BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ক্রিকেট হাইলাইটস, ১৫ সেপ্টেম্বর: সিপিএল ২০২২ (ম্যাচ ১৯) – বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস

বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস

বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস

বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস (ম্যাচ ১৯) – হাইলাইটস

সিপিএল ২০২২ এ বৃষ্টি বিঘ্নিত ম্যাচে ত্রিনিদাদের পোর্ট অফ স্পেনের কুইন্স পার্ক ওভালে বার্বাডোজ রয়্যালস এর বিপক্ষে ডিএলএস পদ্ধতি ৬ রানের এক অসাধারণ জয় পেয়েছে জ্যামাইকা তালাওয়াস। বল হাতে দুই মেডেন সহ তিন ওভারে মাত্র ১৪ রান দিয়ে তিন উইকেট শিকার করে প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হয়েছেন স্পিনার ইমাদ ওয়াসিম।

ম্যাচের শুরুতে জ্যামাইকা তালাওয়াস এর অধিনায়ক রোভম্যান পাওয়েল টসে জিতে ফিল্ডিং করার সিদ্ধান্ত নেন এবং বার্বাডোজ রয়্যালসকে ব্যাটিং করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে ইমাদ ওয়াসিমের ঘূর্ণি জাদুতে শুরু থেকেই চাপে পড়ে যায় বার্বাডোজ রয়্যালস।

পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে ১৭ রান তুলতেই ৩ উইকেট হারিয়ে ফেলে বার্বাডোজ রয়্যালস। যেখানে তিনটি উইকেটই শিকার করেন বাঁহাতি অর্থডক্স স্পিনার ইমাদ। ইনিংসের ৪র্থ ওভারে বোলিংয়ে এসে তিনি প্রথমই বোল্ড করেন ওপেনার রাকিম কর্নওয়ালকে (১৫)। এরপর ৬ষ্ঠ ওভারে জোড়া শিকার করেন তিনি। কাইল মায়ার্সকে ১ রানে এবং করবিন বোশকে শূন্য রানে আউট করেন তিনি।

এরপর ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়া বার্বাডোজ রয়্যালসকে পথ দেখান প্রোটিয়া ব্যাটার কুইন্টন ডি কক। যদিও আজম খান তাঁকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। ১১ বলে ১২ রান করেন তিনি। তবে এরপর ৫ম উইকেটে ডি কক এবং অধিনায়ক ডেভিড মিলার মিলে ৮৩ রানের বড় জুটি গড়ে তোলেন। ১ চার ও ২ ছক্কায়, ২৭ বলে ৩৪ রান করে সাজঘরে ফিরেন মিলার।

তবে ডি কক ইনিংস শেষ হওয়ার মাত্র এক বল বাকি থাকতে প্যাভিলিয়নে ফিরেন। তাঁর ৪৩ বলে ৭৪ রানের এই দুর্দান্ত ইনিংসে ছিল ৭ চারের সাথে ৩টি ছক্কার মার। এছাড়া জেসন হোল্ডার ৪ রান করে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ২০ ওভারে ৬ উইকেট হারিয়ে ১৪৬ রান তুলতে সমর্থ হয় বার্বাডোজ রয়্যালস।

ইমাদ ছাড়াও জ্যামাইকা তালাওয়াসের হয়ে মোহাম্মদ আমির, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন এবং নিকোলসন গর্ডন ১টি করে উইকেট তুলে নেন। যেখানে আমির ৪ ওভার বোলিং করে মাত্র ২১ রান খরচ করেন।

১৪৭ রানের চ্যালেঞ্জিং লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করে জ্যামাইকা তালাওয়াস। পাওয়ার প্লে’র ৬ ওভারে শেষে এক উইকেট হারিয়ে ৫৯ রান তুলে নেয় তারা। যেখানে আমির জাঙ্গু ৫ চার ও এক ছক্কায়, ১৮ বলে ২৯ রান করেন। ১০ ওভার শেষে জ্যামাইকা তালাওয়াসের স্কোর দাঁড়ায় ৯৫/১। কিন্তু নিশ্চিত এই জয়ের ম্যাচে এরপর বাঁধ সাধে বৃষ্টি।

