অতীত রেকর্ড অনুযায়ী, জনপ্রিয় ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগ আইপিএলে শিরোপা নিবে কারা এমন প্রশ্ন করলে অনায়াসেই উত্তর চলে আসত মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স অথবা চেন্নাই সুপার কিংসের। তবে, কালের পরিক্রমায় চলমান আসরের প্রথম ধাপেই বিদায় নিচ্ছে দুটি ফ্র্যাঞ্চাইজি। আসরে নিজের নবম ম্যাচে এসে জয়ের দেখা পেয়েছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স। অন্যদিকে, চেন্নাইয়ের জয়ের সংখ্যাও মাত্র দুটি।
সবসময় প্রথম সারিতে থাকা দুটি দল প্রথম ধাপেই বিদায় নেয়ায় এবারের আসরের ফেভারিট দল নির্বাচনে বেশ বেগ পেতে হচ্ছে। এই যেমন কেভিন পিটারসন নিজের পছন্দের তালিকায় রাখতে হয়েছে তিনটি ফ্র্যাঞ্চাইজিকে। আসরে চমক দেখানো দল গুজরাট টাইটান্সকে এগিয়ে রাখলেও পিটারসনের দৃষ্টিতে এগিয়ে আছে রাজস্থান এবং দিল্লীও। তিনি বলেন, ‘এই মুহূর্তে আইপিএলে গুজরাট টাইটানসকে আটকানো খুব কঠিন হবে বলে মনে হচ্ছে। ওরা ম্যাচে ভালো অবস্থায় থাকুক, মোটামুটি থাকুক বা খারাপ অবস্থায় থাকুক, নিয়মিত ম্যাচ জেতার উপায় খুঁজে বের করছে। আপনার মধ্যে জয়ী এই মানসিকতা থাকলে সেটা ভাঙা কঠিন। রাজস্থান রয়্যালসও খুব ভালো করছে। আর ওদের যে অভিজ্ঞতা, তাতে দিল্লি ক্যাপিটালসও শেষ চারের জন্য ভালো দৌড় দেবে বলে মনে হচ্ছে। এবারের শিরোপা দৌড়ে আমার চোখে এরাই তিন ফেবারিট দল।’
প্রথমবারের মতো আইপিএলের মতো আসরে যুক্ত হয়ে নিজেদের পারফরম্যান্স দিয়ে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে গুজরাট টাইটান্স৷ কেভিন পিটারসনকে তাই দলটি মনে করিয়ে দিয়েছে শেন ওয়ার্নের কথা। ২০০৮ সালে শেন ওয়ার্নের সেই চমকে দেয়া দলের ছাপই গুজরাটে দেখছেন পিটারসন। তিনি বলেন, ‘ওদের স্কোয়াড দেখে প্রথমে মনে হয়নি ওরা টেবিলের চূড়ায় থাকবে, কিন্তু ওরা ছন্দে আছে। ২০০৮ সালে শেন ওয়ার্নের অধীনে আইপিএল জেতা রাজস্থান রয়্যালসের কথা মনে করিয়ে দিচ্ছে ওরা। কাগজে-কলমে ওরা সেরা ছিল না, কিন্তু সবাই জানত ওরা কী করছে এবং ওদের দারুণ মানসিকতা ছিল। যখন এভাবে জিতবেন, তখন ড্রেসিংরুমের আবহটাই খুব ইতিবাচক হয়ে যায়। কেউ হার নিয়ে কথা বলে না, সবার মুখে হাসি থাকে এবং সবাই ইতিবাচক চিন্তা করে। এর ফলে নিজের মতো খেলার এবং এতে আরও ভালো করার সুযোগ করে দেয়।’
তিনি আরো যোগ করেন, ‘ওরা ভয় পায় না। মনে মনে যা ঠিক মনে করছে, তাই করে। সেদিন রাতে সানরাইজার্স হায়দরাবাদের বিপক্ষে রশিদ খান কীভাবে ম্যাচ বের করে নিল, সেটাই দেখুন। ওর মধ্যে ওই ইতিবাচক চিন্তা ছিল বলেই করতে পেরেছে।’