কষ্টের সময় পাশে ছিলেন তিনিই। পাশে থেকে ভাগ করে নিয়েছেন খুদে জাদুকরের সব দুঃখ – কষ্ট। সাহসও যুগিয়েছেন তিনি, দিয়েছেন আশ্বাসও। তাই সব পাওয়ার দিনেও ভালোবাসার মানুষটিকে শুভেচ্ছা জানালেন মেসির স্ত্রী আন্তোনেল্লা রোকুজ্জো। প্রশংসায় ভাসিয়েছেন মেসিকে।
ফুটবলের এমন কিছু নেই যা অর্জন করেননি ফুটবল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ছাত্র লিওনেল মেসি। ২৮ বছরের শিরোপা খরা কাটিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন ব্রাজিলকে হারিয়ে দেশকে এনে দিয়েছেন কোপা আমেরিকা ট্রফি। ইউরোপের মাটিতে জিতেছেন ফিনালিসিমা। কিন্তু তবুও যেন খুশি হতে পারছিলেন না এলএমটেন। কিছু একটার অপূর্ণতা তাকে যেন ছুটিয়ে বেড়াচ্ছিল। অবশেষে বিশ্বকাপের ট্রফি জিতে পূর্ণ করলেন সেই অপূর্ণতা।
২০১৪ সালের ফিফা বিশ্বকাপের কথা এখনও কাঁদায় আলবিসেলেস্তেদের। লক্ষ্যের একদম দোরগোড়ায় পৌঁছে গিয়েও শেষ পর্যন্ত স্বপ্নভঙ্গ হয় মেসিদের। ফাইনালের ওই ম্যাচে জার্মানের কাছে হেরে এরপর কতরাত যে নির্ঘুম কাটিয়েছেন এলএমটেন এটা শুধু তিনিই জানেন। সেই বিশ্বকাপ যে মেসির রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিল এমন সংবাদ প্রকাশ করেছিলেন মেসির এক সতীর্থ এবং বন্ধু। আর এমন সব কঠিন সময়ে পাশে পেয়েছেন সহধর্মিণী আন্তোনেল্লাকে। তাই স্বামীর এমন খুশির দিনে তাকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্টও করেছেন আন্তোনেল্লা।
তিনি লেখেন, ” বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন। কী ভাবে লিখতে শুরু করব বুঝতে পারছি না। মেসি তোমার জন্য আমরা গর্বিত। কখনও হাল ছাড়তে নেই, ধন্যবাদ এটা শেখানোর জন্য। শেষ পর্যন্ত লড়াই করতে হয়। অবশেষে হল। তুমি বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। এত বছর ধরে তুমি কী কষ্ট পেয়েছ, সেটা আমি জানি। এটা পাওয়ার জন্য তুমি কী ভীষণ অপেক্ষা করেছিলে জানি। এগিয়ে চলো আর্জেন্টিনা। “
মেসি ভালোবেসে দাম্পত্য জীবন শুরু করেছিলেন বাল্যকালের বান্ধবী আন্তোনেল্লার সঙ্গে। ২০০৮ সালে তাদের সম্পর্কের কথা সামনে আসলেও তা স্বীকার করেননি কেউই। তবে তার একবছর পর কোটি কোটি নারী ভক্তকে কাঁদিয়ে আন্তোনেল্লার কথা জানান মেসি। এরপর তাদের কোল আলো করে আসে তাদের তিন সন্তান। বিশ্বকাপ জয়ের পর মেসিকেও আনন্দ ভাগাভাগি করতে দেখা যায় তার পরিবারের সদস্যদের সাথে।