এবারের এশিয়া কাপে মোটেই হাসেনি বাবর আজমের ব্যাট। যেখানে ব্যাট হাতে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়ার কথা, সেখানে উল্টো একের পর এক ম্যাচে ব্যাটিং ব্যর্থতায় দলকে বিপদে ফেলেছেন পাকিস্তানি অধিনায়ক। টি-টোয়েন্টি বাবরের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে তো বটে, রান না পাওয়া নিয়ে সমালোচনায় মুখর অনেকেই।
বাবরের স্ট্রাইকরেট নিয়ে রীতিমতো ট্রলে মেতেছেন দেশটির সাবেক পেসার আকিব জাভেদ। পিএসএলে করাচি কিংসের বিপক্ষে খেলা হলে, বাবরকে আউট না করার পরামর্শও দিতেন লাহোর কালান্দার্সের প্রধান কোচ জাভেদ। তিনি বলেন, ‘রান তাড়া করতে নেমে বাবর ধীরস্থীরভাবে ব্যাটিং করতে থাকে। এতে দ্রুত রান তোলার চাপ বাড়ে।’
বাবরের ধীরগতির ব্যাটিং নিয়ে ঘোর আপত্তি জানিয়েছেন সাবেক পাকিস্তানি পেসার শোয়েব আখতারও। তবে লাহোরের বিপক্ষে বাবরের পরিসংখ্যান এতোটাই খারাপ বলা যাবে না। ২০২০ সাল এবং ২০১৯ সালে লাহোরের বিপক্ষে ৪৯ বলে ৬৩ এবং ৪৬ বলে ৬৯ রানের দুটি ইনিংস রয়েছে বাবরের। যেখানে একটি ইনিংস ফাইনালের মতো হাই-ভোল্টেজ ম্যাচে।
তবে সেসব সমালোচনায় কান দিচ্ছেন না বাবর। তিনি বলেন, ‘সাবেক ক্রিকেটাররা তাদের মতামত দিতে পারেন। তবে অনেকেই ব্যক্তিগত আক্রমণ করছেন, এটি হতাশাজনক। সাবেক ক্রিকেটাররাও আমাদের এই সময়টা পার করে এসেছেন। তারা জানানে আমরা কতটা দায়িত্ব আর চাপে আছি। ব্যক্তিগতভাবে এসব সমালোচনা আমি গায়ে মাখি না।’
এদিকে পাকিস্তানের কোচ সাকলাইন মুশতাক গণমাধ্যমেকে জানিয়েছে বাবরের ফর্ম নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন তিনি। বাবরের মানের খেলোয়ার বিশ্বকাপের আগেই ফর্মে ফিরবেন বলে ও আশাবাদী তিনি। তবে বিশ্বকাপের আগেই ইংল্যান্ডের বিপক্ষে রানে ফিরতে মরিয়া বাবর।
সাক্ষাৎ বাবর আরো বলেন, ‘ইংল্যান্ড সিরিজ আমরা জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ। এ সিরিজে রানে ফিরতে চাই। খারাপ সময় থেকে বের হতে সবকিছু সহজভাবে ভাবছি। নিজের উপর বিশ্বাসটাই জরুরী। আমি জানি, আগে ভালো করেছি। সামনেও করবো। মানুষ সবসময় কথা বলবে। এমনকি ভালো খেললেও। তাদের কথা কানে না নেওয়াই ভালো।’
এশিয়া কাপের ব্যর্থ মিশন শেষে এখন ঘরের মাটিতে ইংল্যান্ডের সাথে ৭ ম্যাচের টি টোয়েন্টি সিরিজ খেলছে বাবর আজমের দল। যেখানে প্রথম ম্যাচেই ইংল্যান্ডের কাছে হেরেছে পাকিস্তান। ব্যাট হাতে এদিন ও ব্যর্থ বাবর।২৪ বলে খেলেছেন ৩১ রানের ইনিংস। স্ট্রাইকরেট ১২৯.১৬! শেষ পর্যন্ত মাঠের ২২ গজে বাবরের ব্যাট কখন হাসে সেটাই দেখার বিষয়।