BJ Sports – Cricket Prediction, Live Score

ক্রিকেট হাইলাইটস, ০৭ জুলাই: ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ (৩য় টি২০)

Player of the Series

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ 3rd T20I Highlights

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ এর ম্যাচ হাইলাইটস

বৃহস্পতিবার সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে নিকোলাস পুরানের বিধ্বংসী ইনিংসের সৌজন্যে সফরকারী বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০ বলে হাতে রেখে ৫ উইকেটের দুর্দান্ত জয় তুলে নিয়েছে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ। সেই সাথে এই ম্যাচে জয়ী হয়ে ৩য় ম্যাচের টি২০ সিরিজটি ২-০ তে নিজেদের করে নিল ক্যারিবীয়রা।

টসে জিতে বাংলাদশের অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ ব্যাটিং করার সিধান্ত নেন এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বোলিং করতে পাঠান। ব্যাট করতে নেমে উড়ন্ত সূচনা করেন বাংলাদেশের দুই ওপেনার লিটন দাস এবং এনামুল হক। একপাশে লিটন রানের চাকা সচল রাখছিলেন, অন্যদিকে এনামুল ধরে খেলার চেষ্টা করছেন। 

কিন্তু ৫ম ওভারে ওডিন স্মিথের করা মিডল স্ট্যাম্পের ওপর গুড লেন্থের বলটি মিডউইকেটের ওপর দিয়ে খেলতে চেয়েছিলেন এনামুল। কিন্তু বল লেগে গেলো ব্যাটের উপরের কানায় এবং চলে গেলো সোজা থার্ড ম্যান অঞ্চলে। আকিল হোসেনের ক্যাচটি ধরতে মোটেও বেগ পেতে হলো না। ১১ বলে ১০ রান করে আউট হন এনামুল।

এনামুল আউট হওয়ার পর ব্যাট করতে নামেন সাকিব। কিন্তু পরের ওভারেই রোমারিও শেফার্ডের বলে এনামুলের মত একই ভুল করলেন সাকিব। ফলে মাত্র ৩ বলে ৫ রান করে সাজঘরে ফিরেন তিনি।

৩৫ রানের মাথায় এনামুল হক এবং ৪২ রানের মাথায় সাকিব আল হাসানকে হারিয়ে যখন প্রায় ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখে, তখন বাংলাদেশ দলের জন্য ত্রাণকর্তা হিসেবে উইকেটে লড়াই করেন লিটন দাস এবং আফিফ হোসেন।

দু’জন মিলে ৫৭ রানের জুটি গড়ে তোলেন। মাঝারিমানের এই জুটিতেই মোটামুটি চ্যালেঞ্জিং স্কোরের ভিত গড়ে বাংলাদেশ দল। দলীয় ৯৯ রানে এসে ভাঙে লিটন-আফিফের জুটি। হাফ সেঞ্চুরি থেকে মাত্র ১ রান দুরে থাকতে আউট হয়ে গেলেন লিটন। 

এরপর মাহমুদউল্লাহ নিয়ে আফিফ গড়ে তোলেন ৪৯ রানের জুটি। ২০ বলে ২২ রান করে সাজঘরে ফিরে যান মাহমুদউল্লাহ। হেইডেন ওয়ালশের বলে এলবিডব্লিউর শিকার হন মাহমুদউল্লাহ। রিভিউ নিয়েও বাঁচতে পারেননি তিনি। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হয়েছিলেন আফিফও।

২টি চার ও ২টি ছক্কায়, ৩৮ বলে ৫০ রানের দু:সাহসিক ইনিংস খেলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন আফিফ। ক্যারিয়ারে এটা তার দ্বিতীয় হাফ সেঞ্চুরি। এর আগে সর্বোচ্চ ৫২ রানের ইনিংস খেলেছিলেন তিনি।

