BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ফিরে দেখা ভারতের দুই বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত

#image_title

India Won 1983 & 2011 World cup. ( Image Source: Twitter )

আর মাত্র ৪৮ ঘন্টার অপেক্ষা। এরপরই বিশ্বকাপের লড়াই শুরু। ভারতের মাটিতে বিশ্ব জয়ের লড়াইয়ে শেষপর্যন্ত জয়ের হাসি কোন দলের মুখে ফুটবে তা তো সময়ই বলবে। সেখানেই এবার যে ভারতীয় দলের গায়ে ফেভারিটের তকমা রয়েছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। ১২ বছর পর ফের ঘরের মাঠে বিশ্বকাপের লড়াইয়ে নামছে টিম ইন্ডিয়া। এখনও পর্যন্ত ভারতের ট্রফি ক্যাবিনেটে দুটো বিশ্বকাপ রয়েছে। এবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতে সেই সংখ্যাটাই রোহিত শর্মার টিম ইন্ডিয়া বদলাতে পারে কিনা সেটাই দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সকলে। সেই দুই বিশ্বকাপ জয়ের মঞ্চে ভারতের পারফর্ম্যান্সের দিকেই তাকানো যাক।

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপ জয় ভারতের

India 1983 World cup. ( Image Source: Twitter )

১৯৮৩ সালের বিশ্বকাপের মঞ্চেও আন্ডার ডগ তকমা নিয়েই মাঠে নেমেছিল কপিল দেবের ভারতীয় দল। কিন্তু সেই মংঞ্চেই সকলকে চমকে দুয়ে বিশ্বকাপ জিতে নিয়েছিল ভারত। সেই সময় দুর্ধর্, ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফাইনালে হারিয়ে ভারতকে প্রথম বিশ্বকাপ দিয়েছিলেন কপিল দেব। ক্লাইভ লয়েডের দুর্ধর্ষ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ফাইনালের মঞ্চে ৪৩ রানে হারিয়েছিল ভারতীয় দল। আর সেই স্মৃতি এখনও প্রতিটি ভারতবাসীর স্মৃতিতে টাটকা হয়ে রয়েছে। এবার সেই বিশ্বকাপেরই ৪০ বছর পূর্ণ হচ্ছে।

সেবার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেই বিশ্বকাপের মঞ্চে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতীয় দল। সেই ম্যাচে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ৩৪ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপের মঞ্চে যাত্রা শুরু করেছিল ভারতীয় দল। গোটা বিশ্বকাপের মঞ্চে সেবার মাত্র দুটো ম্যাচ হেরেছিল ভারতীয় দল। একবার অস্ট্রেলিয়ার কাছে হেরেছিল তারা। এরপর ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে হারতে হয়েছিল কপিল দেবের ভারতীয় দলকে। যদিও ভারতকে সেবার রোখা সম্ভব হয়নি কোনও দলের পক্ষেই।

সেই বিশ্বকাপের মঞ্চেই জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংস খেলে ভারতের নায়ক হয়ে গিয়েছিলেন কপিল দেব। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে জিম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ১৭৫ রানের দুরন্ত ইনিংস খেলে ভারতকে জয়ের মুখ দেখিয়েছিলেন। এরপর ফাইনালে ভারতের সামনে ছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেখানেও টান়টান উত্তেজনার মঞ্চে শেষ হাসি হেসেছিলেন ভারতীয় দলের ক্রিকেটাররা। সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে ভারতীয় দল করতে পেরেছিলেন ১৮৩ রান।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুরন্ত বোলিং পারফরম্যান্সের সামনে সেভাবে দাঁড়াতে পারেননি কোনও ভারতীয় ব্যাটারই। কম রান করলেও ভারতের বোলাররা ছিলেন সেদিন বিধ্বংসী ফর্মে। সেদিন মদন লালের দাপটের সামনে মাথা নত করতে হয়েছিল হেইন্স, ল্যারি গোমস এবং ভিভ রিচার্ডসদের মতো তারকা ক্রিকেটারদের। ভিভ রিচার্ডসের দুরন্ত ক্যাচ নিয়ে সেই ম্যাচে ভারতের জয় আরও নিশ্চিত করেছিলেন কপিল দেব। ১৪০ রানেই ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শেষ করে দিয়েছিল ভারতীয় দল।

২০১১ সালের বিশ্বকাপ জয় ভারতের

India 2011 World cup. ( Image Source: Twitter )

কপিল দেবের পর ভারতকে দ্বিতীয়বার বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এমএস ধোনির হাত ধরে প্রথমবার ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জিতেছিল টিম ইন্ডিয়া। সেইসঙ্গে রেকর্ডও গড়েছিল ভারতীয় দল। প্রথম দল হিসাবে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ জয়েরক রেকর্ড গড়েছিল সেবার টিম ইন্ডিয়া। সেই বিশ্বকাপের মঞ্চেই অসাধারণ পারফরম্যান্স দেখিয়েছিলেন যুবরাজ সিং। সেইসঙ্গে কেরিয়ারের শেষ বিশ্বকাপে সচিন তেন্ডুলকরও ছিলেন অসাধারণ ফর্মে।

এই বিশ্বকাপেও মাত্র দুটো ম্যাচে ভারতের বিজয় রথ থেমেছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে ম্যাচ হেরেছিল ভারত এবং ইংল্যান্ডের সঙ্গে ম্যাচ ড্র হয়েছিল টিম ইন্ডিয়ার। এটুকু বাদ দিলে কোনও দলই সেবার ভারতকেো আটকাতে পারেনি। সেখানেই দুরন্ত ফর্মে ছিলেন যুবরাজ সিং। সেই বিশ্বকাপে ২০১১ সালে ৩৬২ রান করেছিলেন যুবরাজ সিং। সেইসঙ্গে প্রতিযোগিতার সেরাও হয়েছিলেন এই তারকা ক্রিকেটার।

সেই বিশ্বকাপেই ফাইনালে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে নেমেছিল ভারতীয় দল। ম্যাচের শুরু থেকেই ছিল হাড্ডহাড্ডি লড়াই। ভারতের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচে প্রথমে ব্যাটিং করে শ্রীলঙ্কা করেছিল ২৭৪ রান। মালিঙ্গা, মুতাইয়া মুরলীথরণরা  সেই ম্যাচে শুরুপ থেকেই ভারতীয় ব্যাটারদের সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিয়েছিল। সেখানেই ৯৭ রানের ইনিংস খেলে ভারতের জয়ের রাস্তাটা প্রস্তুত করে দিয়েছিসলেনব গৌতম গম্ভীর। এরপরই সকলকে চমকে দিয়ে কঠিন পরিস্থিতিতে মাঠে এসেছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। তাঁর সেই ইনিংস এখনও সকলের স্মৃতিতে টাটকা হয়ে রয়েছে।

বিরাট ওভার বাউন্ডারি হাঁকিয়ে ভারতকে বিশ্বকাপ জয়ের স্বাদ দিয়েছিলেন এমএস ধোনি। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে তাঁর ৯১ রানের দুর্ধর্ষ ইনিংসে মুগ্ধ হয়েছিলেন সকলে। ৬ উইকেটে ম্যাচ জয়ের সঙ্গে বিশ্বকাপও জিতে নিয়েছিল টিম ইন্ডিয়া।

The post ফিরে দেখা ভারতের দুই বিশ্বকাপ জয়ের মুহূর্ত appeared first on CricTracker Bengali.

Exit mobile version