প্রায় আধঘন্টা স্থগিত থাকার পর খেলা শুরু হলে ওভারের তৃতীয় বলেই আউট হয়ে যায় শামারাহ ব্রুকস (১৮)। এরপর ইনিংসের ১৩তম ওভারে জোড়া শিকার করে হোল্ডার বার্বাডোজ রয়্যালসকে আবারও ম্যাচে ফিরিয়ে আনে। তিনি সেট ব্যাটার ব্র্যান্ডন কিং (৩৩ বলে ৪৬) এবং রেমন রেইফারকে (১) সাজঘরে পাঠান।

১৭তম ওভারে হোল্ডার ফ্যাবিয়ান অ্যালেনের (১) উইকেট তুলে নেন। ১২ থেকে ১৭ এই ৫ ওভারে (৩০ বলে) ৩ উইকেট হারিয়ে মাত্র ১৯ রান তুলতে সমর্থ হয় জ্যামাইকা তালাওয়াস। এরপর আবারও ম্যাচে হানা দেয় বৃষ্টি। ফলে আর একটি বলও মাঠে গড়াতে পারেনি। কিন্তু রানরেট ভালো থাকায় শেষ পর্যন্ত ডিএলএস পদ্ধতিতে ৬ রানের অবিশ্বাস্য জয় পেয়ে যায় জ্যামাইকা তালাওয়াস।

১৭ ওভার শেষে ৫ উইকেট হারিয়ে ১২৬ রান সংগ্রহ করেছিল জ্যামাইকা তালাওয়াস। অধিনায়ক পাওয়েল ১২ এবং ইমাদ ৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। বার্বাডোজ রয়্যালসের হয়ে জেসন হোল্ডার সর্বাধিক ৩টি এবং ওবেদ ম্যাককয় ২টি উইকেট শিকার করেন।

এই ম্যাচ জয়ী হয়ে পয়েন্ট টেবিলের ২য় স্থানে অবস্থান করছে জ্যামাইকা তালাওয়াস। অপরদিকে এই ম্যাচে পরাজিত হয়ে বার্বাডোজ রয়্যালস এখনও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষ স্থান ধরে রেখেছে।


বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস এর স্কোরবোর্ড

বার্বাডোজ রয়্যালস – ১৪৬/৬ (২০.০)

জ্যামাইকা তালাওয়াস – ১২৬/৫ (১৭.০)

ফলাফল – জ্যামাইকা তালাওয়াস ৬ রানে জয়ী (ডিএলএস পদ্ধতি)

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – ইমাদ ওয়াসিম



বার্বাডোজ রয়্যালস বনাম জ্যামাইকা তালাওয়াস ম্যাচের একাদশ

বার্বাডোজ রয়্যালস ডেভিড মিলার (অধিনায়ক), আজম খান (উইকেট রক্ষক), রাকিম কর্নওয়াল, করবিন বোশ, কাইল মায়ার্স, কুইন্টন ডি কক, জেসন হোল্ডার, মুজিব উর রহমান, ওবেদ ম্যাককয়, জশুয়া বিশপ এবং রেমন সিমন্ডস।
জ্যামাইকা তালাওয়াস রোভম্যান পাওয়েল (অধিনায়ক), আমির জাঙ্গু (উইকেট রক্ষক), শামারাহ ব্রুকস, রেমন রেইফার, ব্র্যান্ডন কিং, ফ্যাবিয়ান অ্যালেন, ক্রিস গ্রিন, ইমাদ ওয়াসিম, মিগেল প্রিটোরিয়াস, নিকোলসন গর্ডন এবং মোহাম্মদ আমির।
Exit mobile version