প্রথম দুই ম্যাচেই মেরেছিলেন গোল্ডেন ডাক। তবে নামটা যেহেতু সাকিব আল হাসান, এই নামের উপর দলের চাহিদা বোধহয় সবসময়ই একটু বেশি। ব্যাটে–বলে সাকিবের অলরাউন্ড পারফরম্যান্স মানেই, দলের জয়। ক্যারিবিয় দ্বীপপুঞ্জে তা আরো একবার প্রমাণ করলেন বাংলাদেশি অলরাউন্ডার। সিপিএলের ২৮ তম ম্যাচে রবিবার গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে ত্রিনবাগো নাইট রাইডার্সের মুখোমুখি হয় সাকিবের দল। সেখানে জয় পেয়েছে সাকিবের দল ।
একাদশে সুযোগ পেয়েই স্বরূপে নিজেকে মেলে ধরলেন বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার। এদিন টসে হেরে আগে ব্যাটিং করা গায়ানার হয়ে ২৫ বলে ৩৫ রানের টি–টোয়েন্টি সুলভ ইনিংস খেলেছেন সাকিব। ১৪০ স্ট্রাইকরেটের ইনিংসটায় ছিল ৪টি চার এবং ১টি ছক্কার মার।
সাকিবের দলও পেয়ে যায় ১৭৩ রানের বড় সংগ্রহ। পরে বল হাতেও আলো ছড়ালেন সাকিব। ইনিংসের পঞ্চম ওভারে আক্রমণে এসেই প্রতিপক্ষ শিবিরে প্রথম আঘাত হানেন সাকিব। নিজের করা চতুর্থ ডেলিভারিতে ত্রিনবাগোর ওপেনার টিম সেইফার্টকে লেগ বিফোরের ফাঁদে ফেলে সাজঘরে ফেরান তিনি।
এরপর আরেক বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান আন্দ্রে রাসেলকেও ফেরান সাকিব। ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠার আগেই বিশ্বসেরা অলরাউন্ডারের বলে উইকেটরক্ষক রহমানুল্লাহ গুরবাজের হাতে ক্যাচ দিয়ে যান ৮ বলে ১২ রান করা রাসেল। এছাড়া ১২ বলে ১৯ রান করা সুনীল নারাইনকেও সরাসরি বোল্ড আউট করেন সাকিব।
চার ওভার বোলিং করে সাকিব রান খরচ করেছেন মাত্র ২০ টি। শুধু ব্যাটে–বলে ভালো খেলেননি সাকিব। এদিন ফিল্ডিংয়েও সাকিব যেন বাজপাখি। সরাসরি থ্রো–তে রান আউট করেছেন ত্রিনবাগোর গুরুত্বপূর্ণ ব্যাটসম্যান নিকোলাস পুরানকে। গোটা ম্যাচে অলরাউন্ড পারফরম্যান্সের সুবাদে ম্যাচসেরার পুরস্কারও উঠেছে সাকিবের হাতে।