কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ ফ্রি টিপস | পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড : ৫৬তম ম্যাচ

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড ম্যাচের বিবরণ

ম্যাচ: পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড, ৫৬ তম ম্যাচ | কাতার ২০২২ ফিফা বিশ্বকাপ

তারিখ: ৭ই ডিসেম্বর ২০২২

সময়: ১.00 এএম (GMT+6), ১২.৩০ এএম (GMT+5.5)

ভেন্যুঃ লুসাইল স্টেডিয়াম, কাতার

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড প্রিভিউ

ফিফা র‍্যাঙ্কিং: পর্তুগাল (৯) বনাম (১৫) সুইজারল্যান্ড

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড বিশ্বকাপ ফুটবলের রাউন্ড অফ ১৬ম্যাচে একে অপরের মুখোমুখি হবে যা দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ নামে পরিচিত।

পর্তুগিজ সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো বিশ্ব ফুটবলের অন্যতম বড় তারকা। ২০২২ সালের বিশ্বকাপ শুরুর আগে মাঠের বাইরের ঘটনার জন্য আলোচনায় আসেন এই সুপারস্টার। নিজের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে মুখ খুলে সমালোচনার জন্ম দেন তিনি। শেষ বিশ্বকাপে পর্তুগাল তারকা রোনালদোর পারফরম্যান্স মাঠের বাইরের ঘটনাগুলির দ্বারা প্রভাবিত হয় কিনা তা দেখার বিষয়। রোনালদো এককভাবে দলকে একত্রিত করেছেন।

সুইজারল্যান্ড নিঃসন্দেহে ধাক্কা টানতে সক্ষম। প্রতিটি বিশ্বকাপের শুরুতে সুইজারল্যান্ড বরাবরই হট ফেভারিটের তালিকায় থাকে। সুইজারল্যান্ড এখন পর্যন্ত বিশ্বকাপ জিততে পারেনি। কিন্তু তাদের সোনালী প্রজন্ম আছে। তাই বিশ্বকাপ জেতার সুবর্ণ সুযোগ হবে তাদের। সুইস দল সব প্রতিযোগিতা বিবেচনা করে তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনটি জিতেছে এবং দুটি ম্যাচ হেরেছে। তাই নিশ্চিতভাবেই, তারা পর্তুগালের বিপক্ষে আজ তাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করবে।

ম্যাচটি নিঃসন্দেহে সুইজারল্যান্ডের জন্য কঠিন পরীক্ষা হবে।

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড মূল পয়েন্ট

ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো পর্তুগালের প্রাণ। পর্তুগিজ দলে ব্রুনো ফার্নান্দেস, বার্নার্ডো সিলভা, জোয়াও ফেলিক্স, ডিয়েগো ডালটট এবং রুবেন দিয়াজের মতো খেলোয়াড় রয়েছে, তবুও পর্তুগাল গত এক সফরে পুরোপুরি রোনালদো-নির্ভর দল। দলের হয়ে ১৯১  ম্যাচে ১১৭ গোল করা পর্তুগিজ সুপারস্টার রোনালদো ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছেন যে তিনি ক্লাব ফুটবলের পাশাপাশি দেশের জন্য কতটা নিবেদিত। তাই বলা যায় দলের সাফল্য নির্ভর করবে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর ওপর।

আশ্চর্যের বিষয় যে এত তারকা নিয়ে সুইস দল এখনো কোনো ট্রফি জিততে পারেনি। ইয়ান সোমার (গোলরক্ষক), রিকার্ডো রদ্রিগেজ (লেফ্ট-ব্যাক বা সেন্টার-ব্যাক), গ্রানিট জাকা (মিডফিল্ডার), রেমো ফ্রেউলার (মিডফিল্ডার), জেরদান শাকিরি (অ্যাটাকিং মিডফিল্ডার) সবাই ফুটবলের বড় নাম। তবে দেশের হয়ে কোনো ট্রফি জিততে পারেনি তারা। তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন তাদের শেষ বিশ্বকাপ খেলতে যাচ্ছে। অবশ্যই, তারা ট্রফি পেতে তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবে।

