টানা দুইটি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্যর্থ হয়েছে ভারত। ২০২১ সালে গ্রুপপর্ব থেকেই বিদায়, ২০২২ সালে অবশ্য সেমিফাইনাল থেকে। তবে ইংল্যান্ডের কাছে ১০ উইকেটের লজ্জাজনক হারের পর টনক নড়ে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিসিআই)। এমন ব্যর্থতার কারণ খুঁজতে বিশ্বকাপের পরেই অধিনায়ক, কোচ এবং সিনিয়র ক্রিকেটারদের সঙ্গে বৈঠক করতে চায় বিসিসিআই।
কিন্তু কয়েকজন বোর্ড কর্তার ব্যস্ততার কারণে সেই বৈঠক এখনো অনুষ্ঠিত হয়নি। এরমধ্যে বাংলাদেশ সফরে এসেই ওয়ানডে সিরিজে ভরাডুবি হয় ভারতীয় দলের। ওয়ানডে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচে নিম্প্রভ পারফরম্যান্স করে সিরিজ খুইয়েছে রোহিত শর্মা, বিরাট কোহলিরা। আর তাতেই বৈঠকের ব্যাপারে ফের সরব হয়েছে বিসিসিআই। বাংলাদেশ থেকে ফেরার পরেই অধিনায়ক, কোচের সঙ্গে বসবেন বোর্ড কর্তারা।
অবশ্য বৈঠকে শুধু রোহিত, রাহুল দ্রাবিড় থাকবেন তা নয়। কোহলিদের সঙ্গে আরো থাকবেন ভারতের জাতীয় ক্রিকেট একাডেমীর প্রধান ভিভিএস লক্ষ্মণও। এই বৈঠকের কারণ হচ্ছে, দলের বর্তমান পারফরম্যান্স নিয়ে বেশ শঙ্কিত বিসিসিআই। ওদিকে আবার ২০২৩ সালে ঘরের মাঠে ওয়ানডে বিশ্বকাপ। সেখানে শিরোপা জয় ছাড়া বিকল্প কিছুই ভাবার কথা নয় ক্রিকেটের এই পরাশক্তির।
অনেক বছর ধরেই আইসিসি টুর্নামেন্টে সাফল্য পায়নি ভারত। সর্বশেষ সাফল্যটা এসেছে মহেন্দ্র সিং ধোনির হাত ধরে।২০১৩ সালের আইসিসি চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জয় করে ভারত। বাকিটুকু শুধুই হতাশার গল্প। এরপর থেকে ভারতের দৌঁড় সর্বোচ্চ সেমিফাইনাল পর্যন্ত। শিরোপা ঘরে তোলা দূরে থাক, একবারের জন্য ফাইনালেও পৌঁছাতে পারেননি ভারতীয়রা। যার কারনে সমালোচনার শিকার হচ্ছে রোহিত- কোহলিরা।
ভারতীয় দলের ব্যর্থতা কাটিয়ে সাফল্যের ছোঁয়া পেতে, অনেকেই বিভিন্ন রকম পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। যার মধ্যে একটি হলো অধিনায়ক পরিবর্তন। বিশেষজ্ঞ থেকে সাবেক ক্রিকেটারদের অনেকেই চান, ভারতের নেতৃত্ব উঠুক হার্দিক পার্ডিয়ার কাঁধে। অবশ্য সেটা টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে। ক্রিকেট বিশেষজ্ঞেদের আবার অনেকেই চান ওয়ানডের নেতৃত্ব চালিয়ে যান রোহিত। আবার অনেকের মতে, তিন সংস্করণে আলাদা দল গড়লে সাফল্যের মুখ দেখবে ভারত। তবে বৈঠকের পর বোঝা যেতে পারে কোন পথে হাটবে ভারতের ক্রিকেট।