চলমান ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) গতির ঝড় তুলে প্রতিপক্ষের ব্যাটিং লাইন–আপ তছনছ করে দিচ্ছেন তরুণ পেসার উমরান মালিক। নিয়মিত ঘন্টায় ১৫০ এর উপরে বল করে যাচ্ছেন তিনি। কখনো তো নিজেকে নিজেই ছাড়িয়ে যাচ্ছেন। সম্প্রতি ঘন্টায় ১৫৭ কিলোমিটার গতির বল ছুড়ে রীতিমতো হৈচৈ ফেলে দিয়েছেন জুম্মু–কাশ্মীর থেকে উঠে আসা এই তরুণ ফাস্ট বোলার। তবে তার এমন গতির রহস্য কি?
উমরানের এমন বারুদে বোলিংয়ের যেমন প্রশংসা কুড়াচ্ছেন অনেকে, তেমনি তার এমন গতির রহস্য খুঁজছেনও অনেকে। এবার ছাত্রকে নিয়ে অজানা এক কাহিনী ফাঁস করলেন উমরানের কোচ রণবীর সিং মানহাস। কোমরে বালি ভর্তি টিউব বেঁধে দৌঁড়ানোর ফলেই নাকি আইপিএলে গতির ঝড় তুলতে পারছেন এই তরুণ।
কোচ রণবীর জানিয়েছেন, ‘উমরানের বাড়ি তাওয়াই নদীর তীরে। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই সেই নদীর বালির উপর দিয়ে দৌঁড়াতেন তিনি। কোমরে বাঁধা থাকত দুটি সাইকেলের টিউব। তাও আবার খালি নয়। দুটি টিউবই বালি ভর্তি। সেই টিউব কোমরে বেঁধেই ঘন্টার পর ঘন্টা দৌঁড়ে শক্তি বাড়িয়েছেন উমরান। যার ফল পাওয়া যাচ্ছে এখন বল হাতে।‘
অথচ আইপিএলের সেরা গতিতারকা নাকি ক্রিকেট শুরুর কালেই অনুশীলনে ছিলেন অনিয়মিত ছাত্র। তার অবশ্য কারণও আছে। আর্থিক সংকট ছিল উমরানের। সেই সংকট কাটাতে টেনিস বলের ক্রিকেট খেলার জন্য এদিক ওদিক ছুটে বেড়াতেন তিনি। তবে ক্রিকেট বলের অনুশীলনে প্রথম দিনেই তার গতি দেখে অবাক হয়েছিলেন উপস্থিত কোচ। এমনকি তাকে নিয়মিত অনুশীলনে আসার অনুরোধও করেন কোচ।
এ প্রসঙ্গে রণবীর আরো জানান, ‘প্রথমদিন থেকেই নেটে ওর গতি দেখে অবাক হই। এত জোরে বল করতে শুরু করলেন, বাধ্য হয়ে থামিয়ে দিলাম। বললাম প্রতিদিন অনুশীলনে আসতে। কিন্তু একদিন আসত, সাতদিন আসত না। পরে জানতে পারলাম, বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে টেনিস বলের ক্রিকেট খেলে অর্থ উপার্জন করে উমরান।‘
নেটে দেখার পর ছাত্র উমরানের কাছেই এমন গতির রহস্যও জানতে চান স্বয়ং কোচ। উমরানের গতিময় বোলিংয়ের পেছনে শক্তির রহস্য হিসেবে উমরানের একটাই কথা, কোমরে বালি ভর্তি টিউব বেঁধে বালির উপর দৌঁড়িয়েই এই শক্তির সঞ্চয় করেছেন তিনি। আর তাতেই নাকি সফল তরুণ এই ফাস্ট বোলার।