সুইস সুপারস্টার ইয়ান সোমার (গোলরক্ষক) অবশ্যই সুইজারল্যান্ডের সবচেয়ে বড় তারকা। নিশ্চয়ই সমস্ত স্পটলাইট তার উপর থাকবে।

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড হেড টু হেড

পর্তুগাল এবং সুইজারল্যান্ড এখন পর্যন্ত  ২৬  বার মুখোমুখি হয়েছে। পর্তুগাল নয় ম্যাচ জিতেছে এগারো ম্যাচে হেরেছে।

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড টিম খবর

চোটের কারণে দল থেকে ছিটকে গেলেন মোরাতা, হোসে গায়া। তার বদলি হিসেবে আলেজান্দ্রাকে নিয়েছিলেন স্পেন বস।

স্প্যানিশ সেন্টার-ব্যাক পাউ টোরেসকে বার্সেলোনা তারকা গাভি এবং সার্জিওর সাথে ডিফেন্সে দেখা যেতে পারে।

আহত আবদেস সামাদের আবদেল হামিদ সাবিরি খেলা অনিশ্চিত। এছাড়াও ম্যাচ মিস করতে পারেন মাজরাই নওসা।

সুপারস্টার ইয়ান সোমারের অনুপস্থিতি সুইজারল্যান্ড দলের জন্য বড় ধাক্কা। গত ম্যাচের মতোই গোড়ালির ইনজুরির কারণে আজকের ম্যাচ মিস করবেন সুইস সুপারস্টার ইয়ান। তার অনুপস্থিতিতে সুইস দলকে তাদের স্বপ্ন পূরণে নেতৃত্ব দেবেন জোনাস ওমলিন।

ইয়ান সোমারের অনুপস্থিতি সুইস দলের জন্য বড় ধাক্কা। গোড়ালির ইনজুরির কারণে গ্রুপের প্রথম দুটি ম্যাচ খেলতে পারেননি তিনি। তার অনুপস্থিতিতে, জোনাস ওমলিন সুইসদের তাদের স্বপ্ন পূরণে নেতৃত্ব দেবেন।

ব্রাজিলের বিপক্ষে মাঠের বাইরে ছিটকে যাওয়া ফেলিপে কস্টিক নিয়ে সংশয় থেকেই যায়। দলে দেখা যাবে দুসান ভ্লাহোভিচকে।

সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো, বর্তমান সময়ের অন্যতম সেরা খেলোয়াড়, পর্তুগাল দলের জন্য মশাল বাহক। টানা ৫টি বিশ্বকাপে গোল করেছেন তিনি। এর মধ্য দিয়ে রোনালদো তার শেষ বিশ্বকাপের শুভ সূচনা করেন। পেনাল্টি থেকে করা গোলটি পর্তুগাল দলের হয়ে তার ১১৮তম গোল। দ্বিতীয় ম্যাচেও জ্বলে উঠতে চাইবেন এই সুপারস্টার। ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো জ্বলে উঠলে ম্যাচের ফলাফল জয়।

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড স্কোয়াড

পর্তুগাল স্কোয়াড

গোলরক্ষক: রুই প্যাট্রিসিও (এএস রোমা), ডিওগো কস্তা (এফসি পোর্তো), হোসে সা (ওলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এফসি)

ডিফেন্ডার: আন্তোনিও সিলভা (এসএল বেনফিকা), নুনো মেন্ডেস (পিএসজি), পেপে (এফসি পোর্তো), ডিওগো ডালট (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), রুবেন ডায়াস (ম্যানচেস্টার সিটি), রাফায়েল গুয়েরেইরো (বরুশিয়া ডর্টমুন্ড), জোয়াও ক্যানসেলো (ম্যানচেস্টার সিটি), দানিলো পেরেইরা (পিএসজি)

