সম্প্রতি ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে তিন ম্যাচ টেস্ট সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়েছে পাকিস্তান। তারপর থেকেই সমালোচনার তীর ছুড়ে আসছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি), অধিনায়ক এবং ম্যানেজমেন্টের দিকে। সেই সমালোচনার মুখেই এবার পদ হারালেন পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজা। তার পরিবর্তে ফের দায়িত্ব আসতে যাচ্ছেন সাবেক পিসিবি সভাপতি নাজাম শেঠি।
এর আগে ২০২১ সালে দেশটির তৎকালীন সরকার প্রধানমন্ত্রী ইমরানের খানের চাওয়ায়, বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় পিসিবি সভাপতির পদে আসীন হন রমিজ। দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে বেশ ভালো কাজও করে গেছেন সাবেক এই ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেটকে বদলে ফেলার মতো বেশকিছু প্রশংসনীয় পদক্ষেপও গ্রহণ করেছেন তিনি। তার পরিকল্পনায় সাফল্য পেয়েছেন বাবর আজমরাও।
কিন্তু তাতেও কি আর মন ভরে? পাকিস্তানে সরকার পরিবর্তন হওয়া মাত্র পদ হারায় বোর্ড কর্তারা। এটা বেশ পুরনো কথা। যে কারণে ইমরানের ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকেই আশঙ্কা করা হয়, যেকোনো সময় পদ হারাতে পারেন রমিজ। অবশেষে সেই আশঙ্কাটাই বাস্তবে রূপ নিল। বুধবার রমিজ রাজাকে সভাপতির পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। শেঠিকেই সভাপতির চেয়ারে বসাবেন প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরীফ।
এর আগে ২০১৮ সালে যখন ইমরান প্রধানমন্ত্রী হন, তখন পিসিবি সভাপতি ছিলেন শেঠি। কিন্তু ইমরান ক্ষমতা পাওয়ার পরেই পদ হারান শেঠি। এবার হয়তো সেই প্রতিশোধটাই নিয়ে নিলেন তিনি। ইমরানের পছন্দের লোককে বোর্ড প্রধানের দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দিলেন শেঠি। একইসাথে নিজের হারানো পদও দখল করে নিচ্ছেন তিনি। তবে নতুন চ্যালেঞ্জে কেমন করবেন, তাও দেখার বিষয়।
উল্লেখ্য পাকিস্তানের জার্সি গায়ে ১৯৮৪ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত, মোট ১৪ বছর ক্রিকেট খেলেছেন রমিজ। এসময় ৫৭টি টেস্ট এবং ১৯৮টি ওয়ানডে ম্যাচে নিজের দেশের প্রতিনিধিত্ব করেছেন তিনি। দেশের হয়ে দারুণ সব সাফল্যের সঙ্গে জুড়ে আছে এই ক্রিকেটারের নাম। খেলোয়াড়ি জীবনের ইতি টানার পর যোগ দেন ধারাভাষ্যে। সেখানে সুনাম কুড়িয়েছেন। প্রশাসক হিসেবেও খুব একটা খারাপ বলা যাবে না তাকে।তবে রাজনৈতিক ক্ষমতা বদলে কপাল পুড়ল রাজার।