
ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিন আফ্রিকা (১ম টি২০)
বুধবার তিন ম্যাচের টি২০ সিরিজের ১ম টিতে মুখোমুখি হয়েছিল দক্ষিন আফ্রিকা এবং ইংল্যান্ড। ১ম টি২০ ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছে কাউন্টি গ্রাউন্ড, ব্রিস্টলে। বেয়ারস্টো এবং মঈন আলির দুর্দান্ত ব্যাটিং-এর ফলে অনেক বড় লক্ষ্য পায় দক্ষিন আফ্রিকা। কিন্তু শেষমেশ আর সেই লক্ষ্য পর্যন্ত পৌছাতে পারেন নেই তারা। ফলে হার নিয়েই মাঠ ছাড়তে হয় তাদের।
ম্যাচে টস জিতে ইংল্যান্ডকে প্রথম ব্যাট করতে পাঠিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়াদের এই সিদ্ধান্তকে ভুল প্রমাণ করে দেন মঈন আলি ও জনি বেয়ারস্টো।
নির্ধারিত ২০ ওভারে ইংল্যান্ড করে ৬ উইকেটে ২৩৪ রান। টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে ঘরের মাঠে এটাই হলো ইংল্যান্ডের সর্বাধিক রান। সবমিলিয়ে এই ফরম্যাটে ইংলিশদের দ্বিতীয় সর্বাধিক দলীয় সংগ্রহের রেকর্ডও হলো এদিন।
প্রথমে ব্যাট করতে নেমে বাটলার করেন ৭ বলে ২২ রান। তার ২২ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ২ টি ছয়। লুঙ্গির বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। এর ২ ওভার পরেই জেসন রয়ের উইকেট তুলে নেন লুঙ্গি। ১৫ বলে মাত্র ৮ রান করেছিলেন জেসন রয়।
এরপর ২৩ বলে ৪৩ রানের দুর্দান্ত ব্যাটিং-এর পর মাঠ ছাড়েন মালান। তার ৪৩ রানের ইনিংসটি সাজান ছিল ১টি চার ও ৪টি ছয় দিয়ে। আন্দিলের বলে ক্যাচ আউট হন তিনি।
এরপ মাত্র ১৬ বলে ফিফটি করলেন মঈন আলি। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা জনি বেয়ারস্টোও খেললেন ৫৩ বলে ৯০ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। ইংল্যান্ড গড়লো ঘরের মাঠে তাদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড।
এর মাঝেই ইতিহাস গড়ে ফেলেছিলেন মঈন আলি। ১৬ বলে ৫০ ছুঁয়ে ইংল্যান্ডের পক্ষে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম হাফসেঞ্চুরির রেকর্ড গড়েন তিনি। শেষ পর্যন্ত দুটি চার ও ছয়টি ছক্কায় ১৮ বলে ৫২ রানের ইনিংস খেলে আউট হন ইংলিশ এই অলরাউন্ডার। স্ট্রাইকরেট ছিল ২৮৮.৮৯!
মঈন যখন আউট হন ততক্ষণে ইংল্যান্ডের স্কোর ১৭.৫ ওভারে ২১৮ রান হয়ে গিয়েছিল। এখান থেকেই রান এগিয়ে নিয়ে যান জনি বেয়ারস্টো। ৫৩ বলে ৩ চার আর ৮ ছক্কায় ৯০ রানের ইনিংস খেলেন তিনি। এছাড়া ৪ বলে ৫ রান করেন লিভিংস্টোন।
দক্ষিন আফ্রিকার পক্ষে ৪ ওভারে ৩৯ রান খরচায় ৫টি উইকেট নেন লুঙ্গি এনগিডি। এছাড়া ১টি উইকেট নেন আন্দিলে ফেহলুকওয়ায়ো।
টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রায় অসম্ভব ২৩৫ রান তাড়া করে আর জিততে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। ব্রিস্টলে বুধবার রাতে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তারা ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে ৪১ রানে।
জবাবে রিজা হেনড্রিকসের ৩৩ বলে ৫৭ আর ত্রিস্টান স্টাবসের ২৮ বলে ৭২ রানের বিধ্বংসী ইনিংসেও ৮ উইকেটে ১৯৩ রানের বেশি যেতে পারেনি দক্ষিণ আফ্রিকা। হেনড্রিকসের ৫৭ রানের ইনিংসটিতে ছিল ৯টি চার ও ১টি ছয়। মঈন আলির বলে ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। অন্যদিকে স্টাবসের ৭২ রানের ইনিংসে ছিল ২টি চার ও ৮টি ছয়। তিনি ক্যাচ আউট হয়ে মাঠ ছাড়েন গ্লিসনের বলে।
৩ চারের মারে ১৪ বলে ২০ রান করেন হেনরিখ ক্লাসেন। আন্দিলে ফেহলুকওয়ায়ো করেন ১৭ বলে ২২ রান। তিনিও ৩টি চার মেরেছিলেন। এছাড়া ডেভিড মিলার, কুইন্টন ডি কক, রিলি রোসোউ, কাগিসো রাবাদা, কেশব মহারা্জ, লুঙ্গি এনগিডি মিলে করেছিলেন ১৯ রান।
ইংল্যান্ডের রিচার্ড গ্লিসেন ৪ ওভারে ৫০ রান খরচা করে নেন ৩টি উইকেট। ২টি করে উইকেট শিকার রিস টপলে আর আদিল রশিদের। এছাড়া মঈন আলি নেন ১টি উইকেট।
ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিন আফ্রিকা এর স্কোরবোর্ড
ইংল্যান্ড – ২৩৪/৬ (২০.০)
দক্ষিন আফ্রিকা – ১৯৩/৮ (২০.০)
ফলাফল – ইংল্যান্ড ৪১ রানে জয়ী
প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – মঈন আলি
ইংল্যান্ড বনাম দক্ষিন আফ্রিকা ম্যাচের একাদশ
ইংল্যান্ড | জস বাটলার (অধিনায়ক এবং উইকেটরক্ষক), ডেভিড মালান, জেসন রয়, মঈন আলি, জনি বেয়ারস্টো, স্যাম কুরান, লিয়াম লিভিংস্টোন, আদিল রশিদ, ক্রিস জর্ডান, রিচার্ড গ্লিসন, রিস টপলে |
দক্ষিন আফ্রিকা | ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), কুইন্টন ডি কক (উইকেটরক্ষক), রিলি রোসোউ, রিজা হেন্ড্রিক্স, ট্রিস্টান স্টাবস, হেনরিখ ক্লাসেন, কাগিসো রাবাদা, আন্দিলে ফেহলুকওয়ায়ো, লুঙ্গি এনগিডি, কেশব মহারাজ, তাবরেজ শামসি |