চলমান শ্রীলঙ্কা টেস্টে পূর্বে সাকিব টেস্ট ক্রিকেট খেলেছেন গত বছরের ডিসেম্বরে। কোভিড থেকে নাটকীয়ভাবে সেরে ওঠার পর স্রেফ শনিবার অনুশীলন করেছেন। তবে ঝালিয়ে নিয়েছেন শুধু ব্যাটিং। অনুশীলনে বল করেননি একটিও।
কোন অনুশীলন ছাড়াই টেস্ট ক্রিকেটে খেলতে নামাটা মোটেই তার আদর্শের মধ্যে পড়ে না। এরমধ্যে যদি হয় কোভিড থেকে ফিরে আসা, তাহলে তো কথাই নেই। তবুও, সাকিব যে চমকে দিতে জানেন। ক্যারিয়ারে বহুবারই যে সবাইকে চমকে দিয়েছেন।
প্রথম ওভারে দিলেন ১ রান, দ্বিতীয় ওভার মেডেন। এরপর ওভারের পর ওভার দারুণ বোলিং করে গেলেন। দিন শেষে তার বোলিং ফিগার ১৯-৭-২৭-১।নাঈম দুটি উইকেট নিলেও সাকিব যে দিনের সেরা বোলার তা নিয়ে সংশয় ছিল না কারো।
এই যেমন বাংলাদেশের স্পিন কোচ ও লঙ্কান বাঁহাতি স্পিন গ্রেট রঙ্গনা হেরাথ নিশ্চিত ছিলেন, বোলিং অনুশীলন ছাড়াও সমস্যা হবে না সাকিবের। হেরাথ বলেন, ‘তার ওপর আমার শতভাগ বিশ্বাস ছিল যে অনুশীলন ছাড়াই সে ভালো করবে। তার মতো সামর্থ্যের ক্রিকেটার আমরা খুব বেশি পাই না। যদি খেয়াল করে দেখেন, অনুশীলন ছাড়া সে প্রথম বলটিই করেছে একদম ঠিকঠাক। দারুণ ব্যাপার এটা। তার আত্মবিশ্বাস এতটাই ভালো। গোটা দলকেও সে আত্মবিশ্বাস জোগায়। আজকে সে দারুণ বোলিং করেছে, দলের সবচেয়ে মিতব্যয়ী বোলার সে।’
প্রথম স্পেলে দারুণ দুটি ডেলিভারিতে উইকেট পান নাঈম। এরপর তিনি টানা জোরের উপর বল করতে শুরু করেন। যার খেসারতও তাকে দিতে হয়েছে প্রচুর রান হজম করে। তবে, ভিন্ন ছিলেন অপর স্পিনার তাইজুল ইসলাম। বিভিন্ন গতিতেই বল করতে দেখা গেছে তাকে।
তাইজুলের বোলিংয়ে অখুশি নন হেরাথ। তবে নাঈম প্রসঙ্গে হেরাথ বলেন ‘এটা অনেকটাই নির্ভর করে অ্যাকশনের ওপর (মন্থর গতিতে বল করা)। সাকিব তার অ্যাকশনে সবসময় সহজেই ধীরে বল করতে পারে। তাইজুলের কথা অবশ্য বলতেই হবে আমাকে, গতি বৈচিত্র বেশ ভালোভাবেই ব্যবহার করেছে সে। নাঈমকে ম্যাচের পরিস্থিতি ও নিজের ভূমিকা আরেকটু বুঝতে ও শিখতে হবে। তাহলে সে উন্নতি করবে। তবে কালকেই সুযোগ আছে নিজেকে মেলে ধরার।’