লম্বা সময় ধরেই ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (সিপিএল) ব্যস্ত ছিলেন সন্দীপ লামিচানে। সেই মিশন শেষ করে দেশে ফিরেই আটক হলেন নেপালের এই তরুণ লেগস্পিনার। বৃহস্পতিবার নেপালের ত্রিভুন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর তাকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, কাঠমান্ডু পুলিশ।
এরপর থেকেই তোলপাড় চলছে বিশ্ব ক্রিকেটে। লামিচানের গ্রেফতারের খবর মুহুর্তেই ভাইরাল হয়ে যায় সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভদ্রলোকের খেলা ক্রিকেটে, কোন ক্রিকেটারের এমন ঘটনা কাম্য নয় বলেও মত দেন নেটিজেনরা।
তবে পুলিশের পক্ষ থেকে কোনো ধরনের তল্লাশির প্রয়োজন হয়নি লামিচানেকে আটক করতে। একপ্রকার নিজ থেকেই ধরা দিয়েছেন সাবেক নেপাল অধিনায়ক। সিপিএল থেকে দেশে ফেরার আগে এক ফেইসবুক পোস্টের মাধ্যমে দেশে পৌঁছানোর ফ্লাইট, তারিখ এবং সময় জানিয়ে দিয়েছেন তিনি। সেই খবরের ভিত্তিতে যথাসময়ে বিমানবন্দরে এসে হাজির হয় কাঠমান্ডু পুলিশ।
লামিচানেকে আটকের কারণ, ১৭ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্তে নেমে বেশকিছু তথ্যপ্রমাণও পায় নেপাল পুলিশ। এরপর থেকেই লামিচানেকে আটকের চেষ্টা করা হয়। কিন্তু দেশের বাইরে থাকায় এতদিন সেটা সম্ভব হয়নি। অবশেষে এই ক্রিকেটারকে ধরতে সক্ষম হয়েছে দেশটির পুলিশ।
এদিকে সিপিএলে থাকা অবস্থায় ধর্ষণের অভিযোগ উঠলে তাৎক্ষণিকভাবে টুর্নামেন্ট থেকে বাদ পড়েন লামিচানে। এরমধ্য হারিয়েছেন জাতীয় দলের অধিনায়কত্বও। ধর্ষণের অভিযোগের খবর শোনার পর মানসিকভাবেও ভেঙে পড়েন তিনি।
খবর ছড়ায় তাকে ধরতে প্রয়োজনে ইন্টারপোলের সহায়তাও নেয়া হবে। যে কারণে সিপিএলে খেলা বন্ধ হয়ে গেলেও শক্তপোক্ত হয়ে দেশে ফিরতে বেশকিছু দিন সময় নিয়েছেন তারকা এই ক্রিকেটার।
উল্লেখ্য, লামিচানের বিরুদ্ধে অভিযোগকারী সেই কিশোরীর দাবি, ভক্ত হিসেবে লামিচানের সঙ্গে দেখা করতে গেলে বিপাকে পড়ে সেখানে থাকতে হয় তাকে। তবে আলাদা কক্ষে থাকতে চাইলেও তা হতে দেননি লামিচানে। বরং নিজ কক্ষে নিয়ে কিশোরীকে দুইবার ধর্ষণ করেন এই ক্রিকেটার। তবে নিজের বিরুদ্ধে এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যা এবং ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লামিচানে।