
চলুন মেনে নিই—এই আইপিএল সিজনে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ (এসারএইচ)-এর সাপোর্ট করা বেশ ধৈর্যের পরীক্ষা দেবার মত। গত বছর ফাইনালে যাওয়ার পর অনেক বড় আশা ছিল। আর এখন? সাতটা ম্যাচে মাত্র দুইটা জয়। একটু কষ্টই লাগে দেখলে।
ভক্তরা, এক্সপার্টরা আর সোশ্যাল মিডিয়াতে সবাই একটা কথাই বলছে— এসারএইচ কি সত্যিই প্লে-অফের দৌড় থেকে ছিটকে গেছে? নাকি এখনও কিছু বাকি আছে?
চলুন দেখে নিই, কোথায় গিয়ে তাদের পথ আটকে আছে, আর কোন রাস্তাটা এখনও খোলা আছে ওরেঞ্জ আর্মির জন্য।
ব্যাটিং সমস্যা: যা কখনো খুব ধীরে, কখনো খুব ঝুঁকি নিয়ে
এসারএইচ -এর সবচেয়ে বড় সমস্যা ব্যাটিং। তারা এখনো ঠিক বুঝে উঠতে পারেনি, কখন রক্ষণাত্মক খেলবে আর কখন আগ্রাসী হবে। মাঝে মাঝে এত বেশি ডিফেন্সিভ খেলে যে রানই হয় না, আবার কখনো এমন মারতে যায় যে সব উইকেট উড়ে যায়।
শেষ ম্যাচেই এটা দেখা গেছে। পিচ খুব একটা খারাপ ছিল না, কিন্তু ব্যাটিং পরিকল্পনাই ছিল ভুল। একটা ভালো টিমের দরকার একজন শুরু করার মত ব্যাটার, একজন ইনিংস গড়ার মত খেলোয়াড়, আর একজন ফিনিশ করার মত দক্ষ ফিনিশার। কিন্তু এসারএইচ -এর ব্যাটিং কখনো খুব শান্ত, কখনো খুব বেশি তাড়াহুড়ো—যেন মাঝের খুটিই নেই।
হার্দিকের বুদ্ধি দেখিয়ে দিল এসারএইচ কেন কোথায় পিছিয়ে
মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এই ম্যাচে শুধু ভালো খেলেই নাই, বুদ্ধিমত্তায়ও সবার নজর কেড়েছে। হার্দিক পান্ডিয়া যখন করণ শর্মা চোট পেয়ে বেরিয়ে গেলেন, তখন নিজের সিদ্ধান্তে উইল জ্যাকসকে বল করিয়ে উইকেট পেলেন। এটাই বলে দেয়, কাপ্তানি মানেই শুধু প্ল্যান না, বুদ্ধিও লাগে।
এসারএইচ -এর টিমে প্রতিভা আছে, কিন্তু সেই প্রতিভাকে ঠিক সময়ে, ঠিকভাবে ব্যবহার করতে পারছে না। মুম্বাই পিচ বুঝে খেলেছে, আর এসারএইচ একই পুরনো ধাঁচে খেলে গেছে। এমন টুর্নামেন্টে একটু একটু করে বদল আনতে না পারলে, টিম পিছিয়ে পড়ে যায়।
পয়েন্টস টেবিল বলছে—সময় ফুরিয়ে আসছে
চলুন হিসাব করি—সাত ম্যাচে মাত্র দুইটা জয় মানে চার পয়েন্ট। প্লে-অফে যেতে হলে বাকি সাত ম্যাচের মধ্যে অন্তত পাঁচটা জিততেই হবে। সেটা খুব সহজ কথা না। আর যখন দেখা যাচ্ছে কেকেআর, আরআর আর সিএসকে দারুণ ফর্মে আছে, তখন এসারএইচ -এর জন্য কাজটা অনেক কঠিন।
সঞ্জয় বাঙ্গার আর পূজারা, দু’জনেই বলছেন— এসারএইচ এইবার প্লে-অফে যাবে না। আর যদি এখনো ব্যাটিং ফর্ম, ম্যাচ প্ল্যান আর ছোট ছোট ভুল ঠিক না করা যায়, তাহলে সত্যি বললে, তারা ভুল কিছু বলেননি। তবে হ্যাঁ, ক্রিকেটে কিছুই অসম্ভব না। টিম যদি ঘুরে দাঁড়াতে পারে, সব জয়ই সম্ভব। কিন্তু সেটা কেবল বিশ্বাসে নয়, খেলায় দেখাতে হবে।
ভক্তদের কষ্ট লাগে কারণ টিমের খেলোয়াড়দের মধ্যে স্কিল আছে। কিন্তু ওই স্কিল কাজে লাগাতে গেলে প্র্যাকটিস, বুদ্ধি আর সঠিক সময়ে সিদ্ধান্ত নিতেই হবে। না হলে এবার প্লে-অফ স্বপ্নই থেকে যাবে।
আপনার কী মনে হয়? এসারএইচ কি এখনও ঘুরে দাঁড়াতে পারবে? নাকি এবার পরের সিজনের জন্য প্রস্তুতি শুরু করা উচিত? কমেন্টে আপনার মতামত জানান!
তাহলে, আপনার কী মনে হয়, কেএল পরের ম্যাচে তার ২০০তম ছক্কা মারবে? আর ডিসি কি এই মরশুমে পুরোপুরি সফল হবে? নীচে মন্তব্য করুন!