সাবেক অধিনায়ক জো রুটের নেতৃত্বে টেস্টে টানা ১৭ ম্যাচে জয়হীন থেকে যেন দিশেহারা হয়ে গিয়েছিল ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। এরপর রুটের অধিনায়কত্ব থেকে অব্যাহতি নেয়ার পর দলকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা করে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। আর এতেই যেন কপাল খুলেছে তাদের।
নতুন কোচ ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক বেন স্টোকসের ক্ষুরধার নেতৃত্বে জয়ের ধারায় ফিরেছে ইংল্যান্ড টেস্ট দল। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ঘরের মাঠে ৩-০ তে টেস্ট সিরিজ জিতে যেন নতুন দিগন্তের সূচনার বার্তাই দিল ইংল্যান্ড। কিউইদের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ জয়ের পেছনে অগ্রনায়কের ভূমিকা পালন করেছেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক বেয়ারস্টো।
তিন টেস্টেই দলের জয়ে অবদান রেখেছেন এই ক্রিকেটার। শেষ দুই টেস্টে যেন টেস্ট ব্যাটিংয়ের সারমর্মটাই পাল্টে দিয়েছেন তিনি। ট্রেন্ট ব্রিজে ৯২ বলে ১৩৬ রানের ইনিংসের পর হেডিংলিতে প্রথম ইনিংসে ১৫৭ বলে ১৬২ আর দ্বিতীয় ইনিংসে ৬২ বলে অপরাজিত ৭১। ইংল্যান্ডের নতুন শুরুতে যেন নতুন ধারার ব্যাটিং করছেন বেয়ারস্টো।
নিজের ঘরের মাঠ হেডিংলিতে বেয়ারস্টোর এই ইনিংসকে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অন্যতম সেরাই বলছেন সাবেক অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার নাসের হুসেইন। তিনি বলেন, ‘হেডিংলি বেয়ারস্টোর নিজের ঘরের মাঠ। এ মাঠে শতরান এমনিতেই তাঁর জন্য বিশেষ হত। এ মাঠে ইংল্যান্ডকে জেতানো দারুণ কিছুই হতো। তাঁর এই ইনিংস আমার দেখা দুর্দান্ত এক ইনিংস। ইংলিশ ক্রিকেটে সেরা সময় কাটানো ব্যাটসম্যান বেয়ারস্টো। সে “বাজবলে”র (ব্রেন্ডন ম্যাককালাম) ছন্দটা ধরিয়ে দেয়। তার ছিল একরাশ ইতিবাচকতা।’
২০২২ সালটা দুর্দান্ত শুরু করেছেন বেয়ারস্টো। অ্যাশেজে দলের ভরাডুবি হলেও নিজের উইলো হাতে উজ্জ্বল ছিলেন এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। খেলেছেন শতরানের ইনিংস। মার্চে উইন্ডিজ সফরেও পেয়েছিলেন শতকের দেখা। এরপর দীর্ঘদিন তার ব্যাটে ছিল রানের খরা। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আবারো রানে ফিরেছেন বেয়ারস্টো। নিজেকে বদলে রানে ফিরে পুরো সিরিজটাই নিজের করে নিয়েছেন বেয়ারস্টো।