বোলার চামিন্দা ভাসকে নতুন করে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার কিছু নেই। একসময় শ্রীলঙ্কার জার্সিতে মাঠের বাইশ গজে ব্যাটসম্যানদের বুকে কাঁপন ধরিয়েছেন তিনি। এখন সেই দায়িত্ব ছেড়ে কোচিং পেশায় চলে এসেছেন কিংবদন্তি এই পেসার। বর্তমানে কোচিং করাতে এসেছেন বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল)। ঢাকা ডমিনেটরসের হয়ে ঢাকায় আসা শ্রীলঙ্কান কোচ কাজ করতে মুখিয়ে আছেন।
নিজে যেহেতু পেসার ছিলেন, সেহেতু ঢাকা দলের পেসারদের নিয়েই কাজ করবেন ভাস। সেক্ষেত্রে তিনি পাচ্ছেন তাসকিন আহমেদ, শরিফুল ইসলামের মতো তরুণ তারকাদের। ভাসও জানালেন, তাসকিন একদিন সেরাদের সেরা হয়ে উঠবেন। তিনি বলেন, ” তাসকিনকে কাছ থেকে দেখেছি। সে প্রচন্ড প্রতিভাধর, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিজেকে প্রমাণ করেছে তাসকিন। দলের হয়ে সে দায়িত্ব পালন করতে অভ্যস্ত। মাঠে সব সময় ও নিজের সেরাটা দিতে চায়। সে বয়সে তরুন, সময়ের সাথে সাথে আরো পরিপক্ক হবে। সে নিজের ওপর আত্মবিশ্বাস রেখে পারফর্ম করতে পছন্দ করে । “
শরিফুলকে নিয়েও আলাদাভাবে আশার বাণী শোনালেন ভাস। এই লংকান কোচের মতে, বাংলাদেশের জন্য লম্বা রেসের ঘোড়া হতে পারেন এই বাঁহাতি পেসার। ভাস বলেন,
” বাংলাদেশের পেস বোলিং বিভাগে শরিফুল খুবই প্রতিভাবান একজন পেসার। তার অনেক কিছুই দেওয়ার সামর্থ্য আছে দলকে। তবে এখনো বয়স কম, সে প্রতিনিয়ত শিখছে। বাংলাদেশের জন্য অনেক কিছু অর্জন করার বাকি আছে তার। ওকে নিয়ে ভালো করে কাজ করতে চাই। আশা করি সেটা ভবিষ্যতে বাংলাদেশ ক্রিকেটের কাজে লাগবে। সে নিজের প্রতিভা অনুযায়ী খেলতে পারলে অনেক দিন বাংলাদেশকে সার্ভিস দিতে পারে “।
এবারের বিপিএলে নিজের দল নিয়েও বেশ আশাবাদী ভাস। ঢাকার কোচ বলেন, ” বিপিএলের জন্য আমরা প্রস্তুতি শুরু করেছি। তবে এখনো সময় আছে। বিপিএল প্রতিভা প্রকাশের অন্যতম মঞ্চ, ছেলেরা সবাই মাঠে নেমে পারফর্ম করতে মুখিয়ে আছে। আমাদের দলে বেশকিছু ভালো ক্রিকেটার আছে, সবাই নিজের সেরাটা দিতে চায়। এই ছেলেগুলো ম্যাচে যেকোনো কিছু করতে পারে। সবাই দল হয়ে খেলতে পারলে অবশ্যই সফলতা আসবে। আমাদের দলে সৌম্য সরকার, তাসকিনের মতো ম্যাচ উইনার আছে। সবাইকে নিয়ে আমরা দারুণভাবে টুর্নামেন্টের শুরুটা করতে চাই। আশাকরি বিপিএলটা আমাদের ভালোই কাটবে “৷
এদিকে বাংলাদেশের পেস বিভাগের বর্তমান কান্ডারি তাসকিন, শরিফুলরা। বর্তমান ছন্দেও আছেন তাসকিন। যদিও শরিফুলের ফর্ম কিছুটা মন্দা। এমন সময়ে ভাসের মতো একজন কিংবদন্তির সান্নিধ্য পাওয়াটা দারুণ ব্যাপার হতে পারে টাইগার পেসারদের জন্য। নিজেদের ভুলগুলো যেমন শুধরে নিতে পারবেন, তেমনি বোলিংয়ে নতুনত্ব আনার জন্য নানান কলাকৌশলও রপ্ত করতে পারবেন। দেখা যাক ভাসের ছোয়ায় কতটা সাফল্য পেতে পারেন তাসকিন – শরিফুলরা।