২০১১ সালের ২০ জুন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাদা পোষাকের ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিলেন ভারতীয় ক্রিকেটের পোস্টার বয় বিরাট কোহলির। এইত গত ২০ জুন নিজের টেস্ট ক্যারিয়ারের ১১ বছর পূর্তি পালন করেছেন তিনি। তবে, কোহলির আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ের ১৪ বছর। টেস্ট অভিষেকেরও তিন বছর পূর্বে রঙিন পোষাকের ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন কোহলি।
অন্যদিকে, কোহলির অভিষেকের পাঁচ বছর পূর্বেই ১৬ বছরের আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারকে বিদায় জানান পাকিস্তানের তারকা পেসার ওয়াসিম আকরাম। খেলোয়াড়ী জীবনে এই দুজন একে অপরের মুখোমুখি হন নি কখনোই।
দীর্ঘদিন থেকে শতকের দেখা পাননা কোহলি। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্সও আশানুরূপ নয়। তবুও পরিসংখ্যান বিবেচনায় সময়ের অন্যতম সেরা ক্রিকেটার এই ডানহাতি ব্যাটসম্যান। খেলোয়াড়ী জীবনে কোহলিকে পেলে তাকে কিভাবে আউট করতেন ওয়াসিম? কিংবা কি পরিকল্পনা নিয়ে তিনি বল করতেন?
নাশপাতি প্রাইমের ‘টু বি অনেস্ট’ নামের এক শোতে ওয়াসিম জানিয়েছেন কোহলির বিপক্ষে বোলিংয়ের সময় তাঁর পরিকল্পনা কী থাকত। তিনি বলেন, ‘আমার আত্মবিশ্বাস থাকত অনেক। যদি সে তিন বা চারে ব্যাটিংয়ে আসে, তার মানে ২টি উইকেট পড়ে গেছে। ফলে ক্রিজে নতুন সে, আমি তখন আক্রমণ করতাম। বলকে মিডল স্টাম্পে ফেলতাম।এরপর হয় সুইং করে বেরিয়ে যেত অথবা ভেতরে ঢুকত।’
শুধুই কি সুইং দিয়ে পরাস্ত করা সম্ভব কোহলিত মতো ব্যাটসম্যানকে? ওয়াসিমও অবশ্য তা মানছেন। সুইংয়ে সব সময় কোহলির মতো ‘গ্রেট’ ব্যাটসম্যানকে পরাস্ত না-ই করা যেতে পারে। তখন তিনি নামতেন ভিন্ন পরিকল্পনা নিয়ে। ওয়াসিম জানান ” যদি প্লান এ কাজ না করে, তাহলে প্ল্যান বি – তে যেতাম। যেটি হতো বাউন্স দেয়া। ফিল্ডার বাউন্ডারিতে রাখতাম, তারপর তাকে পিছিয়ে নিয়ে যেতাম। ছোটখাটো পরিবর্তন আসলে গুরুত্বপূর্ণ।’