বর্নাঢ্য ক্রিকেট ক্যারিয়ারে মারকাটারি ব্যাটিংয়ের জন্য তিনি যেমন দর্শক নন্দিত ছিলেন তেমনি বিতর্কিত সব কর্মকাণ্ড করে বারবার খবরের শিরোনাম হয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি। তবে ২০০৫ সালে পিচ টেম্পারিং কান্ডের জন্য সবচেয়ে বেশি সমালোচিত এই ক্রিকেটার। এবার ১৭ বছর আগের সেই ঘটনা নিয়ে মুখ খুললেন স্বয়ং আফ্রিদি ই। এরপর শোরগোল পড়ে গেছে ক্রিকেট পাড়ায়।
২০০৫ সালের সেই ম্যাচে পিচ টেম্পারিং কান্ডের পর তিন ম্যাচ নিষিদ্ধও হয়েছিলেন আফ্রিদি। তবে তার এই কুকীর্তির সাথে জড়িত ছিলেন আরেক পাক ক্রিকেটার শোয়েব মালিক। সম্প্রতি এমনই এক চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ করেন খোদ আফ্রিদি।
সম্প্রতি সামা টিভির এক অনুষ্ঠানে এসে ফায়সালাবাদের ওই ম্যাচটির ঘটনার কথা জানান আফ্রিদি। তিনি বলেন,” ফয়সালাবাদের ওই ম্যাচটায় বল টার্ন করছিল না। খুবই বিরক্তিকর লাগছিল। আমরা পুরো শক্তি নিয়ে ঝাপিয়ে পড়েও উইকেট ফেলতে পারছিলাম না। তারপর হঠাৎ বাইরে একটা সিলিন্ডার গ্যাস বিস্ফোরণ ঘটল। সবাই যখন ওদিকে মনযোগী, আমি তখন মালিককে বললাম, আমার মন চাচ্ছে পিচে পাড়া দেই, তাহলে বল টার্ন করবে।“
আফ্রিদির এই চাওয়ার সমর্থন করেন শোয়েব মালিক। মালিকের কথা শুনে আফ্রিদি তার চাওয়াটা পূর্ণ করেন। এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি আরো বলেন,” মালিক বলল, করে ফেলেন। এখন কেউ দেখবে না। তারপর আমি সেটাই (টেম্পারিং) করলাম। এরপর তো ইতিহাস।“
পরবর্তীতে আর এমন কান্ড করেননি তিনি। তবে ভুলের কথা স্বীকার করে আফ্রিদি আরো বলেন,”এখন যখন পেছনে ফিরে তাকাই বুঝতে পারি ভুল করেছি সেদিন। “ফায়সালাবাদের ওই ম্যাচটিতে পিচ টেম্পারিং করেও জিততে পারেনি শহীদ আফ্রিদিরা। তবে জিততে পারেনি প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ডও। ম্যাচটি ড্র হয়েছিল। আফ্রিদি প্রথম ইনিংসে ৮৫ বলে করেছিলেন ৯২ রান। তবে দ্বিতীয় ইনিংসে মেরেছিলেন গোল্ডেন ডাক।
আফ্রিদির ঐ সাক্ষাৎকার ইতোমধ্যেই ভাইরাল। এরপর থেকেই ক্রিকেট বিশ্বে চলছে আলোচনা সমালোচনা। তবে এই প্রসঙ্গে এখনো মুখ খোলেননি শোয়েব মালিক। কয়েক দিন আগে নিজের হবু জামাই শাহীন আফ্রিদির ইনজুরির চিকিৎসায় পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড ঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করেনি দাবী করেও সংবাদের শিরোনামে আসেন বুমবুম আফ্রিদি।