
এজবাস্টন টেস্টে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এগিয়ে থেকেও শেষ পর্যন্ত হেরে গেছে ভারত। ইংলিশদের ওপেনিং জুটির দুর্দান্ত ব্যাটিং ও পরবর্তীতে রুট, বেয়ারস্টোর অসাধারণ জুটিতে জয় পায় ইংল্যান্ড। এমন অবস্থায় দ্রাবিড়, কোহলীদের পরিকল্পনা নিয়ে একেবারেই খুশি নন ভারতের সাবেক কোচ রবি শাস্ত্রী। এছাড়াও চতুর্থ দিনে ভারতীয় অধিনায়ক জাসপ্রিত বুমরার অধিনায়কত্বেরও সমালোচনা করেছেন সাবেক ইংলিশ তারকা কেভিন পিটারসন।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৩২ রানের লিড নিয়ে খেলতে নেমেছিল ভারত। সেই ইনিংসে উইকেট হারিয়ে রক্ষণাত্মক ব্যাটিং করেই ম্যাচ হারার প্রান্তে দাঁড়ায় ভারত, এমনটাই মনে করছেন ভারতের সাবেক কোচ। তিনি বলেন, ‘আমি হতাশ বললেও কম বলা হয়। ব্যাট হাতে ইংল্যান্ডকে ম্যাচের বাইরে পাঠিয়ে দেওয়ার সুযোগ ছিল ভারতের সামনে। দুটো সেশন ব্যাট করার দরকার ছিল। কিন্তু ভারতীয় দল খুব রক্ষণাত্মক ভাবে খেলেছে।
শাস্ত্রী আরো বলেন ” মধ্যাহ্নভোজের পর ওদের খুব ভীতু মনে হচ্ছিল। উইকেট হারানোর পরেও আক্রমণাত্মক হওয়া উচিত ছিল ভারতের। ম্যাচ যে জায়গায় ছিল, সেখানে স্কোরবোর্ডে রান খুব গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু আমার মনে হল ওরা গুটিয়ে গেল। সেই কারণেই পর পর উইকেট হারাল ভারত। ইংল্যান্ড ব্যাট করার অনেক সময় পেয়ে গেল।’
অন্যদিকে, ভারতের সাদা পোষাকের অধিনায়ক বুমরার অধিনায়কত্বের সমালোচনা করেছেন পিটারসেন। ইংল্যান্ডের প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, ‘বল যখন রিভার্স সুইং করছে, তখন ব্যাটারদের জন্য কাজ সহজ করে দেওয়া উচিত হয়নি। ব্যাটাররা বুঝতে চেষ্টা করছে বল কোন দিকে সুইং করবে। সেই সময় প্রায় ১৫০ কিলোমিটার গতিতে বল সুইং করলে খেলা মুশকিল।
পিটারসেন আরো বলেন ” বোলার যখন ১৫০ কিলোমিটার গতির বলে সুইং করায় ব্যাটাররা সেই সময় নন-স্ট্রাইকার হিসাবে খেলতেই স্বস্তি পায়। সেটাই খুব সহজে করল ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। লং অন এবং লং অফে ফিল্ডার দাঁড় করানো ছিল। আধ ঘণ্টা এমন ফিল্ডিং সাজিয়ে রাখা পাগলামো। ওই ফিল্ডার ৩০ গজের মধ্যে রাখা উচিত ছিল। পারলে জনি বেয়ারস্টো মাথার উপর দিয়ে মারুক “।