ক্রিকেট ইতিহাসে এখন পর্যন্ত, সবচেয়ে দ্রুত গতির বলটি করেছেন শোয়েব আখতার। ২০০৩ সালের বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাকিস্তানি পেসারের করা সেই বলটির গতি ছিল, ঘন্টায় ১৬১.৩ কিলোমিটার প্রায়। এখন পর্যন্ত সেটিই রেকর্ড বইয়ে শীর্ষস্থান দখল করে আছে। কিন্তু এবার নিজের গতির ঝলকে, শোয়েবের সেই রেকর্ড ভেঙে দেওয়ার স্বপ্ন দেখছেন ভারতের উঠতি গতি তারকা উমরান মালিক।
উমরানের ইচ্ছে, ক্রিকেটে সবচেয়ে বেশি গতির বল করে নতুন ইতিহাস লিখবেন তিনি। অবশ্য ভারতীয় পেসারের গতি নিয়ে বিশ্বব্যাপী আলোড়ন সৃষ্টি হয়েছে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের (আইপিএল) গেল আসর থেকে। ২০২২ সালে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের জার্সিতে প্রায় প্রতি ম্যাচেই গতির ঝড় তুলেছেন এই পেসার। সেই সাথে টুর্নামেন্টে ২২টি উইকেটও শিকার করেন তিনি। এরপরেই আলোচনায় উমরান আর তার গতি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাতকারে নিজের ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন উমরান। সেখানে তিনি বলেন, ” জাতীয় দলের জার্সি গায়ে খেলা যে কোন ক্রিকেটারের স্বপ্ন। সেই স্বপ্ন পূরন হয়েছে, এখন আমার লক্ষ্য হচ্ছে, ভারতীয় দলের হয়ে ভালো পারফর্ম করা, দেশের হয়ে অবদান রাখা। ক্রিকেট ছাড়া এর বাইরে কিছু ভাবছি না। শোয়েবের গতির রেকর্ড অনেক দিন অক্ষত, তবে এটি সত্য যে, শোয়েবের গতির রেকর্ড আমি ভাঙতে চাই। যদি ভালো বোলিং করতে পারি এবং আল্লাহ সহায় হয়। যদিও এসব রেকর্ড নিয়ে আমি ভাবি না, আমার লক্ষ্য লাইন লেন্থ ঠিক রেখে বল করে যাওয়া। দেশের হয়ে ভালো খেলা, নিজের সেরাটা দেয়াই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। “
মাঠে নিজের মানসিকতা এবং বোলিং নিয়েও কথা বলেছেন উমরান। তার মতে, খেলার সময় ভালো করার তাড়না বাদে আর কিছু মাথায় থাকেনা তার। তরুণ পেসার আরো বলেন, ” ম্যাচ চলাকালীন সময়ে গতি নিয়ে একটুও ভাবিনা। ম্যাচে কোন বলটি কত গতিতে করছি, সেটা তখন জানতে পারি না। খেলা শেষে সাজঘরে ফিরেই জানতে পারি, কত গতিতে বল করেছি। মাঠে আমার একমাত্র লক্ষ্য থাকে প্রতিপক্ষের উইকেট নেয়া , সঠিক জায়গায় বল করে, বলের লাইন ঠিক রেখে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা। এটা আমার জন্য ভালো, দলের জন্যও ভালো। “
উল্লেখ্য, আইপিএলে নিজেকে প্রমাণ করে ইতোমধ্যেই ভারতীয় দলের হয়ে দুই ফরম্যাটে খেলেছেন উমরান। ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (বিসিসিআই) এই তরুণের প্রতি পূর্ণ আস্থা রাখছে। যাতে করে সে নিজের সেরাটা বের করে আনতে পারেন, নিশ্চিন্তে ক্রিকেটটা খেলতে পারেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনে উমরান নিজের প্রতিভার ছাপটা রেখে যাচ্ছেন ধীরে ধীরে। কে জানে চেষ্টা করলে, আর তার প্রতিভা অনুযায়ী খেলতে পারলে একদিন হয়ত অনেক রেকর্ডের মালিকও হবেন তিনি ।