সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ইংল্যান্ড দাপটের সঙ্গে দাপিয়ে বেড়ালেও সাদা পোশাকে বিবর্ণ। বিশেষ করে সাম্প্রতিক সময়ে বেশ ছন্নছাড়া হয়ে পড়েছে ইংলিশরা। গেল অ্যাশেজে হারের পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজে ভরাডুবি। এমন সময় ইংল্যান্ড টেস্ট দলের প্রধান কোচের দায়িত্ব পেয়েছেন ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। দায়িত্ব নিয়েই ইংলিশদের পুরনো ঐতিহ্য ফেরাতে চান তিনি।
নিজেদের সর্বশেষ ১৭ টেস্টে ইংলিশদের জয় মাত্র একটি। টেস্ট ক্রিকেটে কতটা খারাপ সময় যাচ্ছে, তা হয়তো এই পরিসংখ্যান দেখেই বুঝা যায়। চাপের মুখে অধিনায়কত্বও ছেড়েছেন দলের সেরা ব্যাটসম্যান জো রুট। এরপরই টেস্ট দলকে ঢেলে সাজিয়েছে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড (ইসিবি)।
প্রধান কোচ ক্রিস সিলভারউডকে সাবেক করা হয়েছে অ্যাশেজ দুর্ঘটনার পরেই। ভিন্ন ফরম্যাটের জন্য দুই কোচ নীতিতে ফিরেছে ইসিবি। টেস্ট দলের গুরু হিসেবে সাবেক কিউই অধিনায়ক ম্যাককালামকেই বেছে নিয়েছে তারা। নতুন কোচও ইংলিশদের শোনালেন আশার বানী।
এ প্রসঙ্গে ম্যককালাম বলেছেন, ‘আমার মনে হয়, লাল-বলের ক্রিকেট সবসময় খেলাধুলার শীর্ষে। খেলাটা যেখানে দাঁড়িয়ে আছে, আপনি যদি সেদিকে খেয়াল করেন, এটা এখন নিম্নমুখী হচ্ছে। আমার মতে, ইংল্যান্ড সেই নিম্নমুখী ধারা পরিবর্তন করতে পারবে। কারণ টেস্ট ক্রিকেটের ঐতিহ্য ইংল্যান্ডে আছে এবং আমার ধারণা ভক্ত-সমর্থক এখানে আছে।’
টেকনিক্যাল কোচিংয়ের চেয়েও ম্যান ম্যানেজমেন্টের উপর বিশ্বাসী ম্যাককালাম। তিনি বলেছেন, ‘আমি টেকনিক্যালি কোচিং করি না। টেকনিক অবশ্যই দরকার তবে এখানে কৌশল এবং ম্যান ম্যানেজমেন্টের ব্যাপার বেশি কাজ করে। দলে ভালো পরিবেশ দিতে চেষ্টা করি এবং খেলোয়াড়দের সেরাটা বের করে আনতে চেষ্টা করি।’
একইসঙ্গে নতুন টেস্ট অধিনায়ক বেন স্টোকসকে শক্তিশালী নেতা হিসেবে উল্লেখ করে ম্যাককালাম আরো বলেছেন, ‘আমি মনে করি, স্টোকসকে অধিনায়ক হিসেবে পেয়ে আমরা এক শক্তিশালী নেতা পেয়েছি। ‘আমাকে অনুসরণ করো’ সে (স্টোকস) এই ধরণের নেতা। তাই আমার কাজ হবে, আমরা যে ধারাবাহিক এটা নিশ্চিত করা।’