আসন্ন টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ এবং তার আগে নিউজিল্যান্ডে ত্রিদেশীয় সিরিজের আগে জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার নাফিস ইকবালকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তার জায়গায় দলের ম্যানেজারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে রাবিদ ইমামকে। গুঞ্জন আছে, তার বিরুদ্ধে অভিযোগের কারণে তাকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এই অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলেই উড়িয়ে দিয়েছেন নাফিস।
বিসিবির একজন পরিচালক দাবী করেন ” নাফিসের কাছ থেকে ভালো ব্যবহার পাননি বলে অভিযোগ করেছেন দলের বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। আর ঐসব ক্রিকেটাররা এই অভিযোগ দিয়েছেন খালেদ মাহমুদ সুজনের কাছে। আর এর পরেই ম্যানেজার পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেয় বিসিবি ” ।
কিন্তু নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজের মাধ্যমে এই অভিযোগকে মিথ্যা বলে জানান নাফিস। তিনি লিখেছেন,” মিথ্যা অভিযোগের জবাব দেওয়ার সর্বোত্তম উপায় হাসি। সর্বশক্তিমান আল্লাহর প্রতি বিশ্বাস রাখছি।“
দায়িত্বে থাকা অবস্থায় কারও সঙ্গে ঝামেলা হয়নি দাবী করে নাফিস আরো জানান ” বিগত একবছর ধরে দায়িত্বে ছিলাম, দলের কোন খেলোয়াড় কিংবা টিম ম্যানেজমেন্টের কারো সঙ্গেই আমার ঝামেলা হয়নি কখনো। এ সময় আমাদের পারফরম্যান্স উঠা নামা করেছে কিন্তু পরিবেশ খুবই সুন্দর ছিল।“
ব্যক্তিগত জীবনে তিনি টিম বাংলাদেশের ওয়ানডে দলের অধিনায়ক তামিম ইকবালের ভাই এবং আকরাম খানের ভাতিজা। তবে নাফিসের এই ইস্যুতে এখনো মুখ খোলেননি তামিম কিংবা আকরাম।
নাফিস ঘটনা প্রসঙ্গে আরো বলেন, ” অনেক সময় ভিত্তিহীন অনেক নিউজ হয়, যদি করতেই হয় তাহলে প্রোপার এভিডেন্স নিয়ে করুক। জানিয়ে দিক কে কথাটা বলেছে, তাহলে জানতে পারব সবকিছু “।
দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার ব্যাপারটি তিনি আগে থেকেই জানতেন দাবি করে নাফিস আরো বলেন ” আমি আগে ক্রিকেট অপারেশনের ডেপুটি ম্যানেজার ছিলাম, এখনও তাই আছি। দলে আসলে ফিক্সড টিম ম্যানেজার বলে কেউ নাই, এটা আসলে রোটেশন পলিসি বলা যায়। আমি বিসিবির সিদ্ধান্তকে অবশ্যই সম্মান জানাই।“
সব মিলিয়ে ১ বছরের মত এই দায়িত্ব সামলেছেন নাফিস।আরব আমিরাত সিরিজের আগেই তাকে দায়িত্ব থেকে সরানোর কথা জানানো হয় বলে দাবী করেন নাফিস।সেই সাথে পুরো প্রক্রিয়া সম্মানের সাথে সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান জাতীয় দলের এক সময়ের এই ওপেনার।
উল্লেখ্য ২০০৩ সালে বাংলাদেশের জার্সি গায়ে অভিষেক হয় নাফিসের। তিনি ১১ টেস্টে ৫১৬ রান এবং ১৬ ওয়ানডেতে ৩০৯ রান করেছেন। ২০০৬ সালের পর আর জাতীয় দলে খেলা হয়নি তার।