গত অ্যাশেজে ভরাডুবির পর থেকেই পরিবর্তনের হাওয়া লাগে ইংল্যান্ড ক্রিকেটে। একে একে দায়িত্ব ছেড়েছেন ছেলেদের ক্রিকেটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অ্যাশলি জাইলস, কোচ ক্রিস সিলভারউড ও টেস্ট অধিনায়ক জো রুট। এরপর নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে রব কি। তার যোগ দেয়ার পরেও ছিল সমালোচনার পাহাড়। এরপর কোচ হিসেবে কিউই কিংবদন্তী ব্রেন্ডন ম্যাককালাম ও অধিনায়ক হিসেবে বেন স্টোকসের কাঁধে দায়িত্ব তুলে দেয় ইংল্যান্ড ও ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড ইসিবি। এরপর সুদিন ফিরেছে ইংল্যান্ডের ক্রিকেটে। ম্যাককালাম-স্টোকস জুটি জিতে নিয়েছে টানা চার টেস্ট।
শুরুতে সমালোচনা করলেও বর্তমানে তাদের ভুল প্রমাণ করেছে এই ম্যানেজমেন্ট এমনটাই জানিয়েছেন ইংল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ও জনপ্রিয় ধারাভাষ্যকার নাসের হুসাইন। পাশাপাশি স্টোকসের অধিনায়কত্ব মুগ্ধ করেছে তাকে। ডেইলি মেইলে লেখা কলামে তিনি লিখেন, ‘মাঠে স্টোকসের নেতৃত্ব এখন পর্যন্ত যুগান্তকারী। সে যেভাবে এই কাজটা করছে, ফিল্ডিং সাজাচ্ছে, সেটি আসলে অনেক বেশি মুগ্ধ করার মতো। আমি আসলে তাঁর একগুঁয়ে ভাবটা পছন্দ করি। (এজবাস্টনে) প্রথম ইনিংসে ভারতের টেলএন্ডারদের শর্ট বল করেছিল ইংল্যান্ড, যেটি বুমেরাং হয়ে গেছে। দ্বিতীয় ইনিংসে এরপর স্টোকস কী করল? ওই একই। এবার ৯২ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে গুটিয়ে গেল ভারত। আর ইংল্যান্ড পেল ইতিহাস গড়ার সুযোগ।’
সাবেক এই অধিনায়ক আরো জানান, বাইরে কে কি বললো তাতে স্টোকসের উপর কোন প্রভাব পড়ে না। তিনি বলেন, ‘কে কী বলল, তাতে স্টোকসের কিছু যায় আসে না। সে নিজের মতো করে করছে এগুলো। স্টুয়ার্ট ব্রডকে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে নামানোর জন্য প্রস্তুত রাখছে, ব্রডকে আপনি কবে রক্ষণাত্মক শট খেলতে দেখেছেন? এ মুহূর্তে স্টোকস আসলে সুরটা ধরিয়ে দিচ্ছে। দলকে একটা বার্তা দিচ্ছে। তবে আমার মনে হয় সে নিজেও থিতু হবে। কারণ সে খুবই স্মার্ট ক্রিকেটার, রুট-বেয়ারস্টোর সঙ্গে ইংল্যান্ডের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান।’
এ মৌসুমে এখন পর্যন্ত চারটি টেস্টই রান তাড়া করে জিতেছে ইংল্যান্ড। তবে সব সময় এমন হবে না, নাসের মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটিও, ‘এউইন মরগানের সীমিত ওভারের দলের মতো এই টেস্ট দলও মাঝে মাঝে পা হড়কাবে। তারা ভুল করবে। তবে এই পথে তাদের কোনো সংশয় থাকবে না, যেটিই করুক না কেন। নিজেদের মতো করেই করতে থাকবে। আশা করি, এটি দীর্ঘদিন ধরেই চলবে।’