মিডফিল্ডার: রুবেন নেভেস (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এফসি), জোয়াও পালহিনহা (ফুলহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এফসি), ওটাভিও মন্টিরো (এফসি পোর্তো), জোয়াও মারিও (এসএল বেনফিকা), ম্যাথুস নুনেস (উলভারহ্যাম্পটন ওয়ান্ডারার্স এফসি), ভিতিনহা (পিএসজি), উইলিয়াম কারভালহো (রিয়েল বেটি) ), বার্নার্ডো সিলভা (ম্যানচেস্টার সিটি), ব্রুনো ফার্নান্দেস (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড)

ফরোয়ার্ড: জোয়াও ফেলিক্স (অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ), রাফায়েল লিও (এসি মিলান), আন্দ্রে সিলভা (আরবি লিপজিগ), রিকার্ডো হোর্তা (এসসি ব্রাগা), ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো (ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড), গনকালো রামোস (এসএল বেনফিকা)

সুইজারল্যান্ড স্কোয়াড

গোলরক্ষক: জোনাস ওমলিন (মন্টপেলিয়ার), গ্রেগর কোবেল (ডর্টমুন্ড), ফিলিপ কোহন (সালজবার্গ), ইয়ান সোমার (বরুশিয়া মনচেংগ্লাডবাখ)

ডিফেন্ডার: এরেকমার্ট (ভ্যালেন্সিয়া), রিকার্ডো রদ্রিগেজ (টোরিনো), সিলভান উইডমার (মেইঞ্জ ), ম্যানুয়েল আকানজি (ম্যানচেস্টার সিটি), ফ্যাবিয়ান শার (নিউক্যাসল ইউনাইটেড), নিকো এলভেদি (বরুশিয়া মনচেংগ্লাডবাচ)

মিডফিল্ডার: রেমো ফ্রেউলার (নটিংহাম ফরেস্ট), জেরদান শাকিরি (শিকাগো ফায়ার), গ্রানিট জাকা (আর্সেনাল), ডেনিস জাকারিয়া (চেলসি), ডিজিব্রিল সো (ইনট্রাক্ট ফ্রাঙ্কফুর্ট), আরডনজাশারি (লুজার্ন), এডিমিলসন ফার্নান্দেস (মেইনজ), রেনাটো স্টেফেন , ফ্যাবিয়ান ফ্রেই (বাসেল), মিশেল এবিশার (বোলোগনা), ফ্যাবিয়ান রিডার (ইয়ং বয়েজ)।

ফরোয়ার্ড: ক্রিশ্চিয়ান ফাসনাখ্ট (ইয়ং বয়েজ), ব্রিল এম্বোলো (মোনাকো), হারিস সেফেরোভিক (গালাতাসারে), রুবেন ভার্গাস (অগসবার্গ), নোয়া ওকাফোর (আরবি সালজবার্গ)।

পর্তুগাল বনাম সুইজারল্যান্ড প্রেডিকশন

স্কোরকার্ড: পর্তুগাল ২-১ সুইজারল্যান্ড

সব প্রতিযোগিতা বিবেচনা করে সুইস দল তাদের শেষ পাঁচ ম্যাচে তিনটি জিতেছে এবং দুটি ম্যাচে হেরেছে।

অন্যদিকে পর্তুগাল সব প্রতিযোগিতায় তাদের শেষ সাত ম্যাচে একটি ম্যাচ ড্র করেছে, পাঁচটি ম্যাচ জিতেছে এবং দুটি ম্যাচ হেরেছে। পরিসংখ্যান বিবেচনায় মনে হতে পারে স্পষ্টতই এগিয়ে পর্তুগাল দল। তবে সুইজারল্যান্ড দুর্বল দল নয়। তাদের দিনে তারা সমীকরণ পরিবর্তন করতে পারে।