শেষ মুহূর্তে ৬ বলে ১০ রান করে বাংলাদেশের স্কোর ৫ উইকেটে ১৬৩ রানে নিয়ে যান মোসাদ্দেক হোসেন। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে হেইডেন ওয়ালশ সর্বোচ্চ ২ উইকেট শিকার করেন। এছাড়া ১টি করে উইকেট নেন ওডিন স্মিথ এবং রোমারিও শেফার্ড।

১৬৪ রানের লক্ষ্যে ক্যারিবীয়দের ইনিংস ওপেন করতে নামেন ব্রেন্ডন কিং এবং কাইল মায়ার্স। দলীয় ৯ রানের মাথায় ব্রেন্ডন কিং’কে মাহমুদউল্লাহর হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন নাসুম আহমেদ। ৫ বলে ৭ রান করে আউট হন কিং।

এরপর জুটি বাধেন কাইল মায়ার্স এবং সামারাহ ব্রুকস। দলীয় ২২ রানের মাথায় মাহেদি হাসানের বলে সামারাহ ব্রুকসের দুর্দান্ত ক্যাচ ধরেন এনামুল। ১২ বলে ১২ রান করে আউট হন ব্রুকস। ইনিংসের ৭ম ওভারে প্রথমবার বল হাতে তুলে নেন সাকিব আল হাসান। বল করতে এসেই প্রথম বলে উইকেট নিয়ে নিলেন তিনি। এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন ওডিন স্মিথকে (২)।

৪৩ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ক্যারিবীয়দের কিছুটা বিপদে ফেলে দেয় বাংলাদেশের বোলাররা। কিন্তু কাইল মায়ার্স আর নিকোলাস পুরান মিলে ৮৫ রানের জুটি গড়ে স্বাগতিকদের ভালোভাবেই লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনেন। ৩৮ বলে ৫৫ রান করে নাসুম আহমেদের বলে আউট হন মায়ার্স।

এরপর রোভম্যান পাওয়েলকে (৫) লিটনের ক্যাচে পরিণত করেন আফিফ হোসেন। শেষ পর্যন্ত ৫ উইকেট হারিয়ে ১৮.২ ওভারেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ৫ চার ও ৫ ছক্কায়, ৩৯ বলে ৭৪ রান করে অপরাজিত থাকেন নিকোলাস পুরান।

বাংলাদেশের হয়ে নাসুম আহমেদ সর্বাধিক ২টি এবং সাকিব, মাহেদি, আফিফ ১টি করে উইকেট তুলে নেন। আগামী ১০ জুলাই গায়ানার প্রভিডেন্স স্টেডিয়ামে এই দুই দুল তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মুখোমুখি হবে।

ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ এর স্কোরবোর্ড

বাংলাদেশ – ১৬৩/৫ (২০.০)

ওয়েস্ট ইন্ডিজ – ১৬৯/৫ (১৮.২) 

ফলাফল – ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৫ উইকেটে জয়ী

প্লেয়ার অফ দ্য ম্যাচ – নিকোলাস পুরান

প্লেয়ার অফ দ্য সিরিজ – নিকোলাস পুরান



ওয়েস্ট ইন্ডিজ বনাম বাংলাদেশ ম্যাচের একাদশ

ওয়েস্ট ইন্ডিজ নিকোলাস পুরান (অধিনায়ক ও উইকেট রক্ষক), ব্র্যান্ডন কিং, শামারহ ব্রুকস, রোভম্যান পাওয়েল, কাইল মায়ার্স, রোমারিও শেফার্ড, ডমিনিক ড্রেকস, ওডিন স্মিথ, আকিল হোসেন, হেইডেন ওয়ালশ এবং ওবেদ ম্যাককয়।
বাংলাদেশ মাহমুদউল্লাহ (অধিনায়ক), নুরুল হাসান (উইকেট রক্ষক), এনামুল হক, সাকিব আল হাসান, আফিফ হোসেন, মোসাদ্দেক হোসেন, লিটন দাস, মাহেদি হাসান, শরিফুল ইসলাম, নাসুম আহমেদ এবং মোস্তাফিজুর রহমান।
Exit mobile version