টেস্ট ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নিলেন ইংল্যান্ডের ৩৪ বছর বয়সী স্পিন অলরাউন্ডার মঈন আলি। সোমবার দুপুরে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা দিয়েছেন মঈন নিজেই। তবে তিনি জাতীয় দলের হয়ে সাদা বলের ক্রিকেট খেলে যাবেন।
২০১৪ সালে টেস্টের মাধ্যমে অভিষেক হওয়ার পর থেকে ইংল্যান্ডের হয়ে ৬৪টি টেস্ট ম্যাচ খেলেছেন মঈন। যেখানে ব্যাট হাতে ৫ সেঞ্চুরি ও ১৪ ফিফটিতে ২৮.২৯ গড়ে ২৯১৪ রান এবং বল হাতে পাঁচবার ৫ উইকেটসহ ১৯৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি।
টেস্ট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে মঈন বলেছে যে, তাঁর বয়স এখন ৩৪ এবং তিনি ক্রিকেটকে পুরোপুরি উপভোগ করতে চান। তার কাছে, টেস্ট ক্রিকেট আকর্ষনীয় হয়, যখন এই ফরম্যাটে একটি ভালো দিন কাটে তখন এটি অন্য যেকোনো ফরম্যাটের চেয়ে বেশি আনন্দনীয় এবং এটি আরও বেশি ফলপ্রসূ হয়।
তিনি আরও যোগ করেন যে, সে সতীর্থদের সঙ্গে মাঠে নামার মুহূর্তগুলো মিস করবেন। বিশ্বের সেরাদের সঙ্গে খেলাটা মিস করবেন যেখানে নার্ভের পরীক্ষা দিতে হতো এবং সে জানত নিজের সেরা ডেলিভারি দিয়ে বিশ্বের যে কাউকে আউট করতে সে পারবে।
টেস্টে আর মাত্র ৮৬ রান ও ৫ উইকেট নিলেই ৩০০০ রান ও ২০০ উইকেটের ক্লাবে প্রবেশ করতে পারতেন মঈন। তবে তিনি বলেন, তিনি টেস্ট ক্রিকেট উপভোগ করেছেন কিন্তু এর গভীরতা কখনও কখনও খুব বেশি হয়। তিনি মনে করেন, তিনি যথেষ্ঠ করেছেন এবং তিনি যতটুকু করতে পেরেছেন তা নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট।
তাঁর কোচ পিটার মুরস এবং ক্রিস সিলভারউডকে তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। কারণ মুরসের অধীনেই তাঁর অভিষেক হয়েছিল। এছাড়া অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক এবং জো রুটকেও তিনি ধন্যবাদ জানিয়েছেন। তিনি তাদের নেতৃত্বে খেলেছেন এবং তাদের অধীনে খেলা উপভোগ করেছেন। তিনি আশাবাদী যে, তিনি যেভাবে খেলেছেন তাতে তারা সবাই খুশি হয়েছেন।
নিজের ক্যারিয়ারের পূর্ণ কৃতিত্ব বাবা-মাকে দিয়ে মঈন বলেন যে, তাঁর বাবা-মা সেরা। তিনি অনুভব করেন তাদের সমর্থন ছাড়া সে এতো দূর আসতে পারতো না। তাঁর প্রতিটি ম্যাচ সে তাদের জন্য খেলেছে এবং তিনি জানে তারা সত্যিই তাঁর জন্য গর্বিত।
ভাই-বোনের কাছ থেকে পাওয়া সমর্থনও ভোলেননি মঈন। তিনি বলেন, ভাই-বোন তাঁর খারাপ দিনেও তাঁকে অনুপ্রেরণা জুগিয়েছে। তাঁর স্ত্রী এবং বাচ্চাদের আত্মত্যাগের জন্য তিনি সত্যিই কৃতজ্ঞ। তারা সবাই তাঁর এই পথচলায় অসাধারণ ভূমিকা পালন করেছে এবং তিনি যা করেছেন তা তাদের জন্যই করেছে।
ক্রিকেটের আরও সর্বশেষ খবর জানতে, চোখ রাখুন Baji -তে!