যতই সময় গড়াচ্ছে, উন্নতির চেয়ে যেন অবনতির গ্রাফটাই বেশি দৃশ্যমান বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। প্রতি আসরেই এটা নেই ওটা নেই, যেন শুধু নেই আর নেই এর হাহাকার। যেখানে বিদেশি তারকাদের আনাগোনাও তুলনামূলক কম। বিপিএলে ডেভিড ওয়ার্নার, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের দেখা মিলেছে কালেভদ্রে।
এবার সেই সংকট আরো বেড়ে সম্ভাবনা। কারণ ২০২৩ সালের জানুয়ারিতে মাঠে গড়াতে যাওয়া বিপিএলের সময় একই সাথে অনুষ্ঠিত হবে বিগ ব্যাশ, ইন্টারন্যাশনাল টি–টোয়েন্টি লিগ এবং এসএ টি–টোয়েন্টি লিগ। ফলে কাড়ি কাড়ি অর্থের সেসব লিগকে টেক্কা দিয়ে বিপিএলে বিদেশি ক্রিকেটার আনতে ভিন্ন কৌশলে হাঁটছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)। শিথিল করা হয়েছে খেলোয়াড় নিবন্ধন।
বিপিএল গভর্নিং কাউন্সিলের চেয়ারম্যান ইসমাইল হায়দার মল্লিক এ প্রসঙ্গে বলেন, , একই সময়ে সূচি হওয়া লিগগুলোতে অনেক তারকা চুক্তিবদ্ধ হয়ে গেছে। আমরাও বিপিএল আগেপিছে করতে পারছি না। তাই বিদেশিদের জন্য রেজিস্ট্রেশন পদ্ধতি রাখবো না। উন্মুক্তভাবে যেকোনো সময় যে কেউ এসে খেলে যেতে পারবে। এরকম চিন্তাভাবনা আছে।‘
ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলো ইচ্ছেমত বিদেশিকে দলে নিতে পারলেও একাদশে খেলানো যাবে মাত্র চারজন। মল্লিক আরো বলেন, ‘বিদেশি ক্রিকেটারের ক্ষেত্রে আমরা কোনো লিমিটেশন রাখতে চাচ্ছি না। আইপিএল ছাড়া অনেক টুর্নামেন্ট এখন ওভারল্যাপ করছে। কাজেই বিদেশি ক্রিকেটার পাওয়াটাই এখন অনেক কঠিন।‘
সূচির বিষয়ে মল্লিক জানান, ‘আসলে জাতীয় দলের কমিটমেন্টগুলো যেভাবে আছে, এটা পেছানো সম্ভব নয়। পরের বছর ও তার পরের বছরও আমাদের একই পরিস্থিতির শিকার হতে হবে। এরপর থেকে আর সমস্যা হবে না “।
ইতোমধ্যে বিপিএলের মান কমে যাওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছে বিসিবি। শুরুতে মানের দিক দিয়ে আইপিএলের পর বিপিএলের কথা দাবী করলেও সময়ের সাথে সাথে কমেছে বিপিএলের মান৷ ঠিক মত খেলোয়াড়দের পারিশ্রমিক পরিশোধ না করা সহ বিভিন্ন বিতর্ক আছে বিপিএলে। আগামী বিপিএলগুলো বিতর্কমুক্ত হয় কিনা সেটাই দেখার বিষয়।