বাংলাদেশের ক্রিকেটে রাসেল ডমিঙ্গো অধ্যায় যেন শেষ হয়েও হলোনা শেষ। গত কয়েক দিনের ঘটনা পরম্পরায় টিম বাংলাদেশে সবচেয়ে চর্চিত নাম ডমিঙ্গো। কখনো সিনিয়র ক্রিকেটারদের সাথে তার শীতল সম্পর্ক নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কখনো টি টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে তাকে সরিয়ে দেওয়ায় সংবাদের শিরোনাম হয়েছেন।
তবে সম্প্রতি বাংলাদেশের একটি শীর্ষ পত্রিকাকে বিস্ফোরক এক সাক্ষাতকারের পর গুঞ্জন উঠেছে, বাংলাদেশের কোচের পদ ছাড়ছেন রাসেল ডমিঙ্গো। তবে সেই গুঞ্জন স্থায়ী হওয়ার আগেই উড়িয়ে দিলেন দক্ষিণ আফ্রিকান কোচ। গণমাধ্যমকে ডমিঙ্গো জানান, ‘আপনাদের জানাতে চাই, আমি এখনো পদত্যাগ করিনি। আমি বর্তমান প্রেক্ষাপট পরিবর্তনে বদ্ধপরিকর।‘
এদিকে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক জালাল ইউনুসও জানালেন, পদত্যাগ করেননি ডমিঙ্গো। তবে টানা ব্যর্থতার কারণে সপ্তাহ খানেক আগেই টি–টোয়েন্টির দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ডমিঙ্গোকে।
এশিয়া কাপে দলের সঙ্গে যাননি ডমিঙ্গো। যে কারণে ছুটি কাটাতে নিজ দেশে গেছেন তিনি। এরমধ্যে গণমাধ্যমে চাউর হয়, ডমিঙ্গোর পদত্যাগের খবর। তবে সেই খবর মিথ্যা বলে করলেন তিনি। বিসিবির তরফ থেকেও জানানো হয় একই তথ্য। তবে সাক্ষাতকারে নেতিবাচক মন্তব্যের জন্য ডমিঙ্গোকে চিঠি দেবে বোর্ড।
বিসিবির এক কর্মকর্তা জানান, ‘ডমিঙ্গো কোনো চিঠি বা পদত্যাগপত্র আমাদের দেয়নি। মৌখিকভাবেও এই ধরণের কিছু বলেনি। সে আমাদের প্রধান কোচ, এখন পর্যন্ত এটাই সত্যি। তার সঙ্গে আমাদের নিয়মিত কথা হচ্ছে। অক্টোবরে বাংলাদেশ ‘এ‘ দলের সঙ্গে সে দুবাই যাবে। এটাও চূড়ান্ত। নতুন আর কিছু হয়নি।‘
ডমিঙ্গো বর্তমানে দক্ষিন আফ্রিকায় পরিবারের সাথে সময় কাটাচ্ছেন। ছুটি শেষে আবার বাংলাদেশে ফিরে বাংলাদেশ দলের দায়িত্ব নেওয়ার কথা তার। তবে গণমাধ্যমে বিস্ফোরক সাক্ষাৎকারের পর তার বিরুদ্ধে কোড অব কন্ডাক্ট ভাঙ্গার অভিযোগ এনেছে বিসিবি। দেশে ফিরলে বিসিবি তার কাছে পুরো ব্যাপারটির ব্যাখা চাইবে বলেও জানা গেছে। চুক্তির মেয়াদ অনুযায়ী ২০২৩ সালের নভেম্বর পর্যন্ত টেস্ট এবং ওয়ানডে দলের দায়িত্ব পালন করবেন ডমিঙ্গো।