বাংলাদেশ এ ক্রিকেট দল সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে ২০১৯ সালে। দীর্ঘদিন পর আবার ম্যাচ খেলার সুযোগ এসেছে এ দলের। আগস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে দুটি চারদিনের ম্যাচ ও তিনটি ওয়ানডে খেলবে দলটি। উইন্ডিজের সেন্ট লুসিয়ার ড্যারেন স্যামি স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে সফরের সবগুলো ম্যাচ। প্রশ্ন হলো, দীর্ঘদিন পর আবার কাদের নিয়ে গঠিত হচ্ছে এ দল? জাতীয় দল থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের নিয়েই কি হবে দল নাকি যুক্ত হবেন ভবিষ্যতের প্রতিশ্রুতিশীল ক্রিকেটাররা?
এই ব্যাপারে যদিও গণমাধ্যমে কথা বলতে মানা তবুও দল নির্বাচনের ব্যাপারে খানিকটা তথ্য দিয়েছেন নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘জাতীয় দলের থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের এবং ভবিষ্যতের কথা মাথায় রেখে নতুন ক্রিকেটারদের নিয়েই তৈরি করা হয় ‘এ’ দল। দুইটার কম্বিনেশনই হচ্ছে ‘এ’ দল।’
অনেকেই ভাবছেন জাতীয় দলে থেকে বাদ পড়া ক্রিকেটারদের ফেরার মঞ্চ হিসেবেই কাজ করবে এ দলের সফর। তবে এমনটা মানতে নারাজ ঐ নির্বাচক। তিনি বলেন, ‘‘এ’ দলের কাজ খেলোয়াড়দের ফর্মে ফেরানো না। জাতীয় দল থেকে বাদ পড়লেই খেলোয়াড়দের ‘এ’ দলে পাঠানো হবে এমনটাও নয়। ‘এ’ দলের কাজ হচ্ছে জাতীয় দলের জন্য ব্যাকআপ ক্রিকেটার তৈরি করা। বিভিন্ন পজিশনে বিভিন্ন ক্রিকেটারকে তৈরি করা হয়। সেটা বর্তমান এবং ভবিষ্যতের জন্য। সেটা বাদ পড়া ক্রিকেটারও হতে পারে। নতুন কেউও হতে পারে।’
জাতীয় দলের বাইরে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আরো দুটি দল পরিচালনা করে। একটি হচ্ছে, বাংলাদেশ টাইগার্স এবং অপরটি হচ্ছে হাই পারফরম্যান্স ইউনিট এইচপি। এই দুই দলের সেরা পারফর্মারদের নিয়েই গঠিত হবে এ দল। দীর্ঘদিন পর আবার এ দলের ম্যাচ ফেরায় খুশি বিসিবির ঐ নির্বাচক।
ম্যাচ আয়োজনের ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘কোভিডের কারণে আমরা ‘এ’ দলের সফর নিয়ে অনেক স্ট্রাগল করেছি। শুধু ‘এ’ দল নয় হাই পারফরম্যান্সের সফরও এ সময়ে হয়নি। ‘এ’ দলের সিরিজ বা সফর নিয়মিত করা হয় যেন, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য।
ঐ নির্বাচক আরো বলেন, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের স্বাদ ‘এ’ দলের সফর বা সিরিজেই পাওয়া যায়। এজন্য আন্তর্জাতিক ম্যাচের আগে ‘এ’ দলের হয়ে সফর করলে খেলোয়াড়দেরই সুবিধা হয়। ভালো করার সুযোগ বেড়ে যায়। প্রতি বছর যদি তিন থেকে চারটা এ দলের সিরিজ আয়োজন করতে পারি তাহলে খেলোয়াড় তৈরির পথটা আরো মসৃণ হবে। খেলোয়াড়দের প্রস্তুত হওয়া সুবিধা হবে। এটা খেলোয়াড়দের পরীক্ষা করার ভালো মঞ্চ।’