন করতে পারেনি, তারাও একই ফেরিতে ছিল। তাই এ ব্যাপারে কোনো অজুহাত নয়।’
সেন্ট লুসিয়া থেকে মার্টিনেকে হয়ে ডমিনিকা। সবমিলিয়ে দীর্ঘ ৫ ঘন্টার জার্নি। সমুদ্রে ফেরিতে এর আগে এতো সময় কখনোই যাত্রার অভিজ্ঞতা ছিল না বাংলাদেশ দলের কোনো সদস্যের। যাত্রার আগে দল ছিল দ্বিধাবিভক্ত, অনেকেই এই যাত্রার পক্ষে ছিলেন না। তবে কোনো উপায় না পেয়ে শেষমেশ ফেরিতে উঠতে হলো ক্রিকেটারদের।
কিন্তু দুইই দিন আগে সাইক্লোন হওয়ায় আটলান্টিকে ঢেউয়ের মাত্রাটা ছিল বেশি। এই ঢেউয়ের মধ্যে জার্নি আর ‘মোশন সিকনেসে’ বিভীষিকাময় এক অভিজ্ঞতা পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ডমিনিকায় দুটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ থাকলেও টাইগাররা সেখানে পৌঁছেছে প্রথম ম্যাচের একদিন আগে। পাননি অনুশীলন করার সুযোগও।
একটি সেশন অনুশীলনের সুযোগ থাকলেও বৃষ্টির কারণে সেটাও আর সম্ভব হয়নি। এদিকে বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার আবার মাঠে ফিরেছেন লম্বা বিরতির পর। এমন অবস্থায় দলের ক্ষতি হতেই পারে, তা স্বাভাবিক। তবে সাকিবদের কোচ অবশ্য আশা ছাড়ছেন না, দ্বিতীয় ম্যাচে ভালো খেলে ঘুরে দাঁড়ানোর প্রত্যাশা রাখছেন ডমিঙ্গো।