বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের পরিচালনা পর্ষদের চতুর্থ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। সভা শেষে সংবাদ মাধ্যমের সাথে কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে এবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে তিনি এলেন পুরো প্রস্তুত হয়েই৷ পাপন জানতেন টেস্ট ক্রিকেট নিয়ে প্রশ্নের মুখোমুখি হবেন তিনি। তাই হাতে চিরকুটে লিখে নিয়ে এলেন বাংলাদেশ দলের টেস্ট পরিসংখ্যান।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের যাচ্ছেতাই অবস্থা। এই ব্যাপারে বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক দুষেছেন দেশের টেস্ট সংস্কৃতিকে। এবার টেস্ট অধিনায়কের সুরে সুর মিলিয়েছেন বিসিবি বসও। তবে তিনি এর থেকে উত্তরণের পথটাও বলে দিয়েছেন। পাপন বলেন, ” ওভারঅল টেস্ট সংস্কৃতি আমাদের মাঝে নেই। খেলার সুযোগটা পেল কোথায় আগে? এখন খেলা শুরু করেছে, আমরা বাইরে গিয়েও জেতা শুরু করেছি, তাই বলে কি সব জিতব নাকি? এটা টোটালই আলাদা।’
এ সমস্যা থেকে উত্তরণের ব্যাপারে পাপন আরো বলেন, ‘টানা খেলার কারণে ওদের ডেভেলপ করার সুযোগ পাচ্ছি না। কিন্তু সমাধান খুঁজতে একটা ওয়ার্কিং কমিটি করা হয়েছে। একটা ওয়ার্কিং গ্রুপ আমাদের কাছে আবেদন দেবে খুব শিগগিরই। টেস্ট এত সহজ না, কোনো দেশেই। বহুত সময় লাগে।’
পরের পুরো বক্তব্যেই অন্যদের সাথে নিজেদের তুলনা করলেন পাপন। চিরকুট খুলে সেখানে লিখে আনা পরিসংখ্যান তুলে ধরলেন সবার সামনে। জানালেন একটা সিরিজ হারলেই সমালোচনায় মেতে উঠা ঠিক নয়৷ তিনি বলেন, ‘প্রথম ৫০ বছরে ১৯৬ ম্যাচ খেলে ভারত মাত্র ৩৫টি জিতেছে। উপমহাদেশের সবচেয়ে শক্তিশালী দেশ ওরা।
নিউজিল্যান্ডের উদাহরন টেনে পাপন বলেন ” ওরা এখন বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। প্রথম টেস্ট জিততে ওদের ২৬ বছর লেগেছে। বাংলাদেশের সাথে খেলত কে? জিম্বাবুয়ে আর ওয়েস্ট ইন্ডিজ ছাড়া কেউ খেলত নাকি? এখন তো কঠিন প্রতিপক্ষের সাথে খেলছি। আমরা তো তেমন খেলিনি, সুযোগ পাইনি। এখন সুযোগ আসছে। সুযোগ আসার সাথে সাথে খুব ভালো করবে ধরে নিলে ভুল।’
পাপন আরো বলেন, ‘২০১২ থেকে এখন পর্যন্ত, ১০ বছরে ৬১টি টেস্ট খেলেছি। এর মধ্যে ১৩টি জিতেছি, ১১টি ড্র, ৩৭টি হেরেছি। জয়ের হার ২১ শতাংশ। একটা ম্যাচ, একটা সিরিজ হারলে সব হতাশ হয়ে যাব, আর যা খুশি বলে বেড়াব, দোষ খুঁজে বেড়াব- এটা করা ঠিক না।’