নেপাল বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত (২য় ওডিআই) – হাইলাইটস
নেপাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত বুধবার নেপালের ত্রিভুবন বিশ্ববিদ্যালয় আন্তর্জাতিক ক্রিকেট মাঠ, কীর্তিপুরে তিনটি ওডিআই ম্যাচের ২য় টিতে মুখোমুখি হয়েছিল। ঐ ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে ভালই এক লক্ষ্য তৈরী করে সংযুক্ত আরব আমিরাত। কিন্তু সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনার সেই লক্ষ্যে তাড়া করতে নেমে দুর্দান্ত ব্যাটিং করে নির্ধারিত ৫০ ওভার শেষ হয়ে যাওয়ার আগেই লক্ষ্যে পৌছে যায় নেপাল। ফলে হার নিয়ে মাঠ ছাড়তে হয় সংযুক্ত আরব আমিরাতের। অন্যদিকে প্রথম ম্যাচে জয় লাভ করে সিরিজে সমতা ফিরিয়ে এনেছে নেপাল। এছাড়া নেপালের হয়ে ভাল বোলিং এবং ব্যাটিং এর দরুন ম্যাচ সেরার খেতাব জিতে নেন গুলসান ঝা।
নেপাল এবং সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচে টসে জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেন সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং নেপালকে পাঠান বোলিং করতে। প্রথমে ব্যাটিং করতে নেমে আগের ম্যাচের মত শুরুটা ভালই করেছিলেন দুই ওপেনার বৃত্তি অরবিন্দ ও মুহাম্মদ ওয়াসিম। ১১.৫ ওভারে ৭২ রানের জুটি গড়েন তারা। তাদের এই জুটি ভাঙ্গেন দীপেন্দ্র সিং। ১২ তম ওভারে দীপেন্দ্র সিং-এর বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন বৃত্তি অরবিন্দ। মাঠ ছাড়ার আগে ৪ চারের সাহায্যে ৩৯ বল ২৫ রান করেছিলেন তিনি। এরপর মাঠ থেকে বিদায় নেন মুহাম্মদ ওয়াসিম। দলীয় ৮০ রানের মাথায় ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। ৩ চার ও ৪ ছয়ের সাহায্যে ৪৬ বলে ৫০ রান করেছিলেন তিনি।
এরপর ১০ রানের ব্যবধানে পড়ে রোহান মুস্তাফার উইকেট। মাঠ ছাড়ার আগে ৯ বল খেলে মাত্র চার রান করেছিলেন তিনি। গত ম্যাচে রান না করতে পারলেও এই ম্যাচে মোটামোটি ভালই খেলেছিলেন অধিনায়ক চুন্দঙ্গাপয়িল রিজওয়ান। ২ চারের সাহায্যে ৩৪ বলে ২২ রান করেছিলেন তিনি। এর ১০ ওভার পর সাজঘরে ফেরেন বিষ্ণু সুকুমারন, ১ চারের সাহায্যে ৩৯ বলে ১৫ রান করেছিলেন তিনি। ৪৩ বলে ৩৫ রান করেছিলেন আলিশান শরাফু। তার এই ৩৫ রানের ইনিংসে ছিল ৩টি চার। ৮ বল খেলে মাত্র ২ রান করে সাজঘরের উদ্দ্যেশে রউনা দেন আগের ম্যাচের ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ অয়ন আফজাল খান। ৪২ তম ওভারে বোল্ড আউট হন বাসিল হামিদ। ১ চার ও ২ ছয়ের সাহায্যে ২৬ বলে ২৪ রান করেছিলেন তিনি। এছাড়া গোল্ডেন ডাক মারেন জহুর খান। ৬ বলে ৭ রান করেন সাবির আলি এবং ১ রানে অপরাজিত থাকেন হযরত বিলাল। শেষ পর্যন্ত ৬ রান এক্সট্রা সহ ৪৩.২ ওভারে ১৯১ রান করেন তারা।
নেপালের পক্ষে ৩টি করে উইকেট নেন সোমপাল কামি ও ললিত রাজবংশী। এছাড়া ১টি করে উইকেট শিকার করেন কুশল ভুর্টেল, করণ কেসি, গুলসান ঝা, এবং দীপেন্দ্র সিং।
১৯২ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিং করতে নেমে ৭ উইকেট হারিয়ে ১৩ বল হাতে রেখে জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় নেপাল। তাদের হয়ে সব থেকে বেশি রান করেন গুলসান ঝা। রোহান মুস্তাফার বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি। আউট হওয়ার আগে ৪ চার ও ১ ছয়ের সাহায্যে ৪৯ বলে ৩৭ রান করেন তিনি। ৬ চারের সাহায্যে ৫২ বলে ৩৫ রান করেন কুশল ভুর্টেল। ৫৮ বলে ৩৩ রান করেন আরিফ শেখ। সাথে মেরেছিলেন ৩টি চার। ৪ চারের সাহায্যে ৫৯ বলে ২৬ রান করেন জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা। সোমপাল কামি করেন ১৬ বলে ১৬ রান। দীপেন্দ্র সিং করেন ২০ বলে ১৩ রান। এছাড়া অর্জুন সৌদ ০, আসিফ শেখ ৬, রোহিত পাউডেল করেন ৮ রান। শেষে ১৯ রান এক্সট্রা সহ ১৯৩ রান করেন তারা। সংযুক্ত আরব আমিরাতের পক্ষে ৩ টি উইকেট নেন রোহান মুস্তাফা। ২টি উইকেট শিকার করেন হযরত বিলাল। এছাড়া ১টি উইকেট নেন বাসিল হামিদ।
নেপাল বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত এর স্কোরবোর্ড
নেপাল – ১৯৩/৭ (৪৭.৫)
সংযুক্ত আরব আমিরাত – ১৯১/১০ (৪৩.২)
ফলাফল – নেপাল ৩ উইকেটে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – গুলসান ঝা
নেপাল বনাম সংযুক্ত আরব আমিরাত ম্যাচের একাদশ
নেপাল | রোহিত পাউডেল (অধিনায়ক), অর্জুন সৌদ (উইকেটরক্ষক), জ্ঞানেন্দ্র মাল্লা, আসিফ শেখ, আরিফ শেখ, দীপেন্দ্র সিং আইরি, সোমপাল কামি, কুশল ভুর্টেল, করণ কেসি, গুলসান ঝা, ললিত রাজবংশী |
সংযুক্ত আরব আমিরাত | চুন্দঙ্গাপয়িল রিজওয়ান (অধিনায়ক), বৃত্তি অরবিন্দ (উইকেটরক্ষক), রোহান মুস্তাফা, মুহাম্মদ ওয়াসিম, বাসিল হামিদ, আলিশান শরাফু, সাবির আলি, অয়ন আফজাল খান, বিষ্ণু সুকুমারন, হযরত বিলাল, জহুর খান |