২০২৩ বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার সরাসরি খেলার সম্ভাবনা এখনো ঝুঁকির মধ্যে । এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে বিশ্বকাপ সুপার লিগের আওতাধীন সিরিজ বাতিল করেছে প্রোটিয়ারা। এতে বিশ্বকাপে সরাসরি খেলার রাস্তাটা আরো কঠিন হয়ে পড়েছে তাদের জন্য। কিন্তু তবুও কেন এই পথ বেছে নিলো তারা? দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড কর্তারা জানালেন, দেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ প্রতিষ্ঠার জন্যই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
আগামী ডিসেম্বর-জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিতব্য টেস্ট সিরিজ শেষে ওয়ানডে সিরিজ খেলার কথা ছিল প্রোটিয়াদের। ওই সময়েই নিজেদের নতুন ফ্র্যাঞ্চাইজি টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু করবে দক্ষিণ আফ্রিকা। এজন্য ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়াকে ওয়ানডে সিরিজটি পেছানোর অনুরোধ করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু গ্রীষ্মে অজিদের ব্যস্ত সূচির কারণে প্রোটিয়াদের কোন জায়গা দিতে পারছে না অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট বোর্ড ।
এর আগেও ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ আয়োজন করতে ব্যর্থ হওয়া দক্ষিণ আফ্রিকা ক্রিকেট বোর্ড এবার আর ব্যর্থ হতে চায় না। এবার লক্ষ্য পূরণে কিছুতেই পিছপা হতে চান না বলে ক্রিকইনফোকে জানালেন সিএসএ-এর প্রধান নির্বাহী ফোলেৎসি মোসেকি। তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজটি না হওয়ায় খেলোয়াড়রা হতাশ, তবে তারা কারণটা বুঝতে পারছে। টি-টোয়েন্টি লিগে অনেক লোক প্রচুর অর্থ বিনিয়োগ করছে এবং আমাদের এটা সফল করতে সর্বোচ্চ চেষ্টা করতে হবে।’
অন্যদিকে, অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে না খেলে পয়েন্ট না পাওয়ায় বিশ্বকাপে খেলার রাস্তা কঠিন হয়ে গেলেও এই ব্যাপারে চিন্তিত নন বোর্ড প্রধান লসন নাইডু। তিনি বলেন, ‘দলের মালিকদের সন্তুষ্ট করতে এবং লিগের পরিপূর্ণতা নিশ্চিত করার জন্য আমাদের সকল শীর্ষ খেলোয়াড়দের প্রয়োজন। পয়েন্ট টেবিলের অবস্থান অনুযায়ী আমরা জানি, সরাসরি বিশ্বকাপে ওঠা কঠিন হবে। আমরা সরাসরি জায়গা পেতেই চাইবো, তবে আমাদের যদি বাছাই খেলতে হয়, ওটাই আমাদের করতে হবে। ঝুঁকি সম্পর্কে ক্রিকেটাররা জানে।’
নাইডু আরো বলেন, ‘সব দেশই তাদের লিগের জন্য একটি উইন্ডো পাওয়ার চেষ্টা করছে। আমরা বুঝতে পারছি, আমাদের দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেট কমিয়ে আনতে হবে। এখনও দ্বিপাক্ষিক ক্রিকেটকে গুরুত্ব দিতে চাই আমরা, কিন্তু আমাদের মতো দেশগুলোর জন্য বাস্তবতা হলো, ভারতের বিপক্ষে খেললেই কেবল অর্থ উপার্জন করা সম্ভব। কোভিডের আগের বছর ২০১৯ সালে ইংল্যান্ড ও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে সিরিজ আয়োজন করেছিলাম আমরা, তারপরও লোকসানে পড়েছি। তাই আমাদের বিকল্প খুঁজতেই হবে।’