গত বেশ কয়েকদিন থেকেই বাংলাদেশ ক্রিকেটের মাথাব্যথার কারণ দলের টপঅর্ডার। বোলিংয়ে পেসারদের বিপ্লব ঘটলেও ব্যাটিংয়ে ব্যর্থতার ষোলকলা পূর্ণ করেছে টাইগাররা। টাইগারদের গত কয়েকটি টেস্টের হারের চিত্র বিশ্লেষণ করলে দেখা যাবে প্রায় সবকটি ম্যাচেই বল হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন বোলাররা।
তার ঠিকই উল্টো চিত্র যেন ব্যাটিংয়ের বেলায়৷ হাতেগুনা দু’একজনকে ছাড়া টাইগারদের টপ অর্ডার বরাবরই ব্যর্থ। সেন্ট লুসিয়ায় দ্বিতীয় টেস্টের পূর্বে টাইগার স্কোয়াডের নতুন সংযোজন এনামুল হক বিজয় জানালেন সেন্ট লুসিয়ায় টাইগাররা নিজেদের কাজ করে দেখাবে।
ইয়াসির রাব্বির ইঞ্জুরিতে হঠাৎই সাদা পোষাকের ক্রিকেটে ডাক পড়ে বিজয়ের। এনামুল খেললে তো টপ অর্ডারেই খেলবেন, গত কিছুদিনে যা বাংলাদেশের বড় দুশ্চিন্তা। সেই দুশ্চিন্তা কাটাতে দলের কিংবা বিজয়ের নিজের পরিকল্পনা কি সেটা জানতে চাইলে এই ডানহাতি ওপেনার বলেন, ‘সবাই মিলেই উন্নতি আনতে হবে। এখানে আমাদের মানসিকভাবে শক্ত থাকা জরুরি।
বিজয় আরো বলেন ” গত তিন-চার দিনে আমাদের যে কথা হয়েছে, আশা করি, এই ম্যাচে আমরা সেটা করে দেখাতে পারব। সুযোগ পেলে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব, যাতে বাংলাদেশ দলের জন্য ভালো স্কোর দিতে পারি। এখানে দ্রুত উইকেট পড়া থামানো থেকে শুরু করে রান এগিয়ে নিয়ে যাওয়া…সবকিছুই গুরুত্বপূর্ণ।’
আট বছর পর দলে ফিরে ড্রেসিংরুমের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে বিজয় বলেন, ‘এত বছর পর ফিরে খুবই ভালো লাগছে। প্রত্যেক খেলোয়াড়, ভালোভাবে স্বাগত জানিয়েছে। দল হিসেবে আমরা দারুণ অবস্থানে আছি। হয়তো ফল পক্ষে আসছে না, তবে আমাদের বাংলাদেশকে আরও সামনে নিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। আশা করব, আমি সেই দলের অংশ হয়ে থাকতে পারব “।
শুরুতে সাদা বলের ক্রিকেটের জন্য ডাক পেলেও হঠাৎই লাল বলের ক্রিকেটে ডাক পড়ে বিজয়ের। সুযোগ পেয়ে রোমাঞ্চিত বিজয় নিজের পরিকল্পনাকেই এবার বাস্তবে রূপ দিতে চান। বিজয় বলেন, ‘রোমাঞ্চিত অনেক। নতুন কিছু করতে চাই না। যেভাবে এত দিন প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছি, যেভাবে দেশের হয়ে টেস্ট খেলার কথা কল্পনা করেছি, সেটাই করতে চাই।’