
চোটের সঙ্গে খেলোয়াড়দের সম্পর্ক নতুন কিছু নয় । কোনো গুরুত্বপূর্ণ সিরিজ কিংবা টুর্নামেন্টের সময় চোটে পড়াটা সব ক্রিকেটারের কাছেই অপ্রত্যাশিত। শাহনেওয়াজ দাহানির ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম নয়। পাকিস্তান সুপার লিগের (পিএসএল) অষ্টম আসরে, মাত্র একটি ম্যাচ খেলেই ছিটকে গেলেন মুলতান সুলতানের এই পেসার। গোটা আসরে দলের সেরা পেসারকে ছাড়াই খেলতে হবে মুলতানকে।
১৩ ফেব্রুয়ারি পিএসএলের উদ্বোধনী ম্যাচে লাহোর কালান্দার্সের বিপক্ষে বোলিং করার সময়ই ঘটে বিপদ। সিকান্দার রাজাকে বোলিং করছিলেন দাহানি, সেসময় একটি বল ধরতে গিয়ে কনিষ্ঠা আঙুলে চোট পান এই পেসার। পরবর্তীতে হাসপাতালে নিয়ে স্ক্যান করা হলে জানা যায়, তার আঙুলে চিড়ের খবর। মূলত এই চোটের কারণেই টুর্নামেন্ট শেষ হয়ে গেল তারকা এই পেসারের।
দাহানির ছিটকে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছে মুলতান ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষ। দলটির পক্ষ থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, আঙুলের চোটের কারণে অন্তত মাস দুয়েক মাঠের বাইরে থাকবেন তিনি। এরমধ্যে তাকে সারিয়ে তোলার জন্য চিকিৎসা চলবে। সেক্ষেত্রে টুর্নামেন্টের বাকি ম্যাচগুলোতে যে দাহানিকে আর দেখা যাবে না, তা নিশ্চিত। তার বিকল্প কে হবেন? সেটাও অজানা।
যদিও দাহানিকে ছাড়া টুর্নামেন্টে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে জয় তুলে নিয়েছে মুলতান। কোয়েটা গ্ল্যাডিয়েটর্সকে ৯ উইকেটের বড় ব্যবধানে হারিয়েছেন মোহাম্মদ রিজওয়ানরা। তবে দাহানির বিকল্প হিসেবে কাকে দলে নেওয়া হবে, সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু জানায়নি মুলতান। তিনি যেহেতু দলের অন্যতম সেরা পেসার, সেক্ষেত্রে তার অভাব পূরণ করতে যোগ্য কাউকে বেছে নেবে দলটি।
উল্লেখ্য, ২০২১ সালে এই পিএসএল দিয়েই তারকাখ্যাতি পেয়েছেন দাহানি। সেই আসরে ২০ উইকেট শিকার করে সবার নজর কাড়েন তিনি। সেবারেই পাকিস্তান দলে ডাক পেয়ে যান এই পেসার। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এক আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারের দিক থেকেও তৃতীয় স্থানে আছেন এই পেসার। তার চেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন, হাসান আলি (২৫) এবং ফাহিম আশরাফ (২১)।