ক্রিকেট আর ফিক্সিং যেন সমার্থক শব্দ। সময় যত গড়িয়েছে, সারা বিশ্বে ক্রিকেট তত সম্প্রসারিত হয়েছে। সেই সাথে ক্রিকেটে পাল্লা দিয়ে বেড়েছে পাতানো ম্যাচের সংখ্যা এবং ফিক্সিং কান্ড। পাতানো ম্যাচ খেলে এবং ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে ইতোমধ্যে অনেকের ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে। তবু পূর্নাঙ্গভাবে ফিক্সিং মুক্ত ক্রিকেট করতে পারেনি আইসিসি।
ফিক্সিং কান্ডের জন্য এবার নিষেধাজ্ঞা জারি হল সংযুক্ত আরব আমিরাতের ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। ম্যাচ ফিক্সিং সংক্রান্ত সাতটি অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করে আমিরাতের ক্রিকেটার মেহের ছায়াকরকে ১৪ বছরের জন্য নিষিদ্ধ করেছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি)। আইসিসি এক বিবৃতিতে বিষয়টি জানানো হয়েছে।
মেহার ছায়াকরের খেলাকে কলুষিত করার বিষয়টি প্রথম সামনে আসে ২০১৮ সালে। আইসিসির দুর্নীতি বিরোধী ইউনিটের জেনারেল ম্যানেজার অ্যালেক্স মার্শাল এ বিষয়ে বলেন,”আমরা মেহার ছায়াকরের খবর প্রথম জানতে পারি ২০১৮ সালে, আজমানে একটি ‘পাতানো‘ ক্রিকেট টুর্নামেন্টের আয়োজক ছিলেন তিনি। আমাদের খেলাটাকে কলুষিত করার চেষ্টা এরপর ছায়াকর নিয়মিতই করে গেছেন। এ সব অভিযোগ প্রমাণিত হওয়াতেই তাকে লম্বা সময়ের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে।“
যারা ক্রিকেটকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া হবে জানিয়ে মার্শাল আরো বলেন ” যারা ক্রিকেটকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন তাদের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান অব্যাহত থাকবে। ১৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দিয়ে আইসিসির ট্রাইব্যুনাল এই বার্তাটিই দিয়েছে যে আমাদের খেলাটাকে কলুষিত করার পরিণাম কি হতে পারে।“
উল্লেখ্য, আইসিসির তথ্য অনুযায়ী দুটি ম্যাচে পাতানোর অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে এই ক্রিকেটারের বিরুদ্ধে। যার ফলস্বরূপ তাকে ১৪ বছরের নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধাজ্ঞার পর ছায়াকরের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগগুলো মিথ্যা বলে দাবি করেছেন ছায়াকর।
ইতোমধ্যে ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে অনেক তারকা ক্রিকেটার ও অকালে ঝরে গেছেন। ম্যাচ গড়াপেটার কারনে হ্যানসি ক্রনিয়ে, আজহারউদ্দীন, অজয় জাদেজাদের ক্যারিয়ার থেমে যায়। পাকিস্তানের তারকা পেসার আমির, সালমান বাটরা প্রতিভাবান হয়েও ফিক্সিং করে জেল খেটেছেন।
বাংলাদেশের ক্রিকেটের প্রথম সুপারস্টার আশরাফুল ও ফিক্সিং কান্ডে জড়িয়ে নিজের ক্যারিয়ার শেষ করেছেন।তবু ক্রিকেট থেকে পুরোপুরি যায়নি ফিক্সিং। ছায়াকরের ঘটনা থেকে বাকিরা কি শিক্ষা নেবে? কোটি টাকার প্রশ্ন।