ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের বিবরণ
ম্যাচ: ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, ২০ তম ম্যাচ। কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ
তারিখ: ২৬ নভেম্বর ২০২২
সময়: রাত ১.০০ (GMT+৬), ১২.৩০ (GMT+৫.৫)
ভেন্যুঃ আল বায়ত স্টেডিয়াম, কাতার
ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রিভিউ
শুক্রবার রাতে আল বায়েত স্টেডিয়ামে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে লড়াইয়ে জয়ের মধ্য দিয়ে শীর্ষস্থান অর্জনের চেষ্টা করবে ইংল্যান্ড। শেষ ম্যাচের আগেই নিজেদের দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করার লক্ষ্যে এই ম্যাচেই জয় তুলে নিতে চাইবে তারা। ১৯৮২, ২০০৬, ২০১৮ বিশ্বকাপেও একই ভাবে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছিল তারা। গত বিশ্বকাপে পানামাকে ছয় এক গোলে পরাজিত করেছিল তারা। সেবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কে পেছনে ফেলে কনকাকাফ অঞ্চল থেকে বিশ্বকাপের টিকেট নিশ্চিত করে পানামা।
ইংল্যান্ড মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে ১১ ম্যাচে ৩৯ বার গোলের ঠিকানা খুঁজে নেয়। তবে প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬–২ গোলের বড় ব্যবধানে জয় বিশ্বাসী করে তুলবে এবং তাদের উপরে সমর্থকদের প্রত্যাশা বাড়িয়েছে।
ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ম্যাচের মূল পয়েন্ট
তরুণ দল নিয়ে বিশ্বকাপের মধ্যে খেলতে এসেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অপরদিকে নিজেদের প্রথম ম্যাচে ইরানের বিরুদ্ধে ৬–২ গোলের জয় ইংল্যান্ডকে গ্রুপের শেষে স্থান করে দিয়েছে। এই ম্যাচে জয়ের মধ্য দিয়ে তারা দ্বিতীয় পর্ব নিশ্চিত করতে চাইবে।
২০২২ বিশ্বকাপের ব্রিটেন অন্যতম ভারসাম্যপূর্ণ দল। ইরানের বিরুদ্ধে তারা তাদের টিমের সক্ষমতা প্রমাণ করেছে। বুকাও সাকা এবং হারিকেন প্রথম ম্যাচেই নিজেদের ঝলক দেখিয়েছে।
অপরদিকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র নিজেদের দিনে যে কাউকে চমকে দিতে পারে। তারাও চাইবে এই ম্যাচে ইংল্যান্ডকে বড় ধাক্কা দিতে।
ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র হেড টু হেড
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের সমৃদ্ধ রেকর্ড রয়েছে। দু‘দলের ১১ সাক্ষাতে আটটি জয় ইংল্যান্ডের। ফিফা বিশ্বকাপে তারা এখন পর্যন্ত তিনবার মুখোমুখি হয়েছে। ২০১০ বিশ্বকাপের ম্যাচটি ১–১ গোলে ড্র ছিল, তবে ২০১৮ সালে ইংল্যান্ড ৩–০ গোলের জয় তুলে নেয়।
ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র টিমের খবর
দ্বিতীয় ম্যাচের আগে স্বস্তিতে আছে ব্রিটেন। প্রথম ম্যাচে ইনজুরি আক্রান্ত হারিকেনের ইনজুরি গুরুতর নয়।
ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্কোয়াড
ইংল্যান্ড স্কোয়াড
গোলরক্ষক: জর্ডান পিকফোর্ড, নিক পোপ, অ্যারন রামসডেল।
ডিফেন্ডার: কাইল ওয়াকার, লুক শ, জন স্টোনস, হ্যারি ম্যাগুয়ার, কিয়েরান ট্রিপিয়ার, এরিক ডিয়ের, কনর কোডি, ট্রেন্ট আলেকজান্ডার-আর্নল্ড, বেন হোয়াইট।
মিডফিল্ডার: ডেক্লান রাইস, জর্ডান হেন্ডারসন, ক্যালভিন ফিলিপস, ম্যাসন মাউন্ট, ফিল ফোডেন, জুড বেলিংহাম, জেমস ম্যাডিসন, কনর গ্যালাঘের।
ফরোয়ার্ড: জ্যাক গ্রিলিশ, হ্যারি কেন, রাহিম স্টার্লিং, মার্কাস রাশফোর্ড, বুকায়ো সাকা, ক্যালাম উইলসন।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র স্কোয়াড
গোলরক্ষক: ম্যাট টার্নার, ইথান হরভাথ, শন জনসন
মিডফিল্ডার: ক্রিশ্চিয়ান পুলিসিক, জিওভানি রেনা, ব্রেন্ডেন অ্যারনসন, ওয়েস্টন ম্যাকেনি, টাইলার অ্যাডামস, লুকা দে লা টরে, কেলিন অ্যাকোস্টা, ক্রিস্টিয়ান রোল্ডান,
ডিফেন্ডার: সার্জিনো ডেস্ট, অ্যান্টোনি রবিনসন, ওয়াকার জিমারম্যান, টিম রেম, জো স্কালি, অ্যারন লং, ডিঅ্যান্ড্রে ইয়েডলিন, ক্যামেরন কার্টার–ভিকার্স, শ্যাকেল মুর
ফরোয়ার্ড: টিমোথি ওয়েহ, জেসাস ফেরেরা, হাজি রাইট, জর্ডান মরিস
ইংল্যান্ড বনাম মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র প্রেডিকশন
স্কোরকার্ড: ইংল্যান্ড ৩–০ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র
সাম্প্রতিক ফর্ম এবং ইতিহাস বিবেচনায় ইংল্যান্ড পরিষ্কার ব্যবধানে এগিয়ে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের জন্য এই ম্যাচটি হতে যাচ্ছে কঠিন পরীক্ষা।