
দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে বরাবরই আলোচনার শীর্ষে থাকেন বিরাট কোহলি। মাঝে মাঝে সমালোচনার শিকারও হন তিনি। এবার ভারতীয় এই রান মেশিনকে নিয়ে বিস্ফোরক একটি ব্যাপার প্রকাশ করলেন ভারতের সাবেক ফিল্ডিং কোচ শ্রীধর। ক্ষমতা পাওয়ার জন্য কোহলি, ধোনির সঙ্গে কী কান্ড ঘটিয়েছিলেন সেই রহস্য ফাঁস হলো শ্রীধরের লেখা বইয়ে। এরপর থেকেই ভারতীয় ক্রিকেটে তোলপাড় চলছে
২০১৪ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি লাল বলের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দেন। এরপর ক্রিকেটের এই ফরম্যাটে দায়িত্বে আসেন বিরাট কোহলি। ভারতীয় ক্রিকেট প্রসঙ্গে নিজের সময় নিয়ে লেখা শ্রীধরের সেই বইয়ে দাবি করা হয়, এক ফরম্যাটে অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পর ক্ষমতার লোভী হয়ে উঠেছিলেন কোহলি। এমনকি খুব কম সময়ের মধ্যে সব ফরম্যাটের অধিনায়কত্ব পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছিলেন তিনি।
শ্রীধরের এই বইয়ের নাম ‘ কোচিং বেওন্ড – মাই ডেজ উইথ ইন্ডিয়ান ক্রিকেট টিম ‘। যদিও এই বইটি তিনি নিজে লেখেননি। তার কথায় বইটি লেখেন আর কৌশিক। তার এই বইয়ের সূত্রে জানা যায়, লাল বলের নেতৃত্ব পাওয়ার দুই বছরের মাথায় সাদা বলের ক্রিকেটেও নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন কোহলি। শ্রীধর তার বইতে লিখেছেন ” ২০১৬ সালে সাদা বলের ক্রিকেটে নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য উঠেপড়ে লেগেছিলেন বিরাট কোহলি। সে এমন কিছু বলেছিল যা স্পষ্ট করেছিল যে সে সব ফরম্যাটে অধিনায়কত্ব পেতে চায়। ”
তবে কোহলির এই ব্যাপারটি তৎকালীন কোচ রবি শাস্ত্রী বেশ ভালোভাবেই সামাল দিয়েছিলেন – এমন তথ্যও পাওয়া যায় ওই বইয়ে। বইতে লেখা হয়েছে ” রবি শাস্ত্রী তাকে বলেছিলো দেখো বিরাট, তুমি আপাতত খেলাতেই মন দাও। ধোনি তোমার হাতে লাল বলের নেতৃত্ব তুলে দিয়েছে, তুমি এখন শুধু এটা নিয়েই ভাবো। তুমি তাকে সম্মান করো, নিজের খেলার প্রতি সচেতন হও। সঠিক সময় আসলে সে তোমাকে সাদা বলের নেতৃত্বও দিয়ে দেবে, এটা নিয়ে চিন্তার কিছু নেই। এখন যদি তুমি ধোনিকে সম্মান না করো, তাহলে তুমি যখন অধিনায়ক হবে তখন দলের অন্যরাও তোমাকে সম্মান করবে না। যাই হোক, তুমি ধোনিকে সম্মান করো। নেতৃত্বের পেছনে দৌঁড়িও না, তুমি ভালো খেললে এটা এমনিতেই তোমার কাছে আসবে। “
এমনিতে , রবি শাস্ত্রীর সঙ্গে কোহলির খুব ভালো সম্পর্ক ছিলো। এমনকি কোহলি নেতৃত্ব হাতে পাওয়ার পর অনিল কুম্বলেকে সরিয়ে শাস্ত্রীকে কোচের পদে এনেছিলেন। এরপর শাস্ত্রী কোচের পদ ছাড়ার পর কোহলিও টি – টোয়েন্টির নেতৃত্ব থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন। ২০১৭ সালে ক্রিকেটের সব ফরম্যাটেই দায়িত্ব পেয়েছিলেন কোহলি। যদিও পরবর্তীতে তিনি টি – টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরে আসার পর টেস্ট ও ওয়ানডে থেকেও তাকে সরিয়ে দেওয়া হয়। শ্রীধরের বইতে এই প্রসঙ্গ নিয়ে অবশ্য মুখ খোলেননি কোহলি এবং ধোনি। তবে বিষয়টি নিয়ে তোলাপাড় চলছে ক্রিকেট বিশ্বে।