BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

‘ডিউক বল’ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ স্টুয়ার্ট ব্রডের

This ball becomes soft quickly and the ball has to be changed again and again in the match.

This ball becomes soft quickly and the ball has to be changed again and again in the match.

মহামারী করোনা ভাইরাসের প্রকোপে স্থগিত হয়ে যাওয়া টেস্টটি খেলতে এজবাস্টনে ভারতের মুখোমুখি হয়েছে ইংল্যান্ড। এজবাস্টন টেস্টকে ঘিরে দুই দলের বোলারদের মধ্যেই কাজ করছে দুশ্চিন্তা। কারণ এই ম্যাচটি খেলা হচ্ছে আলোচিত ‘ডিউক বল’ দিয়ে। ইংল্যান্ডের আবহাওয়াতে এই বলে সুইং কতটা কার্যকরী হবে সেটা নিয়েই থাকছে চিন্তা। ইংলিশ কাউন্টির ডারহাম ও গ্ল্যামারগনের মধ্যে ম্যাচে মোট ১১ বার বল বদল করতে হয়েছে।

এই বল তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাওয়ায় বারবার বল বদল করতে হচ্ছে ম্যাচে। সম্প্রতি একটি পত্রিকায় লেখা কলামে এই বলের কঠোর সমালোচনা করেছেন ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড। ‘মেইল অন সানডে’ পত্রিকায় নিজের কলামে ব্রড লিখেছেন, ‘বল এত তাড়াতাড়ি নরম হয়ে যাচ্ছে যে, না থাকছে সুইং, না থাকছে বাউন্স। প্রতি ইনিংসে দুই -তিন বার করে বল বদলাতে হচ্ছে। মাঝে মাঝে মনে হচ্ছে কাদার তৈরি বল নিয়ে বল করছি। মনে হচ্ছে হাত দিয়ে চেপে বলের আকৃতি বদলে ফেলা যাবে। ডার্বিশায়ারের বিপক্ষে ম্যাচে তো সাড়ে তিন ওভারের মধ্যে বলের বারোটা বেজে গিয়েছিল। আট ওভারের মাথায় বল বদলাতে হয়।’

অন্যদিকে বলটি তৈরিকারী সংস্থার মালিক দিলীপ জাজোদিয়া একটি ইংরাজি সংবাদপত্রকে জানিয়েছেন, ‘মনে হয় সমস্যাটা ট্যানিংয়ে। বেশ কয়েক মাস আগে চামড়া ট্যান করা হয়েছিল। আসল সমস্যাটা কোথায় সেটা আমরা ধরতেই পারিনি। বল মেশিনে তৈরি হয় না, হাতে তৈরি হয়। শুধু আমরা নয়, আরও কয়েকটি সংস্থা এর সঙ্গে যুক্ত থাকে।

বল তৈরিকারী সংস্থার মালিক ঘটনার ব্যাখা দিয়ে আরো বলেন ” যারা ট্যান করে, কোভিডের সময় তাদের কর্মচারী কম ছিল। সাধারণত যে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়, তার যোগান হয়ত ছিল না। অন্য রাসায়নিক ব্যবহার করা হতে পারে। রঙ আসে অন্য জায়গা থেকে। ডাই নিতে হয় আর একটা জায়গা থেকে। ফলে সবটা আমাদের হাতে নেই। কী কারণে সমস্যা হচ্ছে, আমরা খুঁজে দেখার চেষ্টা করছি।’

টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই স্টুয়ার্ট ব্রডের এক ওভারে ৩৫ রান তুলে নিয়েছেন বুমরাহ৷ ডিউক বল নিয়ে ব্রড এখন নতুন কোন ব্যাখা দেন কিনা সেটাই দেখার বিষয়।

Exit mobile version