BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ক্রিকেট হাইলাইটস, ১৮ জুন: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ (১ম টেস্ট – ৩য় দিন)

WI vs BAN match highlights ft

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ ম্যাচ হাইলাইটস

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ (প্রথম টেস্ট – ৩য় দিন)

অ্যান্টিগা টেস্টে তৃতীয় দিন শেষে জয়ের পথেই আছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৮৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৩ উইকেটে ৪৯ রান তুলে খেলা শেষ করেছে ক্যারিবীয়রা। জয়ের জন্য তাদের প্রয়োজন আর মাত্র ৩৫ রান। জন ক্যাম্পবেল ২৮ এবং জার্মেইন ব্ল্যাকউড ১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবেন।

এর আগে সাকিব আল হাসান ও নুরুল হাসানের ১২৩ রানের লড়াকু জুটিতে ভর করেই ইনিংস হারের শঙ্কায় থাকা ম্যাচে ৮৩ রানের লিড নিয়েছে সফরকারী বাংলাদেশ। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯০.৫ ওভার খেলে ২৪৫ রানে অলআউট হয়েছে তারা।

তৃতীয় দিনের সকালটাও দেখেশুনে শুরু করেছিলেন মাহমুদুল হাসান জয় আর নাজমুল হোসেন শান্ত। প্রথম আধ ঘণ্টা কাটিয়েও দিয়েছিল এই জুটি। কিন্তু এরপরই ভুল করে বসেন শান্ত। কাইল মায়ার্সের বাউন্সি ডেলিভারিতে ব্যাট ছুঁইয়ে দিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে সহজ ক্যাচ হন বাঁহাতি এই ব্যাটার। ৩ বাউন্ডারিতে ৪৫ বলে ১৭ রান করেন তিনি।

এরপর দ্রুতই ফিরেছেন মুমিনুল হক (৪)। কাইল মায়ার্সের ডেলিভারি প্যাডে লাগলে আঙুল তুলে দেন আম্পায়ার। মুমিনুল রিভিউ নিয়েছিলেন। কিন্তু লেগ স্ট্যাম্প অল্প একটু পেয়ে যাওয়ায় আম্পায়ার্স কলে ফিরতে হয়েছে বাঁহাতি এই ব্যাটারকে। প্রথম ইনিংসে তিনি করেছিলেন শূন্য রান।

ফর্মে থাকা লিটন দাসের ওপর বড় আশা ছিল টাইগার সমর্থকদের। মাহমুদুল জয়ের সঙ্গে ২৫ রানের একটি জুটিও গড়েছিলেন তিনি। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্যক্তিগত ১৭ রানে সাজঘরের পথ ধরেন ডানহাতি এই ব্যাটার। কেমার রোচের শরীরের অনেক বাইরে থাকা ডেলিভারি অযথা শট খেলতে গিয়ে দ্বিতীয় স্লিপে ক্যাচ হন লিটন।

অভিজ্ঞ ব্যাটাররা একের পর এক সাজঘরে ফিরে গেলেও তরুণ ওপেনার জয় ধৈর্য্যের পরিচয় দিয়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু কেমার রোচের বেরিয়ে যাওয়া ডেলিভারিতে শট খেলতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন তিনি। ৩ বাউন্ডারিতে ১৫৩ বলে ৪২ রানের ধৈর্যশীল এক ইনিংস খেলেন জয়।

জয়ের বিদায়ের পর ১০৯ রানে ৬ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে পড়ে বাংলাদেশ। কিন্তু সেখান থেকে দলকে টেনে তোলেন সাকিব ও নুরুল। মধ্যাহ্ন বিরতির পর দ্বিতীয় সেশনে চোখ ধাঁধানো ব্যাটিং করেছে এই যুগল। এই সেশনে বাংলাদেশ ইনিংস হার এড়িয়ে লিড নিয়েছে। একটি উইকেটও না হারিয়ে ২৭ ওভারে তোলে ৯৫ রান। ৬ উইকেটে ২১০ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের চা-বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।

অবশেষে ২৩১ বলে ১২৩ রানের জুটিটি ভেঙেছেন ক্যারিবীয় পেসার কেমার রোচ। সাকিব শেষ পর্যন্ত ধৈর্য হারিয়ে ড্রাইভ করতে গিয়ে শর্ট এক্সট্রা কভারে ব্র্যাথওয়েটের ক্যাচে পরিণত হন। ৯টি বাউন্ডারির সাহায্য ৯৯ বলে ৬৩ রানের ইনিংস খেলেন টাইগার দলপতি। এটি ছিল তার ক্যারিয়ারের ২৯তম হাফসেঞ্চুরি।

তিন ওভার পর নুরুল’কেও আবার সাজঘরে ফিরান রোচ। বল পয়েন্ট দিয়ে খেলতে গিয়ে এজ হয়ে উইকেটরক্ষকের ক্যাচ হন নুরুল। ১৪৭ বলে গড়া তার ৬৪ রানের ইনিংসে ছিল ১১টি চারের মার। তারপর লেজটা গুড়িয়ে দিতে সময় লাগেনি ক্যারিবীয়দের।

ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে সফল ছিলেন কেমার রোচ। ৫৩ রানে ৫টি উইকেট শিকার করেন এই পেসার। এছাড়া আলজারি জোসেফ ৩টি এবং কাইল মায়ার্স ২টি করে উইকেট তুলে নেন।

৮৪ রানের সহজ লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে পেসার খালেদ আহমেদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৯ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বসে ক্যারিবীয়রা। ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে বল হাতে নিয়েই চমক দেখান খালেদ। ওই ওভারে করেন জোড়া শিকার, নিজের পরের ওভারে তুলে নেন আরও এক উইকেট।

ডানহাতি এই পেসারের প্রথম শিকার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট। লেগসাইডে বেরিয়ে যেতে থাকা বলে ব্যাট ছুঁইয়ে উইকেটরক্ষক নুরুলের দুর্দান্ত এক ডাইভিং ক্যাচ হন ক্যারিবীয় অধিনায়ক (১)। তিন বল পর রেমন রেইফারকে (২) সাজঘরের পথ দেখান খালেদ। বল ছাড়তে গেলে শেষ মুহূর্তে গ্লাভসে লেগে যায়, উইকেটের পেছনে ক্যাচটি লুফে নিতে ভুল করেননি নুরুল।

পরের ওভারে এসে এনক্রুমা বোনারকে (০) দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড করেন খালেদ। তবে ক্যাম্পবেল এবং ব্ল্যাকউড দেখেশুনে খেলে তৃতীয় দিন পার করে দিয়েছেন।


ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ এর স্কোরবোর্ড

বাংলাদেশ (১ম ইনিংস) – ১০৩/১০ (৩২.৫)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (১ম ইনিংস) – ২৬৫/১০ (১১২.৫)

বাংলাদেশ (২য় ইনিংস) – ২৪৫/১০ (৯০.৫)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ (২য় ইনিংস) – ৪৯/৩ (১৫.০)


ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের একাদশ

 ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট (অধিনায়ক), জশুয়া দা সিলভা (উইকেট রক্ষক), জন ক্যাম্পবেল, রেমন রেইফার, এনক্রুমা বোনার, জার্মেইন ব্ল্যাকউড, কাইল মায়ার্স, আলজারি জোসেফ, গুদকেশ মতি, কেমার রোচ এবং জেডেন সিলস
 বাংলাদেশ সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), নুরুল হাসান (উইকেট রক্ষক), তামিম ইকবাল, নাজমুল হোসেন শান্ত, মাহমুদুল হাসান জয়, মুমিনুল হক, লিটন দাস, মেহেদী হাসান, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেন এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
Exit mobile version