বাংলাদেশ ক্রিকেটের সাথে স্টুয়ার্ট ল-র সম্পর্কটা অনেক পুরানো। এবার তৃতীয়বারের মতো বাংলাদেশে কাজ করতে এসেছেন তিনি। এর পূর্বে ২০১১-১২ সালে বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন স্টুয়ার্ট। তার অধীনেই বাংলাদেশ প্রথমবারের মত এশিয়া কাপের ফাইনালে খেলেছিল৷ পরবর্তীতে ২০১৬ সালে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের টেকনিক্যাল উপদেষ্টার দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি এবং বর্তমানে অনুর্ধ্ব-১৯ দলের প্রধান কোচের ভূমিকায় বাংলাদেশে এসেছেন স্টুয়ার্ট।
তৃতীয়বারের মতো টাইগারদের দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে বেশ উচ্ছ্বসিত স্টুয়ার্ট। দায়িত্ব পাওয়ার পর মিরপুর শেরেবাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়েছিলেন তিনি। জানালেন, এবার ভালো ক্রিকেটারের পাশাপাশি ভালো মানুষ তৈরি করতে এসেছেন তিনি। স্টুয়ার্ট বলেন, ‘বাংলাদেশে ফিরে এসে ভালো লাগছে। আজ এখানে এসে কিছু পরিচিত, বন্ধুত্বপূর্ণ মুখ দেখতে পেলাম। অনেক ভালো স্মৃতি আছে এখানে। তাই ফিরতে পেরে ভালোই লাগছে।’
স্টুয়ার্ট আরো বলেন, ‘আমি অনেক বার প্রধান কোচের দায়িত্ব পালন করেছি বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায়। সত্যি কথা বলতে, আন্তর্জাতিক দলের প্রধান কোচ হিসেবে খুব বেশি কোচিংয়ের সুযোগ থাকে না। এটা মূলত অনেক কথা বলা, প্রশাসনিক কাজ করার কাজ। কিন্তু এই দায়িত্বটা আমাকে উঠতি ক্রিকেটার নিয়ে কাজ করার সুযোগ এনে দেবে। যেখানে আমি পার্থক্য এনে দিতে পারব। শুধু ক্রিকেটীয় সামর্থ্যে নয়, তরুণ ব্যক্তিত্ব গড়ার ক্ষেত্রেও সাহায্য করতে পারব। তাই সুযোগটা যখন এল, আমার জন্য হ্যাঁ বলা খুব সহজ ছিল।’
এছাড়াও তরুণদের ক্রিকেটের বাইরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সামলানোর পাঠও শেখাতে চান স্টুয়ার্ট। প্রয়োজনে ভালো মাইন্ড কোচ এনেও এই ব্যাপারে শিক্ষা দিতে চান তার শিষ্যদের। তিনি বলেন, ‘তরুণ ক্রিকেটারদের আজকাল মাঠের বাইরে অনেক কিছুই করতে হয় যেটা আমাদের সময় হতো না। আমি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের কথা বলছি। আমরা চেষ্টা করব ছেলেদের এ ব্যাপারে শিক্ষা দিতে। মাইন্ড কোচ এনে হোক বা যেভাবেই। সামাজিক মাধ্যমের ভালো-খারাপ দিকটা ওদের বুঝাতে হবে। এই যুগের ক্রিকেটারদের জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম অনেক বহিরাগত চাপ সৃষ্টি করে থাকে।’
২০২৪ বিশ্বকাপকে সামনে রেখে ৪০ জনকে বাছাই করা হয়েছে। রোববার থেকে শুরু হবে তাদের ফিটনেস ট্রেনিং। ফিটনেস ক্যাম্পের পর আগামী ২৩ জুলাই থেকে বিকেএসপিতে শুরু হবে স্কিল ক্যাম্প। সেখানে প্রায় তিন সপ্তাহ চলবে নেট অনুশীলন ও প্রথমিক স্কোয়াডের সদস্যদের নিয়ে অনুশীলন ম্যাচ। এরপর বাছাই করা হবে অনূর্ধ্ব-১৯ দলের মূল স্কোয়াড।