৯ বছর পর বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ জয় জিম্বাবুয়ের। দলটি তাই ভাসছে আনন্দে। আর তামিম ইকবালের কণ্ঠে যা ফুটে উঠল, সেটিকে অসহায়ত্বই বলা যায়। ম্যাচ শেষের পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ফুটে উঠল এমন বৈপরীত্য। সেখানে এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ হারের কারণ হিসেবে বাংলাদেশ অধিনায়ক তামিম বললেন এক অপ্রিয় সত্য কথা।
বোলিংয়ে নেমে শুরুতেই জিম্বাবুয়েকে চেপে ধরার পর সে চাপ আর ধরে রাখতে পারেনি বাংলাদেশ। তামিম অবশ্য পার্থক্য দেখছেন দুই দলের ব্যাটিংয়েই, ‘আমার মনে হয় পার্থক্যটা এখানে—ওদের চারটি সেঞ্চুরি, আমাদের নেই। এটাই বড় পার্থক্য। ভালো একটা স্কোর গড়েছিলাম। শুরুটা ভালো হয়েছিল, কিন্তু চালিয়ে যেতে পারেনি।
ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে প্রায় একই সুরে কথা বলেছেন প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গোও, ‘জিম্বাবুয়েকে কৃতিত্ব দিতে হবে। বিশেষ করে রাজাকে। দুটি দারুণ ইনিংস খেলল চাপের মুখে। প্রথম ম্যাচে হয়তো ২০ রান কম করেছি। দ্বিতীয় ম্যাচেও ২০ রানের মতো কম করেছি। তবে কোনো অজুহাত দিতে চাই না।’
তামিম অবশ্য বলছেন,স্পিনারদের বিপক্ষে খেলাটা ততটা সহজ ছিল না, ‘উইকেট শুরুতে ভালো ছিল। তবে প্রথম ম্যাচের মতো স্পিনারদের বিপক্ষে অতটা সহজ ছিল না। তবে সব কৃতিত্ব আসলে জিম্বাবুয়ের। এ সিরিজে ওরাই আমাদের চেয়ে ভালো খেলেছে। তাদের কৃতিত্ব দিতেই হবে।’
টি-টোয়েন্টির পর ওয়ানডে সিরিজেও হার—জিম্বাবুয়ের এ সফরে বিস্মৃত অভিজ্ঞতাই ফিরে আসছে বাংলাদেশের। টি-টোয়েন্টিতে তবুও শেষ ম্যাচটি ছিল সিরিজ নির্ধারণী। তবে ওয়ানডেতে প্রথম দুই ম্যাচেই সিরিজ হারার পর, তার ওপর এ সিরিজ বিশ্বকাপ সুপার লিগের অংশ না হওয়াতে শেষ ম্যাচটি এখন নিয়ম রক্ষার । তামিম অবশ্য এখনো ‘ভালো’ ক্রিকেট খেলার আশা ছাড়ছেন না, ‘আমাদের আসলে আরও ভালো খেলতে হবে। সেরাটা খেলতে হবে। এখন পর্যন্ত সেরাটা খেলিনি। এ কারণেই এ পরিস্থিতিতে পড়েছি আমরা।’
এদিকে সিরিজ হারলেও ওয়ানডে দলকে নিয়ে বড় সমালোচনা করতে চান না ডমিঙ্গো। বরং এটিকে দেখছেন শিক্ষা হিসেবেই, ‘গত দুই দিনের পারফরম্যান্সে ওয়ানডে দলকে সমালোচনা করা ঠিক হবেনা। তবে অনেক কাজ করার বাকি। তারা ৪টি শতক করেছে, আমরা একটিও করিনি। কোচিং স্টাফের সদস্য এবং দলের সবাই বড় শিক্ষা পেয়েছে। বিশ্বকাপ আসছে। ভাগ্যক্রমে এসব ম্যাচে পয়েন্ট নেই।’