অধিনায়ক হিসেবে ঋষভ পন্থের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। ভারতকে নেতৃত্ব দিয়ে প্রথম দুই ম্যাচেই হারের তিক্ত স্বাদ পেয়েছেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। রবিবার কটকে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে চার উইকেটে হেরে সিরিজ হারের শঙ্কায় পড়ে গেল ভারতীয়রা। ইতোমধ্যে ২ – ০ তে পিছিয়ে পড়া ভারতকে সিরিজ জয়ের জন্য জিততে হবে শেষ তিন ম্যাচের সবকটি।
তবে ভারতের এই দলটাকে নিয়ে সেই বাজিটাও ধরতে পারবেন না যে কেউ। অধিনায়ক পন্থ নিজে রান পাচ্ছেন না। ব্যাট হাতে জ্বলে উঠতে পারছেননা আরেক গুরুত্বপূর্ণ টপ অর্ডার ব্যাটসম্যান রুতুরাজ গায়কোয়াড়। কটকে দেড়শো পেরুতে না পারা ম্যাচে অবশ্যই ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতার দায় এড়ানোর সুযোগ নেই। ফলে দলও হেরেছে।
ম্যাচ শেষে অধিনায়ক পন্থ জানালেন, আরো ১০ – ১৫ রান বেশি করা উচিৎ ছিল তার দলের। এমনকি শেষের দিকে বোলাররাও উইকেট তুলে নিতে ব্যর্থ হয়েছেন বলে মনে করছেন তিনি। পন্থ বলেছেন, ‘আমরা ১০ – ১৫ রান কম করেছি। ভুবনেশ্বর ভালো বোলিং করলেও বাকিরা ওকে ঠিকমতো সহায়তা করতে পারেনি। দক্ষিণ আফ্রিকার ইনিংসের শেষ ১০ ওভারে আরো উইকেট তোলা উচিৎ ছিল। আমরা সেটা পারিনি।’
ম্যাচ পরবর্তী পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভারতীয় অধিনায়ক আরো বলেছেন, ‘ক্লাসেন ও বাভুমার জুটিই ম্যাচের ফল নির্ধারণ করে দেয়। শুরুতেই তিন উইকেট হারানোর পরে আমাদেরও চাপ বাড়ানো উচিৎ ছিল। যাই হোক, কিছু করার নেই। আগামী ম্যাচে আরো ভালো খেলার চেষ্টা করবো। শেষ তিন ম্যাচই জেতার চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।’
এদিন কুইন্টন ডি ককের পরিবর্তে খেলতে নেমেই ম্যাচসেরা হয়েছেন ক্লাসেন। তিনি বলেছেন, ‘কুইনি (ডি কক) বাসে উঠে আমাকে এসে বলেছিল, ওর হাতে চোট রয়েছে। তখনই বুঝলাম, আমি খেলছি। নতুন বলে পেসাররা ভালো বোলিং করছিল। তাই স্পিনারদের বিরুদ্ধে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছি। ভারতের বিরুদ্ধে আবারো ম্যাচ জেতাতে পেরে আমি মুগ্ধ। ভারতের মাটিতে খেলা আমার জন্য স্বপ্নের মতো। ভালোভাবে একটি ম্যাচ শেষ করতে পেরে আপ্লুত।’
দক্ষিন আফ্রিকান অধিনায়কের মুখেও শোনা গেছে ক্লাসেনের প্রশংসা। টেম্বা বাভুমা বলেছেন, ‘বোঝা যাচ্ছিল না, আদৌ ম্যাচ বের করতে পারবো কি না। ভুবি (ভুবনেশ্বর) শুরুর দিকে এতো ভালো বোলিং করেছে যে, আমাদের কাছে পরিস্থিতি খুবই কঠিন হয়ে উঠে। ক্লাসেন এতো ভালো ইনিংস না খেললে এই ম্যাচ জেতা কঠিন ছিল।’