সেই যে শ্রীলংকার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের সময় চোটে পড়েছেন, এখনো আর মাঠে ফেরা হয়নি শাহিন শাহ আফ্রিদির। তবে ক্রিকেটের গুরুত্বপূর্ণ এই সময়ে দলের সেরা পেসারকে পেতে মরিয়া হয়ে উঠেছে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এশিয়া কাপে খেলতে না পারলেও দলের সঙ্গে তাকে নিয়ে যান বাবর আজমরা।
তবে পরবর্তীতে পুনর্বাসনের জন্য লন্ডন যান শাহিন। আর তাতেই বাঁধলো বিপত্তি। লন্ডনে শাহিনের চিকিৎসা হয়েছে পুরোটাই নিজস্ব খরচে। এমনটাই দাবি করলেন তার হবু শশুর এবং পাকিস্তানের সাবেক অধিনায়ক শহীদ আফ্রিদি। শাহিনকে চিকিৎসার বিষয়ে নিজে সহযোগিতা করেছেন বলেও জানান তিনি।
স্থানীয় এক টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাতকারে এ প্রসঙ্গে আফ্রিদি বলেন, ‘শাহিন ওর নিজের টাকায় ইংল্যান্ডে গেছে। নিজের খরচে ইংল্যান্ডে থেকেছে। এখান থেকে আমি ডাক্তারের ব্যবস্থা করে দিয়েছি। তবে ওখানে গিয়ে ও নিজেই ডাক্তারের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। পিসিবি ওর চিকিৎসার জন্য কিছুই করেনি।‘
সাবেক পাকিস্তানি অলরাউন্ডার আরো বলেন, ‘চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ থেকে শুরু করে, সেই খরচ দেওয়া, হোটেলে থাকা এবং খাওয়া, সব খরচই নিজের পকেট থেকে দিয়েছে শাহিন।‘ আফ্রিদির এই বিস্ফোরক অভিযোগের পর শোরগোল পড়ে যায় পাকিস্তানের ক্রিকেট মহলে। বোর্ডের সমালোচনায় মেতে ওঠেন সমর্থকরা।
তবে আফ্রিদির সেই অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এক সমর্থকের প্রশ্নের জবাবে পিসিবি সভাপতি রমিজ রাজা বলেন, ‘কেউ কিভাবে ভাতে পারে যে, শাহিনের অভিভাবক সংস্থা (পিসিবি) ওকে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই রেখে দিবে? এটি অসম্ভব। পিসিবি শাহিনকে সব নিজে নিজে করতে বলবে, এমন প্রশ্নই আসতে পারে না।
দেশের সকল পর্যায়ের ক্রিকেটারদের জন্য পিসিবি যা করে আর কোনো দেশের ক্রিকেট বোর্ড তা করে না, দাবি করে রমিজ আরো বলেন, ” পিসিবির জন্য খেলোয়াড়রাই সবচেয়ে বড় স্টেকহোল্ডার। আন্তর্জাতিক বা ঘরোয়া যাই বলুন না কেন, পিসিবি তার খেলোয়াড়দের জন্য সর্বোচ্চটুকুই করে “।
এদিকে সব জল্পনা আর বিতর্ক ছাপিয়ে পাকিস্তানি সমর্থকদের জন্য স্বস্তির খবর হতে পারে, দলের সেরা খেলোয়াড়ের সুস্থ হয়ে ওঠা। টি–টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিকটে। অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে শুরু হতে যাওয়া সেই বিশ্বকাপ দলেও আছেন শাহিন। সবকিছু ঠিক থাকলে, বিশ্বকাপে এই পেসারের পূর্ণ সার্ভিস পাবে পাকিস্তান।
তবে শাহিন আফ্রিদির চিকিৎসা ইস্যুতে, আফ্রিদি আর রমিজ রাজার এই পাল্টাপাল্টি বক্তব্যে উত্তপ্ত পরিস্থিতি এখন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডে। নেটিজেনদের অনেকেই হতাশা প্রকাশ করে বলছেন টিম পাকিস্তানের সেরা পেস তারকাকে নিয়ে এই ধরনের বিতর্ক দুঃখজনক।