মাঠের ২২ গজে কত জনের সাথেই জুটি বেধেছেন ভারতের তারকা অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া। তবে ব্যক্তিগত জীবনে নাতাশা স্ট্যানকোভিচের সঙ্গে আনুষ্ঠানিকতাভাবে জুটি বেঁধেছেন প্রায় বছর দুয়েক হলো। ইতোমধ্যে হার্দিক পান্ডিয়া এবং নাতাশার ঘর আলো করে এসেছে একটি পুত্রসন্তানও।
তবে অবাক করা বিষয়, এই দুবছর শ্বশুরবাড়ির কারো সঙ্গে দেখা হয়নি হার্দিকের। এতদিন শ্বশুর–শাশুড়ি এবং সে বাড়ির অন্যান্যদের সঙ্গে হার্দিকের যোগাযোগ কেবল ফোন কল কিংবা ভিডিও কলেই সীমাবদ্ধ ছিল। ক্রিকেটীয় ব্যস্ততা হার্দিককে যে দেয়না ছুটি।
এতদিন ব্যস্ততার কারণেই শ্বশুরবাড়ি যাওয়া হয়নি হার্দিকের। জাতীয় দলের ব্যস্ত সূচি, সেই ফাঁকে আবার ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) মতো মেগা আসরের ব্যস্ততা। বয়স বাড়ার সাথে বাইশ গজের দায়িত্বটাও বাড়ছে গুজরাট টাইটান্স অধিনায়কের। নাতাশার বাবা–মাও যেন কোনোভাবেই নাগালে পাচ্ছিলেন না জামাতাকে।
তবে এবার সেই অপেক্ষার পালা শেষ। আসন্ন বিশ্বকাপ খেলতে যাওয়ার আগেই শ্বশুর বাড়ির লোকজনদের সঙ্গে দেখা করতে গেলেন হার্দিক। সবার সঙ্গে সাক্ষাতের একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশ করেছেন হার্দিক নিজেই। একে একে সকলের আলিঙ্গনে সিক্ত হন হার্দিক। জামাইয়ের সঙ্গে একত্র হয়েছে নাতাশার গোটা পরিবার।
উল্লেখ্য, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টি–টোয়েন্টি সিরিজ জয়ের পর এখন বিশ্রামে আছেন হার্দিক। খেলছেন না দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে সিরিজেও। সেই অবসরটা কাজে লাগালেন তিনি। সাক্ষাত করে নিলেন স্বশুরবাড়ির লোকজনদের সঙ্গে। প্রথমবারের মতো শ্বশুরবাড়ির অনুভূতি নেওয়া হার্দিক জানান, তিনি খুব খুশি। নাতাশার বাড়ির সবার সঙ্গে দেখা করার মুহূর্তটা দারুণ ছিল।
৬ অক্টোবর বিশ্বকাপ খেলতে অস্ট্রেলিয়ার উদ্দ্যেশ্যে দেশ ছাড়বে ভারত। এবার বিশ্বকাপে হার্দিক হতে পারেন ভারতের তুরুপের তাস। মেগা এই আসরে বিশ্রাম পেয়ে সতেজ হয়েই মাঠে নামছেন সময়ের অন্যতম এই ক্রিকেট তারকা।