পিবিকেএস বনাম ডিসি এর ম্যাচ হাইলাইটস
সোমবার আইপিএল ২০২২ এর ৬৪তম ম্যাচে নাবি মুম্বাইয়ের ডিওয়াই প্যাটেল স্টেডিয়ামে শার্দুল ঠাকুরের অসাধারণ স্পেলের সৌজন্যে পাঞ্জাব কিংসের (পিবিকেএস) বিপক্ষে ১৭ রানের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে দিল্লি ক্যাপিটালস (ডিসি)। সেই সাথে প্লে-অফের দিকে আরও একধাপ এগিয়ে গেল ডিসি।
টসে জিতে পিবিকেএস এর অধিনায়ক মায়াঙ্ক আগরওয়াল ফিল্ডিং করার সিধান্ত নেন এবং ডিসি’কে ব্যাটিং করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে ইনিংসের প্রথম বলেই গোল্ডেন ডাক মারেন ডিসি’র ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার। এরপর ওয়ান-ডাউনে খেলতে নামেন মিচেল মার্শ।
এই মৌসুমের পঞ্চম ম্যাচ খেলতে নামা আর এক ওপেনার সরফরাজ খানের সঙ্গে ২৯ বলে ৫১ রানের দারুণ জুটি গড়ে তোলেন মিচেল মার্শ। সরফরাজ ৫ চার ও ১ ছক্কায়, ১৬ বলে ৩২ রানের একটি ঝড়ো ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরে গেলে দলকে একাই টেনে নিয়ে যান মার্শ।
১৯তম ওভারে আউট হওয়ার আগ পর্যন্ত এ অস্ট্রেলীয় ব্যাটার ৪৮ বলে ৬৩ রান করেন। যেখানে তিনি ৪টি চার ও ৩টি ছক্কা হাঁকান। এছাড়া ললিত যাদব ২১ বলে ২৪ এবং শেষ দিকে অক্ষর প্যাটেল ২০ বলে ১৭ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে মার্শকে সঙ্গ দিয়েছেন। যার ফলশ্রুতি শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রানের লড়াকু পুঁজি সংগ্রহ করে ডিসি।
পিবিকেএস এর হয়ে পার্ট-টাইম বোলার লিয়াম লিভিংস্টোন ৪ ওভারে ২৭ রান দিয়ে সর্বাধিক ৩টি উইকেট তুলে নেন। এছাড়া আর এক স্পিনার অর্শদীপ সিং ৩টি এবং কাগিসো রাবাদা ১টি উইকেট নেন।
১৬০ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পাওয়ার প্লে-র ছয় ওভারে ৫৪ রান তুললেও মূল্যবান তিনটি উইকেট হারিয়ে ম্যাচে পিছিয়ে পড়ে পিবিকেএস। চতুর্থ ওভারে ডিসি’র পেসার আনরিখ নর্কিয়া জনি বেয়ারস্টোকে (২৮) সাজঘরে ফেরানোর পর ষষ্ঠ ওভারে জোড়া আঘাত হানেন শার্দুল ঠাকুর।
শিখর ধাওয়ান (১৯) ও ভানুকা রাজাপক্ষেকে (৪) তুলে নেন ডিসি’র এই পেসার। এরপর পিবিকেএস আর সেভাবে ম্যাচে ফিরে আসতে পারেনি। দশ ওভারের মধ্যে লিয়াম লিভিংস্টোন (৩) ও মায়াঙ্ক আগারওয়াল (০) সহ আরও ৩ উইকেট হারিয়ে তখনই প্রায় ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়েছিল পিবিকেএস।
জিতেশ শর্মা এক প্রান্ত আগলে পাল্টা লড়াই চালিয়ে গেলেও অন্য প্রান্ত থেকে সতীর্থদের সমর্থন পাননি। জয়ের জন্য শেষ ৫ ওভারে পিবিকেএস এর প্রয়োজন ছিল ৫৯ রান। জিতেশ শর্মা ও রাহুল চাহার চেষ্টা করলেও ১৮তম ওভারে জিতেশকে (৩৪ বলে ৪৪) অসাধারণ ক্যাচে পরিণত করে পিবিকেএস এর পথটা আরও কঠিন করে তোলেন ডেভিড ওয়ার্নার।
শার্দুল ঠাকুরের বলে লং অফ থেকে প্রায় ১৫ গজ দৌড়ে ক্যাচটি নেন ওয়ার্নার। প্রোটিয়া পেসার কাগিসো রাবাদা সে ওভারে একটি ছক্কা মারলেও শেষ বলে আবারও ছক্কা মারতে গিয়ে ক্যাচ আউট হন। শেষ দুই ওভারে ২৯ রানের লক্ষ্য মেলাতে পারেনি পিবিকেএস। ফলে শেষ পর্যন্ত ৯ উইকেটে ১৪২ রান তুলতেই থেমে যায় পিবিকেএস এর ইনিংস।
পিবিকেএস এর হয়ে শার্দুল ঠাকুর ৪ ওভারে ৩৬ রান দিয়ে সর্বোচ্চ ৪টি উইকেট শিকার করেন। অক্ষর প্যাটেল ও কুলদীপ যাদব উভয়ই মাত্র ১৪ রান দিয়ে তুলে নেন ২টি করে উইকেট। এছাড়া আনরিখ নর্কিয়া ১টি উইকেট নেন।
১৩ ম্যাচে সাত জয় ও ছয় হারে ১৪ পয়েন্ট নিয়ে এখন পয়েন্ট টেবিলের ৪র্থ স্থানে উঠে এসেছে দিল্লি ক্যাপিটালস। অপরদিকে, ১৩ ম্যাচে ৬ জয় ও ৭ পরাজয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে পাঞ্জাব কিংস এখন স্ট্যান্ডিংয়ের ৭ম স্থানে অবস্থান করছে।
পিবিকেএস বনাম ডিসি এর স্কোরবোর্ড
দিল্লি ক্যাপিটালস – ১৫৯/৭ (২০.০)
পাঞ্জাব কিংস – ১৪২/৯ (২০.০)
ফলাফল – দিল্লি ক্যাপিটালস ১৭ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – শার্দুল ঠাকুর
পিবিকেএস বনাম ডিসি এর ম্যাচের এওয়ার্ড
এওয়ার্ড এর নাম | খেলোয়াড়ের নাম | দল |
সুপার স্ট্রাইকার অফ দ্য ম্যাচ | সরফরাজ খান | ডিসি |
গেমচেঞ্জার অফ দ্য ম্যাচ | শার্দুল ঠাকুর | ডিসি |
লেট’স ক্র্যাক ইট সিক্স | মিচেল মার্শ | ডিসি |
ফাস্টেস্ট ডেলিভারি অফ দ্য ম্যাচ | আনরিখ নর্কিয়া | ডিসি |
মোস্ট ভ্যালুয়েবল এসেট অফ দ্য ম্যাচ | মিচেল মার্শ | ডিসি |
পাওয়ার প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ | সরফরাজ খান | ডিসি |
অন-দ্য-গো ৪’স অফ দ্য ম্যাচ | সরফরাজ খান | ডিসি |
ম্যান অফ দ্য ম্যাচ | শার্দুল ঠাকুর | ডিসি |