কাতার বিশ্বকাপ তার দুই ফাইনালিস্ট পেয়ে গেছে। ক্রোয়েশিয়ার বিরুদ্ধে ৩ – ০ ব্যবধানে জয় নিয়ে আগেই ফাইনাল নিশ্চিত করে আর্জেন্টিনা। এরপর মরক্কোর বিপক্ষে ২ – ০ ব্যবধানে জয় নিয়ে ফাইনাল নিশ্চিত করে বর্তমান বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। এই দুই ফাইনালিস্টের মধ্যে এবার শিরোপা জেতার লড়াইয়ে কে এগিয়ে? কী বলছে পরিসংখ্যান?
শুধু এবারই নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার মুখোমুখি হয়েছে এই দুই দল। আর্জেন্টিনা – ফ্রান্স প্রথম মুখোমুখি হয় ১৯৩০ সালে। সেখানে ফ্রান্সকে ১ – ০ ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছিল আলবিসেলেস্তেরা। এই ফাইনালের আগ পর্যন্ত মোট ১২ বার মুখোমুখি হয়েছে আর্জেন্টিনা – ফ্রান্স। আর এই ম্যাচগুলোতে আর্জেন্টিনার জয়ই বেশি। ১২ ম্যাচের মধ্যে আর্জেন্টিনা জয় পেয়েছে ৬ ম্যাচে এবং ফ্রান্স জয় পেয়েছে তিন ম্যাচে। আর বাকি তিন ম্যাচ ড্র করেছে তারা।
ফ্রান্সের কাছে আর্জেন্টিনা প্রথম পরাজিত হয় ২০১৮ সালে রাশিয়া বিশ্বকাপে। বিশ্বকাপের আসরে তৃতীয়বারের মতো মুখোমুখি হয়ে ৪ – ৩ গোলের ব্যবধানে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে দেয় ফরাসিরা। সেবার শেষ ষোলোর ম্যাচে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে কোয়ার্টার ফাইনালে জায়গা করে নেয় ফ্রান্স এবং শেষ পর্যন্ত শিরোপা নিয়ে ঘরে ফেরে তারা।
এবার চার বছর আবার মুখোমুখি দুই দল। তাও আবার বিশ্বকাপে শিরোপা জেতার লড়াইয়ে। যদিও বিশ্বকাপের শুরুটা বড়সড় ধাক্কা খেয়েই শুরু করে আর্জেন্টিনা। টানা ৩৬ ম্যাচ অপরাজিত থেকে সৌদি আরবের মতো দলের কাছে হেরে যায় তারা। তবে এরপরে অবশ্য ঘুরে দাঁড়ায়। গ্রুপ পর্ব থেকে শেষ পর্যন্ত মেক্সিকো এবং পোল্যান্ডকে হারিয়ে গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন হয়েই গ্রুপ অব সিক্সটিনে জায়গা করে নেয়। এরপর ধাপে ধাপে জয় নিয়ে শেষ পর্যন্ত গত আসরের রানার্সআপ ক্রোয়েশিয়াকে ৩ – ০ গোলের ব্যবধানে হারিয়ে ফাইনালের মঞ্চে আর্জেন্টিনা।
উল্লেখ্য, এর আগে আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স দুই দলই দুইবার করে বিশ্বকাপ জিতেছে। এবার উভয় দলের তিন নম্বর শিরোপা ঘরে তোলার অপেক্ষা। আর্জেন্টাইন অধিনায়ক লিওনেল মেসি তো আগেই ঘোষণা দিয়েছেন এটাই তার শেষ বিশ্বকাপ। সেই অনুযায়ী বিশ্বকাপের আসরে ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনাল ম্যাচটিই হতে যাচ্ছে তার শেষ ম্যাচ।
মেসি তাই ক্যারিয়ারের শেষটা শিরোপা জিতেই রঙিন করতে চাইবে। এদিকে বিশ্বকাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্সও শিরোপার বড় দাবিদার। আগামী রোববার কাতারের লুসাইল স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ সময় রাত ৯ টায় মাঠে নামবে দুই প্রতিপক্ষ।