২০১৫ সালে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেকের পর থেকেই ধীরে ধীরে দলের ভরশার প্রতীক হয়ে উঠেন মুস্তাফিজুর রহমান। নিজের বোলিং বৈচিত্রে ব্যাটসম্যানদের নাজেহাল করা বাঁহাতি পেসারের সাম্প্রতিক সময়টা খুব ভালো যাচ্ছে না। দলকে ম্যাচ জেতানোর দূরে থাক, উল্টো খরুচে বোলিং করে রীতিমতো দলকে ডোবাচ্ছেন তিনি।
গত এশিয়া কাপেও দলের প্রত্যাশা মেটাতে পারেননি ফিজ৷ এরপর থেকে তাকে ঘিরে সমালোচনা বাড়ছেই। তবে কি সেরা সময়টা পেছনে ফেলে এসেছেন দ্যা ফিজ? এমনকি এক সাক্ষাৎকারে টিম বাংলাদেশের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন বলেছেন মুস্তাফিজ এখন আর দলের অটো চয়েজ নন।
শেষ ১০ ওয়ানডে ম্যাচে মুস্তাফিজের শিকার মোটে ৯ উইকেট। টি–টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরো অনুজ্জ্বল তিনি। সর্বশেষ ৪ বা ৫ উইকেট কবে শিকার করেছেন এই পেসার? এই উত্তর জানাতে বাংলাদেশি পেসারকেও কপাল চুলকাতে হবে হয়তো! সর্বশেষ ৪ উইকেট শিকার পেয়েছেন ২০২১ সালের ১৯ অক্টোবর, ওমানের বিপক্ষে। তাও ৩৬ রান খরচায়।
এরপর শেষ ১৬ ম্যাচে একবারও ৩ উইকেট শিকার করতে পারেননি মুস্তাফিজ। তবে উইকেট পাওয়া না পাওয়ার হিসাব বাদ দিলেও, টি–টোয়েন্টির কিপটে বোলিংটাও করতে পারছেন না বাংলাদেশ দলের প্রধান এই বোলার। তবে আশা ছাড়ছে না দল। ঘুরেফিরে মুস্তাফিজের বাঁহাতের উপরই ভরশা খুঁজছে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ দলের নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমনও মনে করছেন, এখনো সেরাটা দিতে সক্ষম মুস্তাফিজ। তিনি বলেন, ‘মুস্তাফিজ আমাদের পরীক্ষিত এবং সিনিয়র খেলোয়াড়। কিন্তু সাম্প্রতিক সময়ে আমরা যতটুকু চাই, হয়তো সেটা হচ্ছে না। কিন্তু আমি মনে করি, এখনো তার সেরাটা দিতে পারে। সেরাটা দেওয়া এখনো বাকি।‘
বাশার আরো বলেন, ‘টি–টোয়েন্টিতে বিভিন্ন ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে সে (মুস্তাফিজ)। ওর স্টক ডেলিভারি ছিল, স্লোয়ার ও কাটার ছিল। শুধু এগুলো নিয়েই নির্ভর করে না। কারণ, ও জানে উপমহাদেশের বাইরে গেলে ওটা সেভাবে কার্যকর হয় না। কিছু ডেলিভারি নিয়ে কাজ করছে। আশা করি, বিশ্বকাপে ভালো করবে।‘
১৬ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে পর্দা উঠবে এবারের টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপের। মুস্তাফিজ ভক্তদের প্রত্যাশা সেখানেই স্বরুপে ফিরবেন এই কাটার মাস্টার। যদি তাই হয় তাহলে লাভটা বাংলাদেশেরই। নতুবা হয়ত ক্রমাগত ব্যর্থতায় দেশের ক্রিকেট থেকে ঝরে যাবে এই তারকা।