
২০২২ সালে টেস্টে বাংলাদেশের অবিশ্বাস্য একটি অর্জন আছে। মাউন্ট মঙ্গানুইয়ে ঐতিহাসিক জয় পায় টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডকে হারানো সেই ম্যাচে বাংলাদেশের টেস্ট ইতিহাসের সবচেয়ে স্মরণীয় ম্যাচ হিসেবেও ধরা হচ্ছে। আর সেই ম্যাচ জয়ের অন্যতম নায়ক, টাইগার পেসার এবাদত হোসেন। এবার এবাদতের সেই ম্যাচজয়ী বোলিং স্পেলকে, বর্ষসেরার স্বীকৃত দিল উইজডেন।
মাউন্ট মঙ্গানুইয়ের সেই জয় কেন এতো গুরুত্ব পাচ্ছে কিংবা এবাদতের সেই স্পেলের এতো বিশেষত্ব কেন? এই প্রশ্ন উঠতেই পারে। সেই ম্যাচটি প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড ৩২৮ রান করলে, তার জবাবে বাংলাদেশ করে ৪৫৮ রান। তখনও কে জানতো, প্রথম ইনিংসে একটিমাত্র উইকেট শিকার করা এবাদতই হয়ে যাবেন জয়ের নায়ক! অথচ সেই অবিশ্বাস্য জয়ের অবিস্মরণীয় নায়ক তিনিই।
যদিও সেই ম্যাচে পারফরম্যান্সের দিক থেকে অবদান রেখেছেন ব্যাটসম্যানরাও। কিউইদের মাঠে গিয়ে নিজেদের ব্যাটের উইলো দেখিয়েছেন লিটন কুমার দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, মুমিনুল হক, মাহমুদুল হাসান জয় এবং মেহেদি হাসান মিরাজরা। কিন্তু সেসব ছাপিয়ে আলো কেড়ে নিয়েছেন ৭ উইকেট শিকারী এবাদত। বিশেষ করে দ্বিতীয় ইনিংসে তার ৬ উইকেট শিকারেই, জয়ের স্বাদ পেয়েছে বাংলাদেশ।
এদিকে উইজডেনের বর্ষসেরায় জায়গা পাওয়াটা এবাদতের জন্যও বিশেষ কিছু। টাইগারদের টেস্ট দলের নিয়মিত এই পেসারের জন্য, আগামীতেও অনুপ্রেরণা হতে পারে এই স্বীকৃতি। সাদা পোশাকের সেই সাফল্যের পর, বর্তমানে রঙিন পোশাকেও ভালো করছেন তিনি। বোলিংয়ের এনেছেন নতুনত্ব। গতি, ইয়র্কার, বাউন্সার, স্লোয়ারের সঙ্গে এবার কাটারটাও রপ্ত করে নিচ্ছেন এই টাইগার পেসার।
উইজডেনের এই তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে প্যাট কামিন্সের ৫৬ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার। তৃতীয় স্থানে আছে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ম্যাট হেনরির ২৩ রান খরচায় ৭ উইকেট। চতুর্থ স্থানে আছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ওলি রবিনসনের ৫০ রান খরচায় ৫ উইকেট শিকার। এছাড়া অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রভাত জয়াসুরিয়ার ৫৯ রান খরচায় ৬ উইকেট আছে, তালিকার পঞ্চম স্থানে। এমন অর্জনের পর অনেকেই শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বাংলাদেশি এই পেসারকে।