পাকিস্তানের ক্রিকেট অঙ্গনে ক্রিকেটার এবং বোর্ড কর্তা কিংবা ম্যানেজমেন্ট দ্বন্দ্বের কথা প্রায়ই ক্রিকেট পাড়ায় শোনা যায়৷ সেই রকমই একটি ঘটনা এবার সামনে এসেছে। বেশ প্রতিভাবান ক্রিকেটার হিসেবেই পাকিস্তান ক্রিকেটে এসেছিলেন মোহাম্মদ শেহজাদ। দুর্দান্ত ওপেনার হিসেবে দলে নিজের জায়গা প্রায় পোক্ত করেছিলেন। কিন্তু, ইঞ্জুরি আর অফ ফর্মের কারণে এখন জাতীয় দলের ত্রিসীমায়ও নেই এই ক্রিকেটার।
২০১৯ সালে জাতীয় দলের জার্সিতে সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছেন শেহজাদ। ২০১৬ সালে ক্রিকেটারদের নিয়ে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড পিসিবিতে একটি রিপোর্ট জমা করেন তখনকার প্রধান কোচ ওয়াকার ইউনুসের নেতৃত্বাধীন কোচিং প্যানেল।
সেখানে শেহজাদকে দলে নিতে অস্বীকৃতি জানান তারা৷ পরামর্শ হিসেবে শেহজাদকে তারা জানিয়েছিলেন, ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফর্ম করে নিজের জায়গা আবার পুনরুদ্ধার করে নেয়ার। এরপর থেকেই আর জাতীয় দলে আসা যাওয়ার মিছিলে ছিলেন এই ওপেনার।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে শেহজাদ জানালেন, তার ক্যারিয়ার ধ্বংসের জন্য সাবেক কোচ ওয়াকারই দায়ী। যদিও তিনি ওয়াকার প্যানেলের দেয়া রিপোর্টটি দেখেন নি তবুও পিসিবি কর্তাদের থেকে শোনা কথায় ওয়াকারকেই দোষী মানছেন তিনি।
শেজজাদ সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘আমি নিজে দেখিনি। কিন্তু পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের কর্তারা আমাকে বলেছিলেন বিষয়টা। ওয়াকার নাকি আমার বিরুদ্ধে রিপোর্ট দিয়েছিলেন। আমার মতে, এগুলো সামনা সামনি আলোচনা হওয়াই ভাল। যে কোনও চ্যালেঞ্জ নিতে আমি প্রস্তুত। তা হলেই বোঝা যাবে কে ঠিক আর কে ভুল।
শেহজাদ আরো বলেন ” আমার অনেক বেশি কিছু বলা উচিত ছিল। হতে পারে বিষয়টা নিয়ে আমার অনেক দূর যাওয়া উচিত ছিল। কিন্তু সে সব কিছুই করিনি। মুখ বন্ধ রেখেছিলাম। কারণ, নিজের সম্মান রাখতে চাই। ওদের মতো নীচে নামতে পারব না। কিন্তু ওদের জন্যই আমার ক্রিকেট জীবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। আমাকে বলার কোনও সুযোগই দেওয়া হয